Cvoice24.com


‌‘তৃণমূলের সর্বস্তরের জনগণ বিএনপির সাথে আছে’

প্রকাশিত: ১৮:০৪, ২৪ অক্টোবর ২০২০
‌‘তৃণমূলের সর্বস্তরের জনগণ বিএনপির সাথে আছে’

কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নির্বাচনে ভোটার আসার বিষয়ে বিএনপির একটা ভূমিকা আছে বলে মন্তব্য করে স্বীকার করে নিয়েছেন যে, বাংলাদেশের তৃণমূলের সর্বস্তরের জনগণ বিএনপির সাথে আছে। বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। দেশের নব্বই ভাগ ভোটার বিএনপির সাথে আছে। বর্তমানে এই নব্বই ভাগ মানুষ ভোট দিতে যায় না। বাকী দশ ভাগ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের ব্যাপক তাণ্ডব, ভোট-সন্ত্রাস ও নানা অপকর্মের ভোট। ফলে এটি আরেকবার সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের তোয়াক্কা করে না। দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের সাথে নেই। এটা দশ ভাগ ভোটারের নির্লজ্জ সরকার। বর্তমানে সংখ্যা গুরুর নয়, সংখ্যালগুর সরকার ক্ষমতায় আছে। এখন জনগণকে বেচে নিতে হবে দশ ভাগ ভোটারের দল ক্ষমতায় থাকবে নাকি নব্বই ভাগ ভোটারের দল ক্ষমতায় থাকবে?
 
শনিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সাবেক ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে ছাত্রদলের প্রয়াত নেতাদের স্মরণে আয়োজিত স্বরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, নির্বাচনে বিএনপির সমর্থক ও ভোটারদের ওপর হামলা এবং ব্যাপক ভোট জালিয়াতির আশ্রয় নিলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সরকার অনুগত প্রশাসন সেসব দেখেও না দেখার ভান করে। এসব অনিয়ম, ভোট জালিয়াতি ও পেশী শক্তির বিষয়ে অভিযোগ করা হলেও রিটার্নিং কর্মকর্তারা কোনো ব্যবস্থা নেয় না। প্রশাসন, নির্বাচন কমিশনসহ সব কিছু চলছে সরকারের ইশারায়, দেশের গণতন্ত্র ও সুশাসন আজ ভুলণ্ঠিত। এর থেকে আমাদের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করতে হবে দেশের নব্বই ভাগ জনগণকে সাথে নিয়ে। তাহলেই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।

এসময় প্রয়াত ছাত্রদল নেতাদের শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করে তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তিনি।

দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ মোহাম্মদ মহিউদ্দীনের সভাপতিত্বে স্বরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশন সরকারের ঠুঁটো জগন্নাথে পরিণত হয়েছে। বরাবরের মতোই উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচন গুলোতেও সরকার দলীয় প্রার্থীদের বিজয়ী করতে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত নির্লজ্জ। নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান হলেও নিজেদের স্বাধীন সত্তা বিকিয়ে দিয়ে সরকারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদল নেতারা গুরুতপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। বর্তমান অবৈধ সরকারের অন্যায় অত্যাচারের জবাব দিতে সাবেক ছাত্রদল নেতাদের এগিয়ে আসতে হবে। ছাত্রদলই পারবে বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারের পতন ঘটাতে। তাই সারাদেশের সাবেক ছাত্রনেতা ও বর্তমান ছাত্রদল নেতাদের সমন্বয়ে আন্দোলন শুরু করার আহবান জানান তিনি।

স্বরণ সভা প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব খোরশেদ আলমের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলী আব্বাস, সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান, আহবায়ক কমিটির সদস্য এড. ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, সাবেক ছাত্রদল নেতা ওয়াহাব কাসেমী, শাখাওয়াত জামাল দুলাল, এস এম সাইফুল আলম, এম মন্জুর উদ্দীন চৌধুরী। 

স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বরণ সভা প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক কামরুল ইসলাম হোসাইনী। বক্তব্য রাখেন সাবেক ছাত্রদল নেতা মোজাম্মেল হক, লিয়াকত আলী চেয়ারম্যান, নুরুন্নবী চৌধুরী, এস এম মামুন মিয়া, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, সালাউদ্দীন চৌধুরী, জিয়াউদ্দীন চৌধুরী আশফাক, ভিপি মোজাম্মেল হক, হুমায়ুন কবির আনসার, মহসিন চৌধুরী রানা, জসিম উদ্দীন, ইউনুছ মিয়া, নুরুল কবির বাদশা, মাহমুদুর রহমান মান্না, আকতার নবী প্রমুখ। 

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়