আপডেট ০৩:০১ পিএম, ডিসেম্বর ১৪, ২০২০
ডিসকভারি চ্যানেলে বাঘ যখন তার হিংস্র থাবায় শিকারীকে ছিন্নবিচ্ছিন্ন করে তাকে ভক্ষণ করে তখন আমরা শিকার হওয়া পশুটির জন্য সামান্য অনুশোচনা করলেও মজা নেয়ার জন্যই মূলত দৃশ্যটা দেখে থাকি। আমাদের দেশের ধর্ষক ও তার সহযোগিদের অবস্থাও এখন এমন পর্যায়ে চলে গেছে। যেন পুরো দেশটায় ডিসকভারি চ্যানেলে রুপান্তরিত।
একটি মেয়েকে ধর্ষণ শুধু একজন করছে না, এ ধর্ষণকাণ্ডে জড়িত যেন একেকটা গ্যাং। একজন ধর্ষণ করলে যেন আর বাকিরা ডিসকভারি চ্যানেল দেখার মত মজা নেয়। কি নির্লজ্জ অবস্থা, আমরা কোথায় গিয়ে পৌঁছেছি, কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে আমাদের বিবেক!
style="text-align:justify">এছাড়াও ধর্ষণের ঘটনা এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে এখন সিনেমা হলে গিয়ে বাংলা সিনেমার ধর্ষণকাণ্ড দেখার দরকার নেই, টিভি খুললেই, পত্রিকা খুললেই, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢুকলেই আপনি দেখতে পাবেন ধর্ষণকাণ্ডের সংবাদ বা সচিত্র ভিডিও। এ যেন সিনেমার নাম ‘ওরা ধর্ষক’ আর আমরা সাধারণ মানুষ এ সিনেমার নীরব দর্শক।
দেখা যায়, হাজারো ধর্ষণের ঘটনার মধ্যে যে ধর্ষণ ঘটনাটি নিয়ে একটু শোরগোল হয় এ ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে গ্রেফতার করে কোনরকম পাবলিক সেন্টিমেন্ট নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলেই যেন রাষ্ট্রযন্ত্রের দায়িত্ব শেষ।
ধর্ষণ প্রতিরোধে এ লোক দেখানো দায়িত্ব পালন মানেই হচ্ছে, রাষ্ট্রযন্ত্রের অপরিপক্কতা, দেউলিয়ত্ব। ঘুনে ধরা সমাজের ঘুন রাষ্ট্রযন্ত্রে গিয়ে বিকল হওয়ার পথে আমরা।
প্রশাসনের এ রকম আচরণ মানে আমাদের ধরে নিতে হবে ‘বিকল’ হয়ে গেছে আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্র। যে দেশে কোনো নারী ঘরের বাইরে গেলে সর্বস্ব মর্যাদা নিয়ে সেই নারী ঘরে ফিরতে পারবে কিনা সেটা নিয়শ্চয়তা নেই, সেই দেশের প্রশাসনের কার্যকারিতা কি থাকতে পারে? সে দেশের প্রশাসন বা রাষ্ট্রযন্ত্রের তার নাগরিকদের প্রতি কোন দায়িত্ববোধ আছে বলে কেউ মনে করলে কি ভুল করবে না?
রাষ্ট্রযন্ত্রের কারিগররা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় থাকে। তাই তাদের মা-বোনদের মর্যাদা নিয়ে তাদের কোন চিন্তা নেই বলে কি তারা প্রতিদিন শত শত ধর্ষণের ঘটনা জেনে-দেখেও ঘুমের ভান করে থাকবে।
তাদের এ ঘুমিয়ে থাকা কি, ‘কুম্ভকর্ণের সুখনিদ্রা’?
রাষ্ট্রযন্ত্রের কারিগরদের বলছি, ভেঙ্গে ফেলুন এ সুখনিদ্রা। আপনাদের রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার শিকল ভেঙ্গে ধর্ষকরা যখন আপনাদের মা-বোনদের দিকে নজর দিবে তখন হায়-হুতাশ করা ছাড়া আর কোন পথ থাকবে না।
বিষয়টি যেভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে এখনই আপনাদের সুখ-নিদ্রা ভাঙার সময়। জেগে উঠুন আমার মা-বোনদের মর্যাদা রক্ষায়, সময় এখনি পদক্ষেপ নেয়ার।
শুধু কয়েকজনকে গ্রেফতার নয়, কঠোর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে ধর্ষণ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুণ। মাদক, ধর্ষণ ও দুর্নীতিমুক্ত একটি সমাজ প্রতিষ্ঠা করুন, ভবিষ্যত প্রজন্ম সুশিক্ষায় গড়ে উঠতে একটি কার্যকর রাষ্ট্রযন্ত্র তৈরি করতে সচেষ্ট হোন। আপনাদের কাছে এটাই আমাদের মত সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা।
-লেখক ও সাংবাদিক
কক্সবাজার জেলা সদরে গণহত্যা সূচনা হয় ১৯৭১ সালে মে মাসে। চট্টগ্রামের বিস্তারিত
ওয়ার ক্রাইম ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি সারা দেশে ৯৪২টি বধ্যভূমির খোঁজ পায়। বিস্তারিত
যে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা যত উন্নত সে দেশের জাতীয় উন্নয়নও তত দ্রুত হয়। বিস্তারিত
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। যার জন্মই হয়েছিল সময়ের বিস্তারিত
একটি কৌতুক জীবনে চলার পথে দেখলাম বারবার সত্য প্রমাণ হয়, একজন আরেকজনকে বিস্তারিত
একটা মহল বা গোষ্ঠী গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন, নিয়াজ মোরশেদ এলিটের পিতা বিস্তারিত
‘আর মাইরেন না, নিউজ করব না’—এ কথাকে সমসাময়িক সাংবাদিকতার বাস্তবতা বলে বিস্তারিত
৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর সারা বাংলাদেশে একাধারে বিস্তারিত
পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি এ জীবন মন সকলি দাও। তার মত সুখ কোথাও কি বিস্তারিত
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নির্বাচনকে ঘিরে বির্তক যেন পিছু ছাড়ছে না। বিস্তারিত
গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে ১ হাজার ৪৫৭ টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে করোনা বিস্তারিত
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় জান্নাতুল তাসলিমা বৃষ্টি (২০) নামের এক বিস্তারিত
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য, চট্টগ্রাম সিটি বিস্তারিত
সর্বস্বত্ত্ব সংরক্ষিত, এই ওয়েব সাইটের যেকোন লিখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ন বেআইনি
Copyright © cvoice24.com 2018
Design & Developed by: Muktodhara Technology Ltd.