‘কোকো ব্যবসায়ী ও ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে পরিচিত ছিলেন’
ছবি : সিভয়েস
প্রয়াত আরাফাতুল রহমান কোকো রাজনীতিবিদ হিসেবে নয়, একজন ব্যবসায়ী ও ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে পরিচিত ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা.শাহাদাত হোসেন। দেশে ক্রিকেট উন্নয়নে তার অবদান রয়েছে; বলেন শাহাদাত।
বৃহস্পতিবার (১৩ আগষ্ট) বাদে আসর আরাফাত রহমান কোকোর ৫১ তম জন্মদিন উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে দোয়া মাহফিলে এ কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত বলেন, রাজনৈতিক পরিবারে তার জন্ম হলেও তিনি রাজনীতিবিদ ছিলেন না। রাজনীতিতে তার কোনো ভূমিকা ছিলো না। জোট সরকারের আমলে কোকো ক্রিকেট বোর্ডের উপদেষ্টা হিসেবে কোকো ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক উন্নতি হয়েছিল। বিশেষ করে ক্রিকেট খেলায় অভাবনীয় সাফল্য এসেছিল জোট সরকারের আমলে। জাতীয় পর্যায়ে ক্রিকেট খেলোয়াড় তৈরির জন্য কোকো ক্রিকেট খেলাকে জেলা থেকে শুরু করে উপজেলা ও গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন,আরাফাত রহমান কোকো বিএনপির প্রতিষ্টাতা শহীদ জিয়ার সন্তান হলেও দেশ বিদেশের মানুষ প্রথম জানতে পারে ১/১১ সরকারের সময় বেগম খালেদা জিয়ার সাথে গ্রেফতারের পর থেকে।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেন, শহীদ জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার ঘর আলোকিত করে কোকো জন্ম গ্রহন করেছিলেন। এর কিছুদিন পর মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে মেজর জিয়া পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সাথে বিদ্রোহ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের শুরু করে দেন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তারেক রহমান ও কোকোসহ মা বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করে। ১৯৭১ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত তারা ঢাকা ক্যান্টনমেন্টেবন্দি ছিলেন। ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলে মা ভাইসহ কোকো মুক্তি পান।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, ১৯৮১ সালের ৩০ মে শহীদ জিয়া একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে শহীদ হবার পর বেগম খালেদা জিয়ার স্নেহ, ভালবাসায় বড় হয়ে ওঠেন কোকো। ছোটকাল থেকেই কোকো চুপচাপ স্বভাবের ছিলেন। তিনি ব্যবসা, ক্রীড়া ও সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডেই নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন।
দোয়া মাহফিলে শহীদ জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর আত্বার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের আশু রোগ মুক্তি, দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন খতিব মাওলানা মোহাম্মদ এহসানুল হক।
এ সময় চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, হারুন জামান, ইকবাল চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইসকান্দর মির্জা, আনোয়ার হোসেন লিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম, সহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ সালাউদ্দিন, নগর স্বেচ্ছারসবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেম খান, থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, নগর বিএনপির সহ সম্পাদক আবদুল হালিম স্বপন, মোঃ ইদ্রিস আলী, আবু মুছা, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, জসিম উদ্দন জিয়া, হাজী জাহিদুল হাসান, হাবিবুর রহামান নগর বিএনপির সদস্য ইউসুফ সিকদার, জাকির হোসেন, বক্সির হাট ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এস এম মফিজ উল্লাহ, ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব চৌধুরী নাজিম, হাজী এমরান উদ্দিন, নগর ছাত্রদলের সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী প্রমূখ অংশ নেয়।
-সিভয়েস/এমআই/এসসি
সিভয়েস প্রতিবেদক