Cvoice24.com


বৃষ্টির দাপট অব্যাহত, ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

প্রকাশিত: ১৪:০৩, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
বৃষ্টির দাপট অব্যাহত, ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত

ছবি: সিভয়েস

তীব্র তাপদাহ থামিয়ে দিয়ে তিন দিন ধরে ঝরছে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি।  কখনও  বিরামহীন দুই-চার ঘন্টা, আবার কখনও ঝরছে থেমে থেমে। সকাল - সন্ধ্যা কিংবা রাতে কোনো তফাৎ নেই। ঝরছে তো ঝরছেই।  আগামি ২/৩ দিন এভাবেই কেটে যাবে। তবে আগামি ৭২ ঘন্টা অর্থ্যাৎ  তিন দিন পর থেকে কমবে বৃষ্টির দাপট। চট্টগ্রামসহ সারাদেশে টানা বৃষ্টির পর আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে এমন সম্ভাবনার কথাই বলা হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম আবহাওয়া প্রধান অফিস পতেঙ্গা থেকে জানানো হয়েছে, রেকর্ড অনুযায়ী চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘন্টায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৮৩ মিলিমিটার।যা গত দিনের তুলনায় বেড়েছে। আগের মতই চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর এবং নদী বন্দর গুলোতে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে।

সহকারী আবহাওয়াবিদ ও পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. আব্দুল হান্নান সিভিয়েসকে জানান,  দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘন্টায় ১২ থেকে ১৮ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। যা অস্থায়ী দমকা হাওয়ার আকারে ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি হতে পারে। এই ঝড়ো বাতাসের সাথে চট্টগ্রামে বয়ে যেতে পারে অস্থায়ী দমকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি।  

আবহাওয়া তথ্য মতে,  চট্টগ্রাম সহ বাংলাদেশের উপর ভর করেছে ভারী মৌসুমী বায়ু। যার প্রভাবে কেটে উঠছে না এই সংকেত এবং ঝিরঝিরি বৃষ্টি। তবে গত কয়েকদিনে চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টির রেকর্ড কিংবা সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে চট্টগ্রামের বাইরে দেশের বেশ কিছু স্থানে বেশ বৃষ্টিপাত হয়েছে। এসব কিছু মিলিয়ে শনিবার কিংবা রোববার সার্বিক পরিস্তিতি বিবেচনায় চট্টগ্রামে সংকেত নামিয়ে নেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছে নির্ভরযোগ্য সূত্র।

তবে দিনভর এমন বৃষ্টি আর মেঘের ঘনঘটায় বেশ বিপাকে পড়েছেন নিম্নশ্রেণি পেশার লোকজন। টানা এমন সতর্ক সংকেতের জের যেন লালবাতি জ্বালিয়ে দিয়েছে গরীবের রান্নার চুলায় করোনাকালে এই দাপুটে বৃষ্টি বাড়িয়ে দিচ্ছে জীবন-জীবিকার টানাপোড়েন। সেই বৃষ্টির সাথে জোয়ার মিলে চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, আগ্রাবাদ, মুরাদপুরসহ বেশ কিছু নীচু এলাকার বাসিন্দাদের বন্দি হতে হয়েছে হাঁটু সমান পানিতে। এসব এলাকায় নীচ তলার অনেক দোকান-বাসাবাড়িও বার বার ডুবছে গত দুই-তিন দিন ধরে। বাকলিয়ার বাসিন্দা মহসিন বলেন, 'তিন ধরে জোয়ারের টাইমে বাসায় পানি উঠছে। সাথে ছোট ছোট ড্রেন গুলার কাজ চলছে। তাই জোয়ার চলে গেলে পানি সহজে নামতেও চাইনা।'

অল্প বৃষ্টির সাথে জোয়ারের পানি মিলেমিশে নগরে ডেকে এনেছে জলের ভোগান্তি। এই ক'দিনে দুপুরের দিকে নগরীর নিম্মাঞ্চল তলিয়ে যায় বৃষ্টি-জোয়ারের পানিতে। এতে করে ভোগান্তি বাড়ছে অফিসগামী গণপরিবহন যাত্রী আর নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষের। সেই সাথে ছোট ছোট প্রয়োজনে বাইরে আসা লোকজনও রীতিমত নাজেহাল হয়েছেন বৃষ্টির ঝাপটায়। কাঁচা সবজি বিক্রেতা রহমান বলেন, ' যে বৃষ্টি। স্বাভাবিক দিনের মত অর্ধেকও বিক্রি হচ্ছে না বৃষ্টির দিনে।' প্রায় একই অবস্থা অন্যান্য দোকানিদেরও। এই জুবুথুবু বৃষ্টিতে ব্যবসায়ের  অচলবস্থার কথা বলছেন খাতুনগঞ্জ- রেয়াজুদ্দিন বাজারেরর বড় বড় ব্যবসায়ীরাও।

-সিভয়েস/এপি/এসসি

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়