Cvoice24.com


কক্সবাজারের এসপিকেও গ্রেপ্তারের দাবি আওয়ামী লীগ নেত্রীর

প্রকাশিত: ১৩:৫৬, ৭ আগস্ট ২০২০
কক্সবাজারের এসপিকেও গ্রেপ্তারের দাবি আওয়ামী লীগ নেত্রীর

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের গ্রেফতার ও রিমান্ড দাবি করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী। 

সেইসঙ্গে এসপি মাসুদ হোসেনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পূর্ব অপরাধের বিচার দাবি করেছেন তিনি। 

শুক্রবার (৭ আগষ্ট) ৬টা ০৫ মিনিটে এ দাবিতে নিজের ফেসবুক ওয়ালে একটি স্ট্যাটাস লেখেন নাজনীন সরওয়ার কাবেরী। 

পাঠকদের সুবিধার্থে তা তুলে ধরা হলো-

'কক্সবাজার পুলিশ সুপার মাসুদ সাহেবকে অবিলম্বে গ্রেফতার ও রিমান্ডে নেয়া হউক। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চাই। পূর্ব অপরাধেরও বিচার হউক।'

তার এই স্ট্যাটাসে মুহূর্তের মধ্যেই শতাধিক কমেন্টস ও শেয়ার হয়ে যায়। সাহসী লিখনির জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে অনেকেই।

পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের বিরুদ্ধে এমন কঠোর স্ট্যাটাস দেয়ার কথা জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ নেত্রী নাজনীন সরওয়ার কাবেরী মুঠোফোনে বলেন, কক্সবাজার জেলার কোন থানায় টাকা ছাড়া মামলা হয়না। সাধারণ মানুষকে হয়রানি করা হয়। মামলার টাকার ভাগ পুলিশ সুপার পান। না হলে তিনি ব্যবস্থা কেন নেন না? 

তার দাবি, অনেক নিরীহ মানুষ জনের পকেটে ইয়াবা, অস্ত্র ঢুকিয়ে দিয়ে ফাঁসানো হয়। 
অধীনস্থ অফিসারদের বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ করার পরও পুলিশ সুপার ব্যবস্থা নেন না।

নাজনীন সরওয়ার কাবেরী বলেন, ব্যবস্থা তো নেন না, বরং শ্রেষ্ঠ অফিসার হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। 

তিনি বলেন, মেজর সিনহা খুনের ঘটনায় জড়িত ইন্সপেক্টর লিয়াকতের সাথে ফোনালাপে এসপি মাসুদ হোসেনের অপরাধ স্পষ্ট প্রমাণিত।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডে  মেজর সিনহা তাঁর কক্সবাজারমুখী প্রাইভেট কারটি নিয়ে টেকনাফের বাহারছরা শামলাপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের চেকপোস্টে পৌঁছালে গাড়িটি পুলিশ থামিয়ে দেয়। তখন তিনি উপর দিকে তার হাত তুলে তার প্রাইভেট কার থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে বাহারছরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ লিয়াকত আলী পরপর চার রাউন্ড গুলি করে হত্যা করে বলে সেনা সদর থেকে গণমাধ্যমে প্রেরিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।

ঘটনা তদন্তে গত ২ আগস্ট চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো.  মিজানুর রহমানকে আহবায়ক করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্ত্বা বিভাগ। ৪ আগষ্ট থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে। কক্সবাজার পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান ও পুলিশ প্রধান। 

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়