Cvoice24.com


কাঁচামরিচ ত্রিপল সেঞ্চুরি থেকে নেমে সেঞ্চুরিতে

প্রকাশিত: ০৫:২১, ৭ আগস্ট ২০২০
কাঁচামরিচ ত্রিপল সেঞ্চুরি থেকে নেমে সেঞ্চুরিতে

মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে রান্নায় অতি প্রয়োজনীয় মসলাজাতীয় পণ্য কাঁচামরিচের দাম কেজিতে ৯০-১০০ টাকা কমেছে। দেশি কাঁচামরিচ এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি দরে। তবে পাইকারি বাজারের মরিচের দাম ১০০ টাকা করে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা কমেছে একাধিক সালাদের দাম। এছাড়া কয়েকটি মসলা বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (৭ আগস্ট) নগরের কাঁচাবাজার ঘুরে ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। যদিও এক মাস আগে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ খুচরা বাজারে ৪০-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। ঈদউল আজহা, বৃষ্টি ও বন্যার কারণ দেখিয়ে কয়েকদিন আগে মরিচ ২৫০ থেকে সর্বোচ্চ ২৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

মানভেদে পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি গাজর বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে চিচিঙ্গা বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ টাকা। প্রতি কেজি কাকরোল বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ৩০-৩৬ টাকা। বন্দরটিলা বাজারে সবজি কিনতে আসা মো. রহমান সিভয়েসকে বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে সবজির দর কেজিতে ২০ টাকার মতো বাড়তি। তবে মরিচের দাম কিছুটা কমেছে। তবে পাইকারি বাজারের মরিচের দাম ১০০ টাকা কিন্তু খুচরা বাজারে ২০০ টাকা।

একই বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আল-আমিন বলেন, কয়েকদিন ধরেই কাঁচামরিচের দাম ওঠানামা করছে। কারণ ঈদের ছুটি, অতি বৃষ্টি ও বন্যার কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মরিচের ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। ঈদের ছুটির কারনে সরবরাহ কম। তাই পাইকারিতে বাড়তি দরে বিক্রি হচ্ছে। তাছাড়া মরিচের চাহিদা বাড়ার কারনেও খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়েছে।

বাজারের খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এদিন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০-৫৫ টাকায়। যা ৭ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৩০-৪৫ টাকা। ইন্ডিয়ান পেয়াজ ২৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দেশি শুকনা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২০০-২৫০ টাকা। যা ৭ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ১৮০-২৫০ টাকা। আমদানি করা শুকনা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ২৫০-৩২০ টাকা। যা ৭ দিন আগে সর্বোচ্চ ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এদিন প্রতি কেজি দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৪২০-৪৫০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৩৮০-৪৫০ টাকা। প্রতি কেজি ধনেপাতা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকা। যা ৭ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি তেজপাতা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। যা ৭ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ১০০ টাকা। দেশি হলুদ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা। যা ৭ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা। আমদানি করা প্রতি কেজি দেশি হলুদ বিক্রি হয়েছে ১৫০-২২০ টাকা। যা ৭ দিন আগে সর্বোচ্চ ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এছাড়া এদিন প্রতি কেজি দেশি আদা বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা। প্রতি কেজি আমদানি করা আদা বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৬০ টাকা। যা ৭ দিন আগে বিক্রি হয়েছে ১২০-১৫০ টাকা।

বেশিরভাগ সবজির কেজি এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকা। শসার কেজি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। প্রতিকেজি বেগুন ২০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। পাকা টমেটো ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটল ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, করলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা কেজি, ঝিঙা ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এখন সবচেয়ে দামি সবজি গাজর। মানভেদে গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। 

তবে বাজারগুলোতে অপরিবর্তিত রয়েছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। ডিমের ডজন ১০০ টাকায়। আর কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে আলু ৩৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

তবে দাম কমেছে বরবটি, পেঁপে ও ঢেঁড়সের। কেজিতে ১০ টাক কমে প্রতিকেজি ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পেঁপে ও কাকরোল ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। মুলা কেজিতে ৩০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। কচুরশাকের আঁটি বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ১৫ টাকা, লালশাক ১৫ টাকা, মুলা শাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, পালংশাক ২০ টাকা, লাউ ও কুমড়ার শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পুঁইশাক ২০ টাকা মোড়া বিক্রি হচ্ছে। 

সিভয়েস/এনআর/এসএইচ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়