Cvoice24.com


শত্রুতার জেরে কেটে ফেলা হলো ৫ শতাধিক গাছ

প্রকাশিত: ০৮:১৪, ৬ আগস্ট ২০২০
শত্রুতার জেরে কেটে ফেলা হলো ৫ শতাধিক গাছ

হাটহাজারীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে ৫ শতাধিক গাছের চারা কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। শত্রুতার জেরে এমনটি করেছেন বাসস্ট্যান্ডের পশ্চিমে ১নং দক্ষিণ পাহাড়তলী স্বন্দ্বীপ কলোণিস্থ স্বন্দীপপাড়া এলাকার গিয়াস উদ্দীনের স্ত্রী, মো. রহিম ও তার স্ত্রী, ছেলে দাবি ভুক্তভোগী রেহেনা বেগমের। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় বারবার লিখিত অভিযোগ জানিয়েও কোন বিচার না হওয়ায় প্রতিপক্ষরা এমন দুঃসাহসিকতা দেখিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ভুক্তভোগী রেহেনা বেগম জানান, পারিবারিক শত্রুতার জেরে স্বন্দীপপাড়া পাহাড়ে লাগানো বাগানের ২ শতাধিক কলা গাছ ও ৩ শতাধিক আকাশি গাছের চারা রাতের অন্ধকারে কেটে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এতে আমার প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর আগেও পরপর দুবার আমার পরিবারের উপর হামলা করে প্রতিপক্ষরা। এসব ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেও বিচার না পাওয়ায় আবারো এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তারা।  

সরেজমিনে ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে একের পর এক হামলার শিকার হচ্ছেন রেহেনা বেগমের পরিবার। চলতি বছরের ৩এপ্রিল প্রতিপক্ষের হামলায় তার স্বামীর ডান চোখ প্রায় নষ্ট। চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালে এখনো চিকিৎসা চলছে চোখের। ১০ জুলাই তার জমজ দু মেয়ে রুবি আক্তার(১২) ও সেলি আক্তার(১২) কে পাহাড়ের বাগান থেকে আসার পথে প্রতিপক্ষগণ গলায় পা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা করে। উভয়ের ঘটনায় বিচার প্রার্থনায় হাটহাজারী মডেল থানায় পৃথক পৃথক লিখিত অভিযোগ করেও কোন বিচার পায়নি। 

ভুক্তভোগী রেহেনা বেগম জানায়, প্রতিবার অভিযোগের পর অফিসার তদন্তে আসলেও তদন্তেই থেমে যায় বিচার। দ্বিতীয় হামলায় রহিমের স্ত্রী পারভিন বেগম প্রকাশ বাচুকে আসামি দিতে চাইলেও জানিনা কি কারনে তার নাম দেয়া হয়নি। শাস্তি না পাওয়ার পরিপেক্ষিতে প্রতিপক্ষ আরো বেসামাল হয়ে পড়ে। আইন তাদের কিছুই করতে পারবেনা জানিয়ে পাহাড়ে সৃজিত বাগান, পরিবারের একমাত্র উপার্জনের মাধ্যম মুদি দোকান, দু মেয়েকে ধর্ষণসহ জানে মারার হুমকি দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। এমনকি ভিটা ছেড়ে বের করে দেয়ার হুমকিও দিচ্ছে তারা। সর্দার কাশেমসহ স্থানীয়রা তাদের বিচার করতে চাইলেও তারা কাউকে তোয়াক্কা না করে সম্ভবপর হয়নি। বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবারটি। দ্রুত স্থানীয় প্রশাসন একটা কঠোর ব্যবস্থা না নিলে চিরতরে নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে পরিবারটি। অসহায় পরিবার অশ্রুসিক্ত চোখে বলেন, যদি থানায় বিচার না পাই তাহলে আল্লাহ'র দিকে চেয়ে থাকা ছাড়া কোন উপায় নেই।

জানতে চাইলে সর্দার কাশেম জানান, গাছ কাটার বিষয়ে অবগত নন তবে পূর্বের এক ঘটনায় থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে এসআই এনায়েত উল্যাহ তদন্ত করে রেহেনা বেগমদের ক্ষতিপূরণ বাবদ রহিমকে ১০হাজার টাকা থানায় জমা দিতে বললেও না দেয়ায় বৈঠক আর হয়নি। পরে কি হয়েছে আমি জানিনা।

হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মাসুদ আলম জানান, অনেক আগেই আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এবং এসআই হাবিব মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আসামি ধরার জন্য পুলিশ মাঠে কাজ করছে। ভুক্তভোগী পরিবারটি মামলার ব্যাপারে এতদিন খবরই নেয়নি। আশা করছি দ্রুত আসামি আটক হবে।

হাটহাজারী প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়