Cvoice24.com

চট্টগ্রামে আজ, বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪

সময় ঘন্টা মিনিট সেকেন্ড


চট্টগ্রামেও সুপার ফ্লপ 'সাহসী হিরো আলম'

প্রকাশিত: ১১:০০, ২৩ অক্টোবর ২০২০
চট্টগ্রামেও সুপার ফ্লপ 'সাহসী হিরো আলম'

ফেসবুক, ইউটিউবের কল্যাণে পরিচিতি পেয়ে 'নায়ক' বনে যান বগুড়ার আশরাফুল ইসলাম আলম ওরফে হিরো আলম। তবে ফেসবুক-ইউটিউবে তার লাখ লাখ ফলোয়ার থাকলেও হিরো আলমের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিটি সারা দেশের মত চট্টগ্রামেও সুপার ফ্লপ। মুক্তির পর মুখ থুবড়ে পড়ে ‘সাহসী হিরো আলম’। এরজন্য ছবির মানহীনতাকেই দায়ী করছেন হল কর্তৃপক্ষ।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পরিচিতিকে পুঁজি করে নির্মিত হয় 'সাহসী হিরো আলম' নামের একটি সিনেমা। তবে করোনার সংকট কাটিয়ে সিনেমা হল চালুর পর সারা দেশে একযোগে ৪০ সিনেমা হলে মুক্তি পায় এই সিনেমাটি। চট্টগ্রামে একমাত্র সিনেমা প্যালেস হলে মুক্তি পায় 'সাহসী হিরো আলম' সিনেমাটি গত ১৭ সেপ্টেম্বর। কিন্তু কোনও রকমে ৭ দিন পার করেই হাঁপ ছেড়ে বাঁচে সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ। দৈনিক তিনটি শোতে ৮০০ আসনের এ সিনেমা হলে প্রতি শোতে ১০ থেকে ২০ জনের বেশি দর্শক পায়নি হল কর্তৃপক্ষ। এরকম কোনো সিনেমার বেলায় ঘটেনি বলে জানিয়েছিন সিনেমা প্যালেস হলের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন। 

তিনি সিভয়েসকে বলেন, 'সেল এতো খারাপ যে হলের নিয়মিত কর্মচারীর বেতন, হলের বিদ্যুৎ-পানির বিল দেয়া সম্ভব হবে না। হিরো আলমের এ ছবি নেয়া চরমভাবে ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। এর চেয়ে বাজে ছবি আর হতে পারে না। করোনার মধ্যেও মানুষ টাকা সময় ব্যয় করে ছবি দেখতে এসে কিছুক্ষণ হল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। তাহলে ছবির অবস্থা কত খারাপ বলার অপেক্ষা রাখে না। ৮০০ সিটের হলে দৈনিক তিন শোতে ৮ থেকে ১০ জনের বেশি হয়নি গড়ে। একবার দুবার ১৫ থেকে ২০ জন দর্শক হলেও তারা পুরো সময় না দেখে হল থেকে বের হয়ে যায়।'

আজ (২৪ অক্টোবর) থেকে 'চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্লা মাইয়া' সিনেমাটি প্রদর্শন করা হচ্ছে বলেও জানান সিনেমা প্যালেসের ম্যানেজার নিজাম উদ্দিন।  

চলচিত্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সমাজ, সংস্কৃতি, দর্শকদের জীবনবোধের সঙ্গে মিল নেই এমন ছবি দর্শক কোনোভাবেই গ্রহণ করে না তার বড় প্রমাণ হিরো আলমের এই ছবি। আলমের মতো সবাই নায়ক হতে চায়। কিন্তু আদৌ নায়ক হওয়ার যোগ্যতা আছে কিনা হাজারবার ভেবে মাঠে নামা উচিত। শিল্পীরা সাধারণ মানুষদের কাছে একপ্রকার অ্যাম্বাসেডর। ইংরেজিতে ডাবিং বা সাবটাইটেল করে ‘সাহসী হিরো আলম’ যদি পশ্চিমা বিশ্বে মুক্তি দেয়া হয় তাহলে তারা মনে করবে বাংলাদেশের নায়ক বা কালচার এমন! খুব লজ্জাজনক বিষয় এটি! এই ধরনের ছবি আগামিতে যদি মুক্তি দেয়া হয় তাহলে আমাদের সিনেমাগুলো জাতীয় যাদুঘরে জায়গা পাবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সিনেমা হল সম্পর্কে জানতে যাদুঘরে যেতে হবে। নির্মাতা ও প্রযোজকদের এখনও সচেতন হওয়া উচিত। সেন্সরবোর্ডে যারা আছেন তাদের কাছে অনু্রোধ আপনারা আরও জেনেবুঝে ছবিগুলো সেন্সর ছাড়পত্র দিবেন।

চট্টগ্রাম সিনেমা প্রদর্শক সমিতির সাবেক সভাপতি ও সিনেমা প্যালেসের কর্ণধার আবুল হোসেন বলেন, 'এ ছবির গল্পের কোনো আগামাথা নেই। অবান্তর, আজগুবি দৃশ্যে ভরপুর। প্রধান চরিত্রে যারা অভিনয় করেছে, তারা অভিনয়ের ‘অ’ জানে কিনা সন্দেহ! পরিচালক পড়ে আছেন ৯০ দশকের চিন্তাধারায়। নিয়মিত বাংলা ছবির গুটি কয়েক দর্শক যারা সিনেমা হলে এসেছিল তারা বেশিক্ষণ হলে থাকেনি।'

চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে আনকাট মুক্তির অনুমতি পাওয়া ‘সাহসী হিরো আলম’ এর পরিচালক মুকুল নেত্রবাদী। যেখানে আলমের বিপরীতে তিনি নায়িকা সাকিরা মৌ, রাবিনা বৃষ্টি ও নুসরাত জাহান।

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়