Cvoice24.com


কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে এগিয়ে ৫৮তম চট্টগ্রাম বন্দর

প্রকাশিত: ১০:৫৭, ৩০ আগস্ট ২০২০
কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে এগিয়ে ৫৮তম চট্টগ্রাম বন্দর

ফাইল ছবি

কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে চট্টগ্রাম বন্দর বিশ্বের ব্যস্ততম বন্দরের তালিকায় ৫৮তম স্থান অর্জন করেছে। গত ২০১৮ সালে একই তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দর ৬৪তম স্থান অর্জন করেছিল। কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ে এক বছরেই চট্টগ্রাম বন্দর ছয় ধাপ এগিয়ে এসেছে লন্ডনভিত্তিক শিপিং বিষয়ক লয়েডস তালিকায়। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে পথ চলতে কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরের আরো সক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাব সংশ্লিষ্টদের।

লয়েডস প্রতিবছরই বিশ্বের ব্যস্ততম বন্দরের তালিকা তৈরি করে থাকে। এ তালিকায় চট্টগ্রাম বন্দর ২০১০-২০১৯ সাল পর্যন্ত যথাক্রমে ৮৮, ৮৯, ৯০, ৮৬, ৮৭, ৭৬, ৭১, ৭০, ৬৪ ও ৫৮ তম স্থান অর্জন করে। মূলত পোশাকশিল্পের রপ্তানির ওপর ভর করেই চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পরিবহনের সংখ্যা বাড়ছে বলে উল্লেখ করা হয় লয়েডস লিস্টের প্রতিবেদনে। তবে অবস্থানগত উন্নতি হলেও প্রতিবেদনে চট্টগ্রাম বন্দরের সম্প্রসারণ জরুরি বলেও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে।

বন্দর সূত্রে জানা যায়, সমুদ্রপথে বাংলাদেশের কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের ৯৮ শতাংশ কাজ পরিচালিত হয় এ বন্দর দিয়ে। এ বন্দর দিয়ে যত পণ্য পরিবহন হয়, তার ২৭ শতাংশ কন্টেইনারে আনা–নেয়া হয়। বাকি ৭৩ শতাংশই আনা–নেওয়া হয় কন্টেইনারবিহীন সাধারণ জাহাজে। সাধারণ জাহাজের (বাল্ক, ব্রেক বাল্ক ও ট্যাংকার) খোলে আমদানি হয় মূলত সিমেন্ট, ইস্পাত ও সিরামিক কারখানার কাঁচামাল এবং পাথর, কয়লা, ভোগ্যপণ্য ও জ্বালানি তেল।

একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মইনুল ইসলামের সাথে এ প্রসঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, 'অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সাথে সামঞ্জস্যতা রেখে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনার পরিবহন বাড়ছে। সারাদেশের সকল ধরণের বাণিজ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের সম্পৃক্ততাও চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য একটি বিশেষ চাপ সৃষ্টি করে। বন্দরের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে এ চাপ কমাতে হবে। তাই মাতারবাড়ি বন্দর, বে টার্মিনাল এবং পতেঙ্গা টার্মিনালের কাজ দ্রুততার সাথে শেষ করা প্রয়োজন। এগুলো যতদ্রুত চালু হবে বাণিজ্যে ততদ্রুত প্রসার দেখা যাবে।'

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'আধুনিক বন্দর ব্যবস্থাপনা, স্বল্প মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি উদ্যোগ, নতুন নতুন হ্যান্ডলিং ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহের পাশাপাশি সরকার, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বন্দর ব্যবহারকারীদের সহযোগিতায় একের পর এক সাফল্য স্বীকৃতি অর্জন করছি আমরা। ধারাবাহিকভাবে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা ক্রমে বাড়ছে। পাশাপাশি পতেঙ্গা কনটেইনার টারমিনাল, লালদিয়া টার্মিনাল, বে টার্মিনাল হয়ে গেলে বিশ্বের শীর্ষ কনটেইনার পোর্টে আমরা অনেক ধাপ এগোতে পারবো বলে আশা করি।'

সিভয়েস/এসবি/এসসি

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়