Cvoice24.com


সিনহার মৃত্যু : বরখাস্ত হলেন প্রদীপসহ ৭ পুলিশ

প্রকাশিত: ১৪:৪০, ৭ আগস্ট ২০২০
সিনহার মৃত্যু : বরখাস্ত হলেন প্রদীপসহ ৭ পুলিশ

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি লিয়াকত আলীসহ ৭ আসামিকে চাকুরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ৬ আগস্ট থেকে সিনহার বোনের দায়ের করা মামলায় তারা কক্সবাজার কারাগারে রয়েছেন।  

আজ শুক্রবার রাতে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রথম দিকে তাদের সকলকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হলেও শুক্রবার ওই ৭ পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়। 

তারা হলেন-টেকনাফের সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও বাহারছরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি লিয়াকত আলী, এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া।

প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ রোডে মেজর সিনহা তাঁর কক্সবাজারমুখী প্রাইভেট কারটি নিয়ে টেকনাফের বাহারছরা শামলাপুর পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের চেকপোস্টে পৌঁছালে গাড়িটি পুলিশ থামিয়ে দেয়। তখন তিনি উপর দিকে তার হাত তুলে তার প্রাইভেট কার থেকে বের হওয়ার সাথে সাথে বাহারছরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ লিয়াকত আলী পরপর চার রাউন্ড গুলি করে হত্যা করে বলে সেনা সদর থেকে গণমাধ্যমে প্রেরিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়।

ঘটনা তদন্তে গত ২ আগস্ট চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো.  মিজানুর রহমানকে আহবায়ক করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্ত্বা বিভাগ। ৪ আগষ্ট থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে। কক্সবাজার পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান ও পুলিশ প্রধান। 

এঘটনায় গত ৫ আগস্ট দুপুরে টেকনাফের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওসি প্রদীপসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে দায়ের করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস। 

ওই মামলায় বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ (আইসি) লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি ও টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশকে দুই নাম্বার আসামি করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিরা হলেন- বাহারছরা তদন্ত কেন্দ্রের এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এএসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা। তবে ওই মামলায় মোট ৯ আসামির তালিকায় পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেনের নাম নেই৷ এর মধ্যে ওসি প্রদীপসহ ৭ জন ৬ আগস্ট আত্মসমর্পণ করলে তাদের জেলে পাঠান আদালত। একই সাথে প্রদীপ, লিয়াকত ও নন্দ দুলাল এই তিনজনকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়।  

আদালতের আদেশে সিনহার বড় বোনের মামলাটি এখন তদন্ত করছে এলিট ফোর্স র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন (র‌্যাব)। আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে মামলার অগ্রগতি আদালতকে অবহিত করতে হবে তাদের।

কক্সবাজার প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়