Cvoice24.com


চামড়া শিল্পে ফের আশাবাদী ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: ০৫:১৭, ৫ আগস্ট ২০২০
চামড়া শিল্পে ফের আশাবাদী ব্যবসায়ীরা

ঈদুল আযহার চতুর্থ দিনে চট্টগ্রামে চামড়া আড়তদাররা সাড়ে তিন লাখের মতো চামড়া মজুদ করতে সক্ষম হয়েছেন। এখন তারা চামড়াগুলো লবণযুক্ত করে সংরক্ষণ করছেন। সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া বিক্রি করতে পারলে চামড়া ব্যবসায়ে সুদিনের স্বপ্ন ফিরে আসতে পারে বলে মনে করছেন চট্টগ্রামের চামড়া ব্যবসায়ীরা।

চট্টগ্রাম পশু চামড়া আড়তদার সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুল কাদের বলেন, 'আমরা গত তিন দিনে প্রায় সাড়ে তিন লাখ চামড়া মজুদ করেছি। এখন লবণযুক্ত করে চামড়াগুলো সংরক্ষণের কাজ চলছে। আগামী কয়েকদিনে আরো চামড়া আমাদের কাছে আসবে। দুই এক জায়গায় চামড়া ফেলে দেয়ার মত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। তবে এর জন্য বিশেষ কোন প্রভাব পড়বে না বলে আশা করি। কেননা এবার চামড়া শিল্প নিয়ে সরকারের আন্তরিক তদারকি থাকায় আশা করছি কোনো সমস্যা হবে না।'

ট্যানারি মালিকদের সাথে কোনো কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'ট্যানারি মালিকদের সাথে এখনো কোনো কথা হয়নি। তারা আরো দশ-পনেরো দিন পরে আসবে। দশ পনেরো দিন পরে তাদের সাথে চামড়া বিক্রি প্রসঙ্গে বিস্তারিত কথা হবে। তারা যদি সরকার নির্ধারিত মূল্যে আমাদের কাছ থেকে চামড়া কিনে নেয়, তাহলে আমাদের ক্ষতি হবে না। আশা করছি, এবার ক্ষতি পুষিয়ে আনতে সক্ষম হবো।' জানা যায়, কোরবানির সময়ই দেশের ৬০ ভাগ চামড়া সংগ্রহ করা হয়৷ এবার ঢাকায় লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম প্রতি বর্গফুট ৩৫ থেকে ৪০ টাকা ধরা হয়। আর ঢাকার বাইরে ধরা হয় প্রতি বর্গফুট ২৮ থেকে ৩২ টাকা।

সারা দেশে খাসির চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয় প্রতি বর্গফুট ১৩ থেকে ১৫ টাকা। সরকার নির্ধারিত দাম অনুযায়ী গরুর যে চামড়ার দাম হওয়ার কথা ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা, সেটা চামড়া ব্যবসায়ীরা কিনে নিয়েছেন ২০০ থেকে ৪০০ টাকায়। বর্তমানে চট্টগ্রামে ট্যানারি চালু রয়েছে একটি। টিকে গ্রুপের অধীনস্থ এ প্রতিষ্ঠানটির নাম রিফ ল্যাদার।

প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. মোখলেছুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি সিভয়েসকে বলেন, 'আমরা এখনো চামড়া ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ করিনি। তবে আগামী সপ্তাহ দু'য়েকের মধ্যে যোগাযোগ করবো।' চামড়া ব্যবসায় কোনো ধরনের প্রতিকূলতা দৃশ্যত হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এখন সারা বিশ্বের সকল ব্যবসার একমাত্র সমস্যা হলো করোনা। করোনার কারণে সব ব্যবসাতেই ঝুঁকির লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া আমাদের কাছে এখনো গতবারের ৫০ শতাংশ চামড়া রয়ে গেছে। তবে এরজন্য চামড়া কেনায় কোনো সমস্যা হবে না। তবে এখন পর্যন্ত চামড়া কেনা প্রসঙ্গে কিছু বলা যাচ্ছে না। সপ্তাহ দু'য়েকের মধ্যে আমরা চামড়া কিনতে যাবো। এরমধ্যে আড়তদাররাও চামড়া সংরক্ষণের কাজ শেষ করবে বলে আশা করি।

-সিভয়েস/এসবি

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়