Cvoice24.com


চট্টগ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ছাড়াল, নতুন শনাক্ত ৭৬

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
চট্টগ্রামে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ছাড়াল, নতুন শনাক্ত ৭৬

চট্টগ্রামে করোনা সংক্রমিত ব্যক্তির সংখ্যা ১৮ হাজার ছাড়িয়েছে। মারা গেছেন ২৮১ জন। গড় হিসেবে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে ১০৮ জন। যদিও বিনামূল্যে করোনা পরীক্ষা বন্ধ করে মূল্য নির্ধারণ করার পর থেকে পরীক্ষার হার কমেছে। তার এক মাস পর থেকে কমেছে আক্রান্তের হার। গত ৩ এপ্রিল প্রথম চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়‌। এরপর থেকে আক্রান্তের হার ছিলো ২০-২২ শতাংশে। কিন্তু বর্তমানে তা কমে ৬-৮ শতাংশে এসেছে। বিশেষজ্ঞরা দ্বিতীয় দফায় করোনা আক্রমণের শংকা অনুভব করছেন।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে নতুন করে ৭৬ জন করোনা সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়। এ নিয়ে সরকারি হিসাবে চট্টগ্রামে মোট সংক্রমিত ১৮ হাজার ৭৪ জন। সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে ১২ হাজার ৯১৩ জন মহানগর এলাকার ও ৫ হাজার ১৬১ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে কারো মৃত্যু হয়নি। তবে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামে করোনায় মারা গেছেন ২৮১ জন। তাঁদের মধ্যে ১৯৫ জন চট্টগ্রাম নগরের ও ৮৬ জন উপজেলার বাসিন্দা ছিলেন।

বিশ্লেষণে দেখা যায়, চট্টগ্রামে চলতি মাসে সংক্রমণের সংখ্যা কমেছে। চলতি মাসে ১৫ দিনে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৯৬৪ জন এবং আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১০ জন।

চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বী সিভয়েসকে বলেন, এখন আক্রান্তের সংখ্যা কমে এসেছে। তবে জনসচেতনতা কমার কারণে সংক্রমণের হার আবার বাড়তে পারে। মঙ্গলবার চট্টগ্রামে ১ হাজার ১২০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এতে বোঝা যায় আগের তুলনায় আক্রান্তের হার কমেছে। গতকাল আক্রান্তের হার ছিলো ৬ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম অঞ্চলের জনস্বাস্থ্য রক্ষা কমিটি আহ্বায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমানের সাথে কথা বলা হয়। তিনি সিভয়েসকে বলেন, 'এখন আক্রান্তের হার কমলেও পৃথিবীর অন্যান্য দেশের প্রতি দৃষ্টি রেখে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় আরো প্রস্তুতি নিতে হবে। বাইরের দেশগুলোতে দেখছি করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কমতে কমতে হঠাৎ করে তা বেড়েছে। এবং দ্বিতীয় দফায় যা বেড়েছে তা প্রথম দফায় আক্রান্তের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। সুতরাং জনগণকে অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। তারা আক্রান্ত হবে নাকি হবে না, এ সিদ্ধান্ত তারা নিজেরাই নিবেন। এছাড়া রাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় যেন কোনো কমতি না থাকে, যেন আগের চেয়ে আরো ভালো প্রস্তুতি থাকে; সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। কারণ কেউ ভুল করে আক্রান্ত হলেও রাষ্ট্রকে তার চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে।'

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়