Cvoice24.com


বন্দরে পৌঁছল রেলের নতুন ২০ বগি

প্রকাশিত: ১৪:২৫, ২৫ অক্টোবর ২০২০
বন্দরে পৌঁছল রেলের নতুন ২০ বগি

দীর্ঘদিন ধরে নতুন ইঞ্জিন যুক্ত হয়নি রেলের বহরে। চাহিদার তুলনায় কম যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের বগি।  ইঞ্জিন ও বগি সংকটে  মুখে রেলের সময়সূচিতে প্রচণ্ড ব্যাঘাত ঘটে। এ অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়ার ১০টি ইঞ্জিন ও ইন্দোনেশিয়ার ২০০ বগি দেখাচ্ছে আশার আলো। ইঞ্জিনগুলো এখনও ট্রায়ালে আছে। আগামী একমাসের মধ্যে ট্রায়াল সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে রেলের বহরে যুক্ত হবে এসব ইঞ্জিন। 

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল সংশ্লিষ্টরা জানান, রবিবার (২৫ অক্টোবর) ইন্দোনেশিয়া থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে আরও ২০টি নতুন বগি। এর আগে কয়েক ধাপে ১৮০ বগি চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে রেলওয়ের পাহাড়তলী কারখানায়। সবমিলিয়ে রেলের বিদ্যমান সংকট কাটাতে সরকার ৮০০ কোটি টাকা মূল্যের ২০০ বগি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। তার সবক’টি এখন এসে পৌঁছেছে। অন্যদিকে দক্ষিণ কোরিয়া তগেজে কেনা হয়েছে ৩০০ কোটি টাকার ১০টি ইঞ্জিন। যা বর্তমানে লোড ও লাইট ট্রায়ালে আছে। 

এসব ইঞ্জিন ও বগি পুরোদমে চালু হলে ট্রেনের গতি বাড়বে। বেড়ে যাবে যাত্রী পরিবহনের সক্ষমতা। পরিবহন সংকট কেটে উঠার খবরে খুশি রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের কর্মকর্তারাও। বিভাগীয় ব্যবস্থাপক সাদেকুর রহমান বলেন, রেলওয়েতে প্রতিদিন পরিবর্তন আসছে। নতুন কোচ ও ইঞ্জিন গুলো পুরোদমে চালু হলে যাত্রী সেবার মান বাড়বে।’

আরও ২০টি নতুন বগি আসার বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি সিভয়েসকে বলেন, ‘বগিগুলো বন্দরে এসেছে। আগের ১৮০ টি এবং নতুন ২০ টি বগিসহ মোট ২০০ টি বগি হলো। '

অন্যদিকে এসব বগি কোন কোন ট্রেনে যুক্ত হবে তা এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে নভেম্বরের ৩ তারিখে নতুন বগি সংযোজন করা হবে সুবর্ণ এক্সপ্রেসে। পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের নির্ভরযোগ্য  সূত্র জানায়, কালনী ও উপকূল এক্সপ্রেসের জন্য নতুন বগি সংযোজনের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। 

এদিকে নতুন ১০ টি ইঞ্জিনের ট্রায়াল চলছে।  এখন পর্যন্ত প্রতিদিনই লোকোমোটিভের লাইট এবং লোড ট্রায়াল সম্পন্ন হচ্ছে । রেলওয়ে সূত্র জানায়, এসব ইঞ্জিনের কমিশনিং করছেন ৯ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল। কোচ কম্পোজিশন অনুযায়ী ১৮টি কোচ প্যাসেঞ্জার বহন ক্ষমতার ওজনের বালুর বস্তা দিয়ে একটি ইঞ্জিনের লোড ট্রায়ালও করা সম্পন্ন হয়েছে। ট্রায়ালে শতভাগ কার্যকর প্রমাণ হলে ইঞ্জিনগুলো ট্রেনের সঙ্গে যুক্ত হবে। 

রেলওয়ে প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী ফকির মো. মহিউদ্দিন সিভয়েসকে বলেন, "ইঞ্জিনগুলোর লাইট এবং লোড ট্রায়াল এবং কমিশনিং চলছে।’ তবে পুরোপুরি ট্রায়াল শেষ করে ট্রেনের বহরে এসব ইঞ্জিন যুক্ত হতে আরও একমাস সময় লাগতে পারে বলেও জানান তিনি। 

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ রেলওয়েতে এ পর্যন্ত ১৭৮টি মিটারগেজ এবং ৯০টি ব্রডগেজ মোট ২৬৮টি ইঞ্জিন বা লোকোমোটিভ রয়েছে। এসব ইঞ্জিন দিয়েই বিভিন্ন রুটের ট্রেন পরিচালনা করা হচ্ছে। ট্রেনের তুলনায় ইঞ্জিনের সংখ্যা কম হওয়ায় যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলে সমস্যা অনেক দিনের। এ কারণে যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী ট্রেনে মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়। তাতে পথিমধ্যে ইঞ্জিন বিকল হয়ে প্রায় যাতায়াতে ব্যাঘাতের ঘটনা ঘটে । এজন্যই রেলওয়ে নতুন ইঞ্জিন আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়। এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ৪০০ কোটি টাকা ব্যয় মিটারগেজ এসব ইঞ্জিন কোরিয়ার হুন্দাই রোটেম কোম্পনির কাছ থেকে কেনা হয়েছে।

সিভয়েস/এপি

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়