Cvoice24.com


সিটি হেলথ ক্লিনিকের পরিচালক-নার্স কারাগারে

প্রকাশিত: ১০:৩৬, ১২ নভেম্বর ২০২০
সিটি হেলথ ক্লিনিকের পরিচালক-নার্স কারাগারে

অবৈধভাবে গর্ভপাত করাতে গিয়ে নার্সের হাতে রিফাত নামে এক কলেজ ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় চকবাজারের সিটি হেলথ ক্লিনিকের পরিচালক হারুন অর রশিদ (৬০) ও গীতা দাস (৪৫) নামের ক্লিনিকের একজন নার্সকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে মহানগর হাকিম সরোয়ার জাহানের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে পুলিশ ক্লিনিকের ওই পরিচালক ও নার্সকে আদালতে হাজির করেন।

নগর পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) শাহাবুদ্দিন আহমদ সিভয়েসকে বিষয়টির নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতে উপস্থাপনের পর আসামিদের পক্ষে একটি জামিনের আবেদন করা হয়। আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এর আগে বুধবার (১১ নভেম্বর) রাতে আদালতের নির্দেশে অভিযান চালিয়ে নগরীর চকবাজার থানার সিটি হেলথ্ ক্লিনিক সিলগালা করে দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। পরে চকবাজার থানা পুলিশ ক্লিনিকের পরিচালক হারুন অর রশিদ ও নার্স গীতা দাসকে গ্রেপ্তার করে। তারও আগে ক্লিনিকটির দুজন আয়া-নার্স ও কলেজছাত্রী রিফাতের কথিত বন্ধু জিসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। কথিত বন্ধু জিসানই সিটি হেলথ ক্লিনিকে রিফাতকে নিয়ে যায়।

সিটি হেলথ ক্লিনিক সিলগালা করে দেয়া সম্পর্কে  জানতে যোগাযোগ করা হলে সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বি সিভয়েসকে বলেন, সিটি হেলথ ক্লিনিকটি অবৈধভাবে চলছিল, অনেক দিন ধরে এটির লাইসেন্স নবায়ন নেই। রাতে ডাক্তার থাকে না। এমনকি ডিপ্লোমা সার্টিফিকেটও নেই ক্লিনিকটির। অথচ চকবাজারের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় সিটি হেলথ নামের প্রতিষ্ঠানটি চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছিলো।

জানা যায়, অবৈধ এ ক্লিনিকটিতে গত ১৫ মে কলেজছাত্রী রিফাতকে নার্স দিয়ে অস্ত্রোপাচার করিয়ে গর্ভপাতের চেষ্টা করা হয়। যার কারণে ওই স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু হয়। একপর্যায়ে করোনায় রিফাতের মৃত্যু হয় বলে অপপ্রচার চালানো হয়। কিন্তু রিফাতের বাবা খোখন নিয়াজীর প্রচেষ্ঠায় বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। একপর্যায়ে আদালতের নির্দেশে কবর থেকে রিফাতের লাশ উদ্ধার করে পরীক্ষা করা হয়। সে পরীক্ষায় ভূল চিকিৎসায় রিফাতের মৃত্যু হয়েছে প্রমানিত হলে ক্লিনিক ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আদেশ দেন আদালত।

সিভয়েস/এসএইচ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়