Cvoice24.com


চান্দগাঁও-সদরঘাটের ধর্ষণের ঘটনায় ২ আসামির স্বীকারোক্তি

প্রকাশিত: ১৬:০৭, ১২ অক্টোবর ২০২০
চান্দগাঁও-সদরঘাটের ধর্ষণের ঘটনায় ২ আসামির স্বীকারোক্তি

নগরীর চান্দগাঁওয়ের চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ ধর্ষণ ও সদরঘাটের ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরী ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ঘটনায় করা মামলার পৃথক দুইজন আসামি। সোমবার (১২ অক্টোবর) মহানগর হাকিম সরোয়ার জাহান ও শফি উদ্দিনের আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা অনুযায়ী তারা পৃথক পৃথকভাবে স্বীকারোক্তিমূলক এ জবানবন্দি দেন।

দুই আসামি হলেন- মো. সুজন (২৪) ও মো. রিয়াজ (২২)। এদের মধ্যে মো. সুজন চান্দগাঁওয়ের গৃহবধূ ধর্ষণ মামলার আসামি ও মো. রিয়াজ সদরঘাটের ১৬ বছর বয়সী কিশোরী ধর্ষণ মামলার আসামি। দুই আসামির জবানবন্দি দেয়ার বিষয়টি সিভয়েসকে নিশ্চিত করেন নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) শাহাবুদ্দিন আহমদ।

আদালত সূত্র জানায়, গত ৮ অক্টোবর রাত সাড়ে ​​​​​১১টার দিকে রাঙ্গুনিয়া থেকে নগরীতে ফেরার পথে চান্দগাঁও থানাধীন মৌলভী পুকুর পাড় এলাকায় অটোরিকশা থেকে নামিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করা হয়। এঘটনার সঙ্গে জড়িত সুজনসহ ৮ জনকে পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে র‌্যাব। 

সুজন ছাড়া বাকী ৭ আসামি হলেন- জাহাঙ্গীর আলম (৩৮), মাে. ইউসুফ (৩২), মাে. রিপন (২৭), দেবু বড়ুয়া প্র. জোবায়ের হােসেন (নও মুসলিম) (৩১), মাে. শাহেদ (২৪), রিন্টু দত্ত প্র. বিপ্লব (৩০), মনােয়ারা বেগম প্র. লেবুর মা (৫৫)। এদের মধ্যে মো. ইউসুফ গত ১১ অক্টোবর ধর্ষণ ঘটনার সাথে নিজের সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছিলেন।

আদালত সূত্র আরও জানায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর সদরঘাট থানাধীন সরকার পুকুর পাড় এলাকার বন্ধুর বাসায় পুষলিয়ে নিয়ে গিয়ে ১৬ বছরের এক তরুণীকে ধর্ষণ করেন মো. রিয়াজ। এ ঘটনায় কিশোরীর পিতা সিএন্ডএফ এজেন্টের কর্নচারী মাসুম বিল্লা বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এরপর সোমবার (১২ অক্টোবর) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে সদরঘাট থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং আদালতে উপস্থাপন  করেন।

নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেন, পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলার দুই আসামিকে আদালতে হাজির করলে তারা দোষ স্বীকার করে বিচারকের কাছে জবানবন্দি দেন। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

-সিভয়েস/এসএইচ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়