Cvoice24.com


জেলে গেলেও রিমান্ডের আসামিদের আনেনি র‍্যাব

প্রকাশিত: ১০:১৫, ১৩ আগস্ট ২০২০
জেলে গেলেও রিমান্ডের আসামিদের আনেনি র‍্যাব

৭টি গাড়ি ও ১০ টি মোটর সাইকেলের বহর নিয়ে মেজর (অব) সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিদের রিমান্ডে নিতে কক্সবাজার জেলে যান। কিন্তু সেখানে দীর্ঘক্ষণ অবস্থান করে সব প্রস্তুতি থাকার পরও আসামিদের নিজেদের হেফাজতে না নিয়ে ফেরত যান  র‍্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা! কেন এমন হলো তার উত্তর মেলেনি র‍্যাবের কাছ থেকে। তবে শুধু বলেছেন কৌশলগত কারণেই এমনটি করা হয়েছে...।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে গিয়েছিলেন মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‍্যাবের একদল সদস্য।

তাদের একজন জেল সুপারকে এ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসসহ সাক্ষাৎ করেন। অনেকক্ষণ অফিসে বসেন। কথা বলেছেন। পরে আসামিদের না নিয়ে ফিরে গেছেন। 

চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলায় রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া আসামিদেরকে না নিয়ে কেন ফেরত গেলেন, কারণ জানা যায় নি।

এ বিষয়ে জানতে র‌্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) এর আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র লে. কর্ণেল আশিক বিল্লাহকে ফোন করলে তিনি একটি মিটিংয়ে আছেন বলে ক্ষুদে বার্তা পাঠান।

জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন বলেন,  আসামি নেওয়ার জন্য ৭টি গাড়ি ও ১০ টি মোটর সাইকেল এসেছিল। একজন অফিসার অফিসে আসেন। প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দেন। আবার আসামি না নিয়ে কেন চলে গেলেন, জানি না। তবে আমরা আসামি রেডি করে রেখেছিলাম।

মেজর (অব) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় পুলিশের বহিস্কৃত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়াকে নতুন করে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেয় আদালত। 

গত ৮ ও ৯ আগস্ট কক্সবাজার কারা ফটকে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেয়ায় দশ দিনের রিমান্ড চেয়ে ১০ আগস্ট আদালতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা র‍্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জামিল আহমদ।

গত ১২ আগস্ট টেকনাফের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ্ সাত দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

একই ঘটনায় বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দলাল রক্ষিতকে গত ৬ আগস্ট সাত দিনের রিমান্ড আদেশ দেয় আদালত। তবে তাদের এখনো জিজ্ঞাসাবাদ করেনি।  

গত ৩১ জুলাই পুলিশের গুলিতে খুন হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় তার বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস পুলিশের ৯ জনকে আসামী করে টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত ৫ আগস্ট হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার টেকনাফ থানার মামলা নম্বর : ৯/২০২০, জিআর মামলা নম্বর : ৭০৩/২০২০। মামলাগুলো তদন্ত করছে র‍্যাব।

কক্সবাজার প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়