Cvoice24.com


সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি ভুক্তভোগীদের

প্রকাশিত: ১৩:৩৩, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি ভুক্তভোগীদের

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগিরা। 

আজ বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, নির্যাতন, মিথ্যা মামলায় হয়রানী ও ভূমিঅধিগ্রহণের টাকা আত্মসাতের এ অভিযোগ তুলে ধরেন ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীরা।

সংবাদ সম্মেলনে মো. নুরুল কবির রানা বলেন, আনোয়ারার চাতুরী গ্রামের নুরুল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন বাবু, জামাল ওরফে বধির জামালসহ তাদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে অন্যের জায়গা দখল, চাঁদাবাজি. মিথ্যা মামলাসহ বিভিন্নভাবে ভূমি অধিগ্রহণের টাকা আত্মসাৎ করছে। এছাড়াও সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু ট্যানেলের সংযোগ সড়কের জন্য ক্ষতিগ্রস্থ জমি মালিকদের জন্য জেলা প্রশাসনের বরাদ্দকৃত ক্ষতিপূরণের টাকা প্রাপ্তিতে এ সংঘবদ্ধ চক্রটি মোটা অংকের কমিশন দাবি করে আসছে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মিথ্যা মামলা ও প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় ও পরিবারের সদস্যদের প্রাণ বাঁচাতে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।  

এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নির্যাতনের শিকার মোহাম্মদ হোসেন জানান, আনোয়ারা উপজেলার বেলচুড়া এলাকা এবং বৈরাগ এলাকায় বিপুল পরিমাণ স্থাবর সম্পদের মালিক ছিলেন তাদের পূর্বপুরুষগণ। আরএস এবং বিএস খতিয়ানমূলে ওয়ারিশসূত্রে এখন মো. হোসেন ও তার স্বজনগণ এসব সম্পদের মালিক। বর্তমানে এসব সম্পত্তি তাদের ভোগ দখলে রয়েছে। ইতোমধ্যে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন প্রকল্প কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু ট্যানেলের আনোয়ারা প্রান্তে সংযোগ সড়ক তাদের জায়গার উপর দিয়ে নির্মিত হচ্ছে। এজন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জমি অধিগ্রহণের জন্য এলএ মামলা নং ৩০/২০১৬/১৭ এর পক্ষে  মো. হোসেনের পিতা মৃত মনির আহমদ ও তার চাচা মো. আমিন শরিফসহ ওয়ারিশগণের নামে পর্যায়ক্রমে ৩ ধারা, ৬ ধারা ও সর্বশেষ ৭ ধারার নোটিশ প্রাপ্ত হয়।

কিন্তু পার্শ্বোবর্তী চাতুরী গ্রামের আবুল হোসেনের পালক পুত্র মো. নুরুল ইসলাম ও তার সহযোগী ক্যান্টিন ইকবাল, নাজিম উদ্দিন বাবু, জামাল ওরফে বোয়ারা জামালসহ একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র মিলে জমির ক্ষতিপূরণের টাকাগুলো আত্মসাতের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ চক্রটি প্রথমে তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের কমিশন দাবি করে এবং কমিশন দিতে রাজি না হওয়ায় তারা পটিয়া তৃতীয় যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মিথ্যা মিচ মামলা নং ০৮/২০২০ দায়ের করে এবং নানাভাবে আরো নামে বেনামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে।

এছাড়াও এই চক্রটি চট্টগ্রাম জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাদের অন্যায়ভাবে চাপ সৃষ্টি করে তাদের ক্ষতিপূরণের প্রাপ্য টাকা প্রদানে বাঁধা সৃষ্টি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।  

এ অবস্থায় চক্রটির বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সহ সরকারী সকল গোয়েন্দা সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. নুরুল কবির রানা, মো. লোকমান, মো. আলী, রশিদা বেগম, সাদ্দাম হোসেন, সিরাজুল হক বাবু, মো. সাহাবুদ্দিন, মো. মামুন সহ অন্যান্য ভূক্তভোগীরা।

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়