কক্সবাজারে শুঁটকি শ্রমে ২০ শতাংশ শিশু

কক্সবাজারে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে ২০ শতাংশ শিশু শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছে। যেখানে ৭২ শতাংশ বালিকা এবং ২৮ শতাংশ বালক। তাদের মধ্যে ৪১ শতাংশ ১৪ বছরের নীচে। ১৪ থেকে ১৭ বছরের মধ্যে রয়েছে ৫৯ শতাংশ।  উইনরক ইন্টারন্যাশনাল এর গবেষণায় বেরিয়ে আসে, শিশু শ্রমিকদের মাঝে ৯২ শতাংশ বাংলাদেশি এবং ৮ শতাংশ রোহিঙ্গা। তাছাড়া ৭৫ শতাংশ শিশু শ্রমিক শিক্ষা বঞ্চিত।

১৮ বছরের নীচের শ্রমিকদের নিয়ে ২০১০ সালে সর্বশেষ  গবেষণাটি করেছে বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্টাটিসটিকস।

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে শিশুশ্রম মুক্ত শুঁটকি খাতের প্রত্যাশায় অরুণোদয় স্কুলের সম্মেলন কক্ষে এক কর্মশালার আরোজন করে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা উইনরক ইন্টারন্যাশনাল। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোঃ শাজাহান আলি।

তিনি বলেন, শুঁটকি খাত কক্সবাজারের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। সম্ভাবনার এই খাতকে আরো এগিয়ে নিতে হবে। এ জন্য যে যার অবস্থান থেকে সহযোগিতা করা দরকার এবং এ শিল্প থেকে শিশুশ্রম নিরসনে এ গবেষণাটি ভবিষ্যতে সরকারকে নানাভাবে সহায়তা করবে।

কর্মশালায় জানানো হয়, গবেষণাভুক্ত ১৪ হাজার ৩৬৬ জনের মধ্যে ৬৩ শতাংশ পুরুষ। বাকি ১৭ শতাংশ নারী শ্রমিক। ৫৬১টি শুঁটকি মহালের মধ্যে ২৩% বড়, ৫৩% মাঝারি এবং ২৪% ছোট আকারের। জেলার ৬টি জায়গার মধ্যে সর্বোচ্চ কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেকে ৯২.৭ শতাংশ। বাকিগুলোর মধ্যে সদরের চৌফলদন্ডি ২.৭%, সোনাদিয়া ২.১%, খুরুশকুল ১.১%, ঠাকুরতলা ০.৯% এবং মহেশখালীর ঘটিভাঙ্গায় ০.৫%।

মো. শাজাহান আলি বলেন, কক্সবাজারের চাহিদার আলোকে কামরা কাজ করছি। সে জন্য সরকারি বেসরকারি অনেক সংস্থা প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখছে।

উইনরক ইন্টারন্যাশনালের ক্লাইম্ব প্রকল্পের ক্যাপাসিটি ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিষ্ট মোঃ তানভীর শরীফের সঞ্চালনায় কর্মশালায় গবেষণা কর্ম উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্বিবদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ডঃ মোহাম্মদ আবুল হোসাইন।কর্মশালার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রকল্প পরিচালক এএইচএম জামান খান। উক্ত কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।

-সিভয়েস/এসসি