Cvoice24.com

চট্টগ্রামে আজ, বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪

সময় ঘন্টা মিনিট সেকেন্ড


সিনহা হত্যা মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জের শুনানি ১০ নভেম্বর

প্রকাশিত: ০৮:৪৬, ২০ অক্টোবর ২০২০
সিনহা হত্যা মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জের শুনানি ১০ নভেম্বর

মেজর (অবঃ) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি পক্ষের করা রিভিশন মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ১০ নভেম্বর।

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে শুনানি শেষে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল পরবর্তী এ দিন ধার্য্য করেন।

শুনানিতে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফার সময়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন।  

সিনহা হত্যা মামলার চলমান বিচারিক কার্যক্রমকে বেআইনি ও অবৈধ দাবি করে  অভিযুক্ত প্রধান আসামি পুলিশের বহিষ্কৃত পরিদর্শক লিয়াকত আলীর পক্ষে গত ৪ অক্টোবর কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ রিভিশন মামলা করা হয়েছিল।
এর আগে বহিস্কৃত পরিদর্শক লিয়াকতের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট মাসুদ সালাহউদ্দিন।

পরে বাদীর আইনজীবী শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করলে আদালত আগামী ১০ নভেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য্য করেন।

মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়ারের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এড. মোহাম্মদ মোস্তফা, পাবলিক প্রসিকিউটর পিপি অ্যাড ফরিদুল আলমসহ সিনিয়র আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।    

বহিস্কৃত পরিদর্শক  লিয়াকতের নিযুক্ত আইনজীবি এড মাসুদ সালাহউদ্দিন  জানান, গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র  জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে যে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। সেই মামলার আদেশের বিরুদ্ধে বৈধতা চ্যালেঞ্চ করে রিভিশন মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। কেননা সিনহা হত্যার ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ঘটনার পর পরই  আরো দুইটি মামলা দায়ের করেছিল। 

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ রোডে শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর  সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এরপর ৫ আগস্ট এ ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয় র‌্যাবকে। ৬ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টেকনাফের থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ এবং বাহারছরা পুলিশ ফাড়ীর তৎকালীন ইনচার্জ বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত সহ পুলিশের ৭ সদস্য। পরে র‌্যাব এপিবিএন’র ৩ সদস্য, পুলিশের মামলার ৩ সাক্ষী ও সর্বশেষ পুলিশের একজন কনস্টেবলকে আটক করেন। এই মামলায় এখন মোট আসামি ১৪ জন। ১২ জন আসামি এ পর্যন্ত আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

কক্সবাজার প্রতিনিধি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়