Cvoice24.com

চট্টগ্রামে আজ, বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪

সময় ঘন্টা মিনিট সেকেন্ড


একসাথে ছুরি কিনে সেই ছুরি দিয়েই খুন

প্রকাশিত: ০৭:১১, ৭ আগস্ট ২০২০
একসাথে ছুরি কিনে সেই ছুরি দিয়েই খুন

বন্ধুদের মধ্যে কতৃত্বসহ নানা কারণে স্কুলছাত্র রাসেলের উপর ক্ষোভ ছিল হাসানুল হক প্রকাশ হাসানের (১৬)। সেই ক্ষোভ থেকে হাসানকে সরানোর পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনা মতো রাসেলকে সাথে নিয়ে নগরীর নিউমার্কেট থেকে একটি ছোরা ক্রয় করে হাসান এবং কৌশলে রাসেলকে খুলশীর জালালাবাদ এলাকার পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন হাসান। গ্রেফতার পরবর্তী এসব কথা পুলিশকে জানিয়েছে খুনি হাসান।

হাসানুল হক প্রকাশ হাসানকে বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে নিজ বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের দেয়া তথ্যমতে, হাসান খুলশীর জালাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৪ নম্বর রোডের মৃত জয়নাল আবেদীনের সন্তান। গত ৩ আগষ্ট খুলশী থানাধীন জালালাবাদ এলাকার হাসেম কোম্পানির সুউচ্চ পাহাড়ের উপর উপর্যুপরি ছুরির আঘাতের শিকার স্কুলছাত্র মো. রাসেলের (১৩) পঁচা গলা লাশ পাওয়া যায়।

পুলিশ জানায়, রাসেল গত ৩১ জুলাই থেকে তিন দিন নিখোঁজ ছিল। লাসের পঁচা গন্ধ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসীর কাছে লাশের সন্ধান মেলে। পরে এ ঘটনায় ভিকটিম রাসেলের পিতা হুমায়ুন কবির (৫২) খুলশী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। 

এদিকে গ্রেফতার পরবর্তী পুলিশী জিজ্ঞোসাবাদে খুনি হাসান জানান, সে পেশায় একজন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। রাসেল তার ছোট হলেও তারা একসাথে চলাফেরা করত। ইতিপূর্বে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রাসেলের সাথে তার মারামারি হয়। সব বন্ধুদের মধ্যে রাসেল কর্তৃত্ব করতে চাইত। মেয়ে দেখলে অশালীন আচরণ করতো। কিছুদিন আগে তার মাকে রাসেল গালি গালাজ করে। এতে তার প্রচণ্ড অপমান বোধ হয়। তাই ওইদিনই সিদ্ধান্ত নেয় রাসেলকে সে মেরে ফেলবে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩১ জুলাই বিকালে হাসান রাসেলকে নিয়ে নিউ মার্কেটে যায় এবং একটি ছোরা কিনে। সে ছোরাসহ হাসান রাসেলকে খুলশীর জালালাবাদ এলাকার পাহাড়ে নিয়ে যায় এবং উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।

পুলিশ জানায়, ছুরিকাঘাতের পরপর রাসেল চিৎকার করলে খুনী হাসান তার মুখ চেপে ধরে টাওয়ারের পাশে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেয়। পরে তাকে আরো কয়েকবার ছুরির আঘাত করা হয়। তারপর হাসান পাহাড় থেকে নেমে রক্তমাখা কাপড়চোপড়সহ দ্রুত বাসায় চলে যায় এবং কাপড়চোপড় পরিবর্তন করে ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।

বায়েজিদ জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) পরিত্রাণ তালুকদার সিভয়েসকে বলেন, রাসেলের লাশ উদ্ধার করার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই কিশোর অপরাধী হাসান সার্বক্ষণিক ছিল। তার কোনো কর্মকাণ্ডে সে কাউকে বুঝতে দেয়নি যে সেই রাসেল কে খুন করেছিল। এসব থেকে বুঝাই যায় খুনী হাসান একজন ঠান্ডা মাথার খুনী অপরাধী। পরিত্রাণ তালুকদার বলেন, ঘটনায় ব্যবহৃত ছোরাটি উদ্ধার ও আরও তথ্য উদ্ঘাটন করতে হাসানকে আরও জিজ্ঞোসাবাদ প্রয়োজন।তাই আদালতে তাকে উপস্থাপন করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। এর আগে হাসান আদালতের কাছে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারা অনুযায়ী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সিভয়েস/এসএইচ/এসএইচ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়