Cvoice24.com


কম খরচে বৈদ্যুতিক অভাবনীয় আবিষ্কারে শরিফুল

প্রকাশিত: ০৯:৫২, ২৮ অক্টোবর ২০২০
কম খরচে বৈদ্যুতিক অভাবনীয় আবিষ্কারে শরিফুল

একসময় বিদ্যুতের ব্যবহার মানুষকে বিস্মিত করেছিলো। এরপরে একে একে বিস্ময়ের সীমানা পার করতে থাকে বিজ্ঞানের অভূতপূর্ব নানা আবিষ্কার। এ বিস্ময়ের ঠাসাঠাসিতে তাক লাগিয়েছে কুষ্টিয়া জেলার সুধিরাজপুর গ্রামের এক দরিদ্র ও মেধাবী আবিষ্কার পিপাসু শরিফুল ইসলাম (৩২)।

শরিফুল ইসলাম তার দারিদ্রতার সীমার মধ্যে থেকে আবিষ্কার করেছে অভাবনীয় কিছু প্রযুক্তি, যা অনেকাংশে সেন্সর নির্ভর। যেমন- মোবাইলের মাধ্যমে সাধারণ বৈদ্যুতিক সুইচ নিয়ন্ত্রণ, ছাদে শুকাতে দেয়া কাপড় মেঘের ছায়ায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে গুটিয়ে নেয়া, খরচ ছাড়া চম্বুকের সাহায্যে ২০০ ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ও টাংকি পানি ভর্তি হলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে মোটরের সুইচ বন্ধ হয়ে যাওয়া। এরমধ্যে কয়েকটি আবিষ্কার ইতোপূর্বে চীন-জাপানের মতো প্রযুক্তিনির্ভর দেশে করা হলেও শরিফুলের আবিষ্কারগুলো যথেষ্ট সাশ্রয়ী।

তিনি ব্যক্তিগত কাজে চট্টগ্রামে আসায় সিভয়েস২৪ ডট কম-এর অফিসে আসেন। তার আবিষ্কারগুলো উপস্থাপন করে তিনি বলেন, 'আমি ২০১৩ সাল থেকে এ ধরনের বিভিন্ন যন্ত্র নিয়ে কাজ করছি। আমার অধিকাংশ কাজ সেন্সর নির্ভর। এ কাজগুলো করতে আমাকে নানা রকমের বেগ পেতে হয়েছে‌। কারণ আর্থিক টানাপোড়েনের মধ্যে থেকে আমাকে কাজগুলো করতে হয়েছে। তাই প্রতিটি আবিষ্কার আমি কম খরচে করার চেষ্টা করেছি এবং সফল হয়েছি।'

তার এ আবিষ্কারের মধ্যে কয়েকটি আবিষ্কারের সফল ভাবনা অন্য দেশে হয়েছে। এরপরেও কেন এ কাজগুলো করার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি আসলে এ কাজগুলো কোনো অনুকরণ করে করিনি। তবে আমি দেখেছি, আমার আগেই কিছু কাজ অন্য দেশের বিজ্ঞানীরা সফলভাবে করেছেন। তবে তাদের সাথে আমার কাজের একটা পার্থক্য আছে। সেটা হলো খরচের। আমার প্রতিটি কাজ অনেক কম খরচে করি।'

তার শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি ভোকেশনাল থেকে এসএসসি পাশ করার পর দীর্ঘদিন পড়ালেখায় বিরতি ছিলো। পরে আবার টাকা-পয়সার ব্যবস্থা করে কুষ্টিয়া আইডিয়াল পলিটেকনিক থেকে এইচএসসি সমমানের ডিপ্লোমা করেছি। তবে এ আবিষ্কারের জন্য প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার চেয়েও আমার আবিষ্কারমূলক কাজের চিন্তা-ভাবনা অনেক বেশি কার্যকরি বলে মনে করি।'

তার পেশা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি ইলেক্ট্রিক্যালের বিভিন্ন কাজ করি। এলইডি লাইট রিপেয়ার (মেরামত) করি, বাসা-বাড়িতে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ করি। এছাড়াও বাজার থেকে এলইডি লাইট কিনে তা দিয়ে গ্রাহকের ইচ্ছেমতো সাজাই। এসব করে আমার সংসার চলে। পাশাপাশি আবিষ্কারমূলক কাজে খরচ করি। তবে আমি যদি সরকার থেকে এ কাজের জন্য কোনো সাহায্য-সহযোগিতা পাই, তাহলে আমার কাজের স্পৃহা আরো বাড়বে। সহযোগিতা পেলে আমি আরো ভালো কিছু কাজ করে তা অল্প খরচে মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবো।'

শুভ্রজিৎ বড়ুয়া

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়