Cvoice24.com


সাক্ষীরাই চিনেনা আসামিকে, ব্যবসায়ীকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৯:৩০, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
সাক্ষীরাই চিনেনা আসামিকে, ব্যবসায়ীকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে ২ টন গম (৫০ বস্তা) উদ্ধারের একটি মামলায় পতেঙ্গার এক ব্যবসায়ীকে ফাঁসানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

পতেঙ্গা থানা সৈনিক লীগের সভাপতি ও ব্যবসায়ী মো. ইলিয়াছ সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সিভয়েসের কাছে তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ করেন। 

তিনি বলেন-কর্ণফুলী থানা নৌ পুলিশের করা গম উদ্ধারের একটি  মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে। যদিও মামলার বিষয়টি তিনি জানতে পারেন ‘পতেঙ্গার রাজনীতি’ নামক একটি ভুয়া ফেসবুক পেজের মাধ্যমে। পরে থানায় লোকজন পাঠিয়ে এজাহার কপি দেখে মামলার বিষয়ে নিশ্চিত হন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়- গত ২২ সেপ্টেম্বর কর্ণফুলী নদীর শাহমীরপুর এলাকায় একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় দুই টন গম (পঞ্চাশ হাজার টাকা) উদ্ধার করে সদরঘাট নৌ পুলিশ। ওই ঘটনায় চোরাই মালামাল বেচা-কেনার অপরাধে দশজনকে আসামি করে কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা করেন নৌ পুলিশের এসআই মাসুদুল হক। 

মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে কর্ণফুলী থানা এলাকার আপন দুইভাই মো. জসিম ও মো. জাহাঙ্গীরকে। যদিও তারা ঘটনার ব্যাপারে কিছুই জানে না বলে সিভয়েসের কাছে দাবি করেছেন। তবে নৌ থানা পুলিশের আব্দুল জলিল নামের একজন কনস্টেবলকেও মামলায় সাক্ষী করা হয়। 

মামলার এজাহারে থাকা এক নম্বর সাক্ষী জসিম সিভয়েসকে বলেন, ঘটনার দিন গভীর রাতে কর্ণফুলীতে নোঙর করে রাখা তাদের একটি মাছ ধরার নৌকা নৌ পুলিশের সদস্যরা নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে সেখানে যায় জসিম ও জাহাঙ্গীর। এসময় নৌকা নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে নৌ পুলিশের সদস্যরা কোনো কিছু না বলে তাদেরসহ নৌকাটি নিয়ে থানার উদ্দেশে রওনা হয়। তখন ভোর রাত আনুমানিক সাড়ে ৪টা। এসময় কর্ণফুলীর ১২ নম্বর ঘাটে পৌঁছলে সেখানে একটি ডুবানো নৌকা তারা দেখতে পায়। এ সময় অন্ধকার ছিল। কোনো লোকজনও ছিল না। ওই ঘটনার ব্যাপারে আমরা এতটুকুই জানি। সেখান থেকে আমাদের দুই ভাইকে থানায় নিয়ে দিনভর বসিয়ে রাখা হয়। এক পর্যায়ে আমাদের নৌকাটি নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি কাগজে দু’জনকে স্বাক্ষর করতে বলে পুলিশ। এর কারণ জানতে চাইলে পুলিশের লোকজন তাদের নৌকা নিতে হলে এই কাগজে স্বাক্ষর করতে হবে। পরে তাদের চাপে স্বাক্ষর করে নৌকা নিয়ে তারা বাড়ি চলে আসে। 

জসিম বলেন, আমরা থানায় গিয়েছিলাম নৌকাটি নেয়ার জন্য। কিন্তু মামলায় আমাদের সাক্ষী হিসেবে থাকার জন্য কোনো কিছুই বলা হয়নি। পরে আমরা এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানতে পারি আমাকে ও আমার বড়ভাইকে একটি মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে। অথচ ঘটনাটির ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না। যাদের আসামি করা হয়েছে তাদেরকেও আমরা চিনি না। পুলিশ আমাদের দুই ভাইকে শুধু শুধু মামলায় সাক্ষী হিসেবে জড়িয়েছে বলে দাবি করেন জসিম।

এ বিষয়ে সদরঘাট নৌ থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান সিভয়েসকে বলেন- সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করছেন। যদি এ ঘটনায় অন্যায়ভাবে কাউকে আসামি করা হয় তাহলে তিনি রেহাই পাবেন।  

মামলার এজাহারে থাকা দুই নাম্বার আসামি মো. ইলিয়াছ বলেন- ঘটনার দিন আমি ঘরে ছিলাম। পরে মামলার বিষয়ে জানতে পেরে আমি সাক্ষীদের খোঁজ নিই। এ ঘটনাই আমার ভাইকেএক নাম্বার আসামি ও আমাকে দুই নাম্বার আসামি করা হয়েছে। 

তিনি বলেন-এ যাবত কোন থানায় আমার বিরুদ্ধে কোন মামলা বা অভিযোগ নেই। বহু বছর ধরে এলাকায় সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছি। হয়তো কেউ আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এ মিথ্যা মামলাটি সাজিয়েছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়