Cvoice24.com


অপহরণের ২৬ ঘণ্টা পর শর্তসাপেক্ষে ছাড়া পেল যুবসংহতি নেতা

প্রকাশিত: ১৬:০৩, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০
 অপহরণের ২৬ ঘণ্টা পর শর্তসাপেক্ষে ছাড়া পেল যুবসংহতি নেতা

অপহরণের প্রায় ২৬ ঘণ্টা পরে ছাড়া পেয়েছেন জেলা যুব সংহতির সদস্য নুরুল আলম (৪২)। গত ৯ সেপ্টেম্বর রাত দশটার দিকে নিজ ব্যবসায়িক কাজকর্ম শেষে বাসায় ফেরার পথে অপহৃত হন তিনি। পরের দিন ১০ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত ১২টার দিকে শর্তসাপেক্ষে অপহরণকারীদের আস্তানা থেকে ছাড়া পান। বর্তমানে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। 

ভিকটিম নুরুল আলম কক্সবাজার সদর হাসপাতাল সড়ক সংলগ্ন বঙ্গ পাহাড়ের বাসিন্দা মরহুম মুহাম্মদ কালুর ছেলে। তিনি মাল্টি কোম্পানীর কক্সবাজারের পরিবেশক। 

অপহরণকারীদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার খবরে শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় হাসপাতালে দেখতে গেলে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন নুরুল আলম।

তিনি বলেন, সদরের ঝিলংজার দক্ষিণ ডিককুল থেকে আমি ব্যবসায়ীক কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে চারটি মোটর সাইকেল ও ২টি সিএনজি করে একদল অপহরণকারী এসে আমার গতিরোধ করে। এরপর তাদের একটি সিএনজিতে তুলে গহীন অন্ধকার পথ দিয়ে নির্জন আস্তানায় নিয়ে যায়। সেখানে ব্যাপক মারধরপূর্বক ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় চালানো হয় নির্মম শারীরিক নির্যাতন। বন্দুকের বাটের আঘাতে মাথা ও শরীর রক্তাক্ত করা হয়। এ সময় টাকা না দিলে গুলি করে মেরে ফেলবে বলে সাফ জানিয়ে দেয় অপহরণকারীরা।

তিনি আরও বলেন, অপহরণকারীরা আমার হাতে ৪০০০টি ইয়াবা দিয়ে জোরপূর্বক ভিডিও ধারণ এবং এসব ইয়াবা আমার বলে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি আদায় করেছে। পরে চারটি খালি স্ট্যাম্পে দস্তখতও নিয়েছে। এসব ঘটনা প্রকাশ করলে আমাকে জানে মেরে ফেলবে বলেও জানিয়েছে। জীবনের মায়ায় তাদের শেখানো সব কথা মেনে নিয়ে কৌশলে ফেরত আসি। 

নুরুল আলম আরও বলেন, অপহরণকারীরা সংখ্যায় ২২ জন মতো। সারারাত দুই ভাগে আমাকে পাহারা দিয়েছে। প্রতি ভাগে ১১ জন করে ছিল। সেখানে আব্দুল খালেক, মো. ইকবাল, রাশেদ নামের তিনজনকে চিহ্নিত করতে পেরেছি। আব্দুল খালেক দক্ষিণ মুহুরীপাড়ার রুপবান হাকিমের ছেলে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে মামলা রয়েছে। 

এ বিষয়ে জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মুফিজুর রহমান মফিজ বলেন, যুবসংহতি নেতা নুরুল আলম একজন পরিচিত ব্যবসায়ী। তাকে কারা, কেন অপহরণ করেছে তা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব ঘটনা ঘটিয়ে অপরাধীরা পার পেয়ে গেলে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন তৈরি হবে।
 
এদিকে, ঘটনার অনুসন্ধানপূর্বক ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসির দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা মাসুম খান।

কক্সবাজার প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়