Cvoice24.com

চট্টগ্রাম বন্দর
সংকেত নামতেই বহির্নোঙরে পণ্য খালাস শুরু

প্রকাশিত: ০৮:১২, ২৪ অক্টোবর ২০২০
সংকেত নামতেই বহির্নোঙরে পণ্য খালাস শুরু

বৈরী আবহাওয়ার কারণে টানা দ্বিতীয় দিনের মত বন্ধ থাকার মাঝ পথেই নামিয়ে ফেলা হয় আবহাওয়ার সর্তকতা সংকেত। সংকতে নামতেই দুপুর সাড়ে ১২টার পর থেকে বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস শুরু হয়। ফলে টানা সাড়ে চার দিন বন্ধ থাকার পর এ অচলাবস্থার অবসান হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম বন্দর সচিব ওমর ফারুক সিভয়েসকে বলেন, 'সমুদ্র বন্দর থেকে আবহাওয়া অফিস সর্তকতা সংকেত নামিয়ে ফেলায় বহির্নোঙর থেকে বন্ধ থাকা পণ্য খালাস শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার পর থেকে লাইটার জাহাজগুলো পণ্য খালাসের জন্য বহির্নোঙরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।'

এদিকে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস বলছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে শনিবার দুপুর ১২টার পর চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর সর্তক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে। 

বন্দরের বহির্নোঙরে গত চার দিনের বেশি পণ্য খালাস বন্ধ থাকায় বাড়তি জরিমানা গুণতে হচ্ছিল পণ্যবাহী জাহাজগুলোকে। তবে বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ থাকলেও বন্দর জেটিতে জাহাজে কনটেইনার উঠানামা স্বাভাবিক ছিল।

লাইটার জাহাজ তদারককারী প্রতিষ্ঠান ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের যুগ্ম সচিব আতাউল করিম রঞ্জু (অপারেশন) জানান, ধর্মঘট কাটিয়ে শুক্রবার বহির্নোঙর থেকে পণ্য খালাসের জন্য ৪০টি লাইটার জাহাজ যাওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল। কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে তা ব্যাহত হয়। শনিবারও সর্তকতা সংকেত তিন থাকায় বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ ছিল দুপুর ১২ টা পর্যন্ত। পরে সংকেত নামিয়ে ফেললে বন্দর কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেয়ে লাইটার জাহাজগুলো বহির্নোঙরে রওনা দেয়।  

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে মাদার ভেসেল (বড় আকারের সমুদ্রগামী জাহাজ) থেকে লাইটার জাহাজগুলো (অভ্যন্তরীণ রুটের ছোট আকারের) জাহাজ বহির্নোঙরে অবস্থানরত মাদার ভেসেল থেকে পণ্য বোঝাই করে দেশের বিভিন্ন স্থানে পৌঁছে দেয়। এবং বন্দর জেটিতেও পণ্য আনা নেওয়ার কাজ করে থাকে। 
 
চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য অনুযায়ী, ২০ অক্টোবর পর্যন্ত বহির্নোঙ্গরে পণ্যবাহী ৫৪ টি জাহাজ অবস্থান করছে। নৌ যান শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে পণ্য খালাস বন্ধ হয়ে যায় ৪০ টি জাহাজে। এসব জাহাজে ৮,৯৫,৩৪০ মেট্রিক টন পণ্য রয়েছে। 

এর মধ্যে ক্লিংকারবাহী ১০ টি জাহাজে ১,৪৮,২১১ মেট্রিক টন, স্ল্যাগবাহী ১ টি জাহাজে ২৯ হাজার মেট্রিক টন, লাইম স্টোনবাহী ৩ টি জাহাজে ১,০০,৪৬৫ মেট্রিক টন, জিপসামবাহী ১ টি জাহাজে ৪৫,৯০০ মেট্রিক টন, বল ক্লে বাহী ৩ টি জাহাজে ৭,৬৬০ মেট্রিক টন, চিনিবাহী ১ টি জাহাজে ৪৩,১৯০ মেট্রিক টন, স্টোন বাহী ১ টি জাহাজে ১৭০০ মেট্রিক টন কয়েলবাহী ২ টি জাহাজে ৩০,৫৮০ মেট্রিক টন, গমবাহী ৮ টি জাহাজে ২৫৫৮৭৪ টন এবং ১০ টি জাহাজে  বিভিন্ন ২,৩২,৭৬০ টন বিভিন্ন পণ্য রয়েছে। এছাড়া ৩ টি জাহাজ বার্থিংয়ের ১১ টি জাহাজ পণ্য খালাসে নির্দেশনার অপেক্ষায় আছে বহির্নোঙ্গরে।

-সিভয়েস/এডি

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়