শেডে থাকা বিপজ্জনক পণ্যের তালিকা করছে বন্দর
বন্দরের নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনালের ‘৩ নম্বর’ শেডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নড়ে উঠলো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক)। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে গঠিত তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদনে ‘পি’ শেডে আমদানি করে ফেলা রাখা কেমিক্যাল ও হ্যাজারাডাস পণ্যের তালিকা তৈরি করতে বলা হয়েছে। আগামী ১৬ আগষ্ট অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতা প্রয়োজন কিনা জানিয়ে এ প্রতিবেদন জমা দিবে কমিটি।
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, 'দীর্ঘদিন খালাস না নেওয়া কিছু পণ্য সম্প্রতি আগুনে পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে এ অগ্নিকাণ্ড কেমিক্যাল জাতীয় পণ্য থেকে হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পর থেকে বিভিন্ন সময় বন্দরে আসা কেমিক্যাল ও ঝুঁকিপূর্ণ পণ্যের অখালাসকৃত চালানের সর্বশেষ অবস্থা নিরূপণ ও করণীয় নির্ধারণের জন্য কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনা গ্রহণ করে। এর ধারাবাহিকতায় এ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কাদের সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কমিটির সদস্য করা হয়েছে বন্দরের পরিচালক নিরাপত্তা ও পরিচালক পরিবহন। এছাড়া কাস্টম হাউসের প্রতিনিধি (যুগ্ম কমিশনারের নিচে নয়), পরিবেশ অধিদফতরের প্রতিনিধি ও কাস্টম হাউসের রাসায়নিক পরীক্ষককে। এ কমিটি চাইলে অন্য যেকোনো কর্মকর্তাকে কো-অপারেটর হিসেবে নিযুক্ত করতে পারবে।'
এই কমিটি কখন রিপোর্ট জমা দিবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সাত দিনের মধ্যে এই কমিটিকে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। গত রোববার (৯ আগস্ট) এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই হিসেবে আগামী ১৬ আগষ্ট এ কমিটি রিপোর্ট জমা দিবেন। কমিটি ‘পি’ শেডে রাখা কেমিক্যাল ও বিপজ্জনক পণ্যের বিবরণ, আমদানির সময়সহ এ তালিকা করবে। কেমিক্যাল ও ঝুঁকিপূর্ণ পণ্য হ্যান্ডলিং, সংরক্ষণ ও ডেলিভারির বিষয়ে কাস্টমস, বন্দর, বিস্ফোরক ও পরিবেশ অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান আইন ও নিয়ম পর্যাপ্ত আছে কিনা তা সুপারিশ দেবে।’
বন্দর সূত্রে জানা যায়, বন্দরের ১৪টি শেড আছে। তারমধ্যে কেমিক্যাল জাতীয় পদার্থ সহ বিপজ্জনক পণ্য 'পি' শেডে রাখা হয়। এছাড়া পণ্যের ক্যাটাগরি অনুযায়ী বিভিন্ন কনটেইনার অন্যান্য শেডে রাখা হয়।
সিভয়েস/এসবি
সিভয়েস প্রতিবেদক