Cvoice24.com


চট্টগ্রামের ৭৭ শতাংশ করোনা রোগী বাড়িতে থেকে সুস্থ

প্রকাশিত: ১৩:৪২, ২৭ আগস্ট ২০২০
চট্টগ্রামের ৭৭ শতাংশ করোনা রোগী বাড়িতে থেকে সুস্থ

চট্টগ্রামে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৭৭.৭ শতাংশ রোগীই ঘরে থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। হাসপাতালে সেবা নিয়েছেন মাত্র ২২.২ শতাংশ রোগী। ঘরোয়া টোটকা ও টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে চিকিৎসা নিয়েই করোনা জয় করেছেন এ জেলার অধিকাংশ রোগী।

সিভিল সার্জন সূত্রে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, চট্টগ্রামে ১৬ হাজার ৭৬২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে নগরীর ১১ হাজার ৯১২ জন ও জেলার বিভিন্ন উপজেলার ৪ হাজার ৮৫০ জন। এর মধ্য থেকে সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ২৩৯ জন। যা মোট আক্রান্তের ৭৩ শতাংশ ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন। করোনা মৃত্যু হয়েছে ২৬৭ জন। যা মৃত্যুর হার মাত্র ১ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ২শ’ জনে মারা যাচ্ছেন প্রায় ৩ জনের মত। তাই করোনা নিয়ে সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা। 

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মতে, মানুষ চেষ্টা করছেন করোনাকে প্রতিরোধ করে চলার। সামাজিকভাবেও সচেতনতা গড়ে উঠছে। এতে সুস্থতার হার বাড়ছে। এটা আশাব্যঞ্জক। এখানে পুরুষের চেয়ে নারীর সংক্রমণের সংখ্যা অনেক কম। কারণ নারীরা ঘর থেকে কম বের হন। বাইরের মানুষের সংর্স্পশে কম আসেন বিধায় তারা কম আক্রান্ত হচ্ছেন।
এই দিকে করোনার সংক্রমণ প্রতিরোধে বিদেশি নাগরিকসহ চট্টগ্রাম জেলা (সংক্রমিত) থেকে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখার কার্যক্রমও অব্যাহত রয়েছে। চট্টগ্রামে গত ৩ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত শুরু থেকে এ পর্যন্ত যেসব তথ্য-উপাত্ত সিভিল সার্জন অফিস এবং চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে পাওয়া গেছে তা বিশ্লেষণে একটি বিষয় পরিষ্কার যে, প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা অর্থাৎ হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নেয়ার তুলনায় বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিয়ে বেশি রোগী সুস্থ হয়েছেন। শতকরা হিসাবে এটা ৭৭ জন।

এই দিকে চট্টগ্রামে নমুনা পরীক্ষার কমার সাথে সাথে কমেছে শনাক্ত সংখ্যা। 
বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী শনাক্তের হার কিছুটা কমের দিকে। তবে সেপ্টেম্বর মাসে করোনার রোগী আরো বাড়বে। কারণ তখন শীতকাল শুরু হবে। শীতকে ঘিরে সংক্রমণ বাড়ার শঙ্কায় স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া চারদিকে পুরোদমে চালু হয়েছে অফিস ও বিনোদন কেন্দ্রগুলো। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার ওপর জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য বিভাগ। 

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, রোগীদের বেশির ভাগ বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আক্রান্তদের বেশির ভাগেরই উপসর্গ মৃদু। করোনা পজিটিভ অথচ খুব বেশি অসুস্থ নয় এমন রোগীদের তো আমরাই বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নেয়ার পরামর্শ দেই। শ্বাসকষ্ট না থাকলে হাসপাতালে যেতে নিষেধ করা হয়। তাছাড়া মৃদু উপসর্গ যেসব রোগীর রয়েছে তারা হাসপাতালে না এলেও চলে। যাঁদের মাঝারি উপসর্গ এবং অবস্থা জটিল, তাঁরা মূলত বেশি হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। আবার বাড়িতে আইসোলেশনে (বিচ্ছিন্ন রাখা) থাকার সমস্যার কারণেও অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।

সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, চট্টগ্রামে ৭৫ হাজার ৮১৩ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে ১৬ হাজার ৭৬২ জনকেরোনা শনাক্ত হয়েছে। পরীক্ষায় শনাক্ত হার ২২.১ শতাংশ। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ২৩৯ জন। তার মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৭২৮ জন। বর্তমানে আক্রান্তের হার কমলেও সংক্রমণঝুঁকি রয়েই গেছে। তবে আশার বিষয় হলো,বাড়িতে আইসোলেশনে থেকে মোট ৯ হাজার ৫১২ জন (৭৭.৭ শতাংশ) আমাদের তত্ত্বাবধানে সুস্থ হয়েছেন। বাকি যারা বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন, তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়