‘নগদ’ এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেলো ১৩শ দুস্থ নারী

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব’র ৯০তম জন্মদিন উদযাপনের অংশ হিসেবে দুই হাজার টাকা করে ১৩শ দুস্থ নারীকে নগদের মাধ্যমে উপহার প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

(শনিবার) (৮ আগস্ট) সকালে গণভবনে এক অনুষ্ঠান থেকে ৬৪ জেলার দুস্থ নারীদেরকে এ উপহারের অর্থ প্রদান করেন তিনি।

গত বছর ২৬ মার্চ ডাকবিভাগের ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের সেবা হিসেবে ‘নগদ’ এরআনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। তার পর থেকে একের পর এক নতুন নতুন সেবা চালু করে দেশের ডিজিটালফাইন্যান্সিয়াল সেবার খাতে এক চেটিয়াত্ব ভেঙে বিপ্লব এনে দিয়েছে সংস্থাটি।

নগদের দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, দেশের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ডিজিটালফাইন্যান্সিয়াল সেবা ‘নগদ’অনুদানের টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে পুরো খরচ বহন করেছে। এ ক্ষেত্রে প্রতিজন দুস্থনারী তাদের প্রাপ্ত ২,০০০ টাকা ক্যাশআউট করার চার্জ হিসেবে অতিরিক্ত ৩৫ টাকা করে নিজেদের ‘নগদ’ অ্যাকাউন্টেপেয়েছেন। বাড়তি এই খরচও বহন করেছে ‘নগদ’।

বঙ্গমাতার জন্মদিনের এমন একটি মহতী উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে গোটা ‘নগদ’ পরিবার গর্বিত বলে জানিয়ে নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ মিশুক বলেন, সাধারণ মানুষের চাওয়া পাওয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে‘নগদ’ সবসময় জন-বান্ধবসব সেবা দিয়ে আসছে।
সে কারণে অন্যান্য মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল অপারেটগুলো খরচের ভয়ে যেখানে সুবিধাবঞ্চিত জনগণের জন্যে সেবামূলক কাজে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে অনাগ্রহী সেখানে ‘নগদ’ সব সময়ই জনহীতকর এসব কাজে সরকারের পাশে দাঁড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের এমন অনুসরণীয় কাজের ফলে দেশের প্রতিটি প্রান্তের মানুষের কাছে ডিজিটাল আর্থিক সেবার সুবিধা দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে যা সর্বপরি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ রূপকল্প বাস্তবায়ণের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে বলে আমার বিশ্বাস।

উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্র্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুননেসা ইন্দিরা, মহিলা ও শিশুবিষয়ক  মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি , সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব কাজী রওশন আক্তারসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, করোনারকারণে কাজ হারানো ৫০ লাখ পরিবারকে আড়াই হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান দেন প্রধানমন্ত্রী; যারমধ্যে ১৭ লাখ পরিবারকেই ‘নগদ’ এর মাধ্যমেঅনুদানেরঅর্থ প্রেরণ করা হয়। সেখানে ওক্যাশ আউট খরচের বড় একটি অংশ ‘নগদ’ বহন করে। তাছাড়া করোনার মতো এমন অতি মহামারির সময়েও যাতে দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য তুলনামূলক কম খরচে চলতে পারে সে জন্যে ‘নগদ’ পাঁচ ধরণের ব্যবসায়ীদের ক্যাশ-আউটচার্জ হাজারে মাত্র ছয় টাকা নির্ধারণ করেছে যা, বাজারে প্রচলিত অন্যান্য অপারেটরের খরচের এক তৃতীয়াংশের চেয়েও কম।

-সিভয়েস/এসসি