Cvoice24.com


মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ শুরু

প্রকাশিত: ১১:৪৮, ১৬ নভেম্বর ২০২০
মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্রবন্দরের কাজ শুরু

‘বাংলাদেশের অর্থনীতি অত্যন্ত দ্রুততার সাথে বেগবান হচ্ছে। তাই চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্ষমতা আগামী কাজের তুলনায় কমে হয়ে যাবে। তাই সময়ের চাহিদায় মাতারবাড়ি বন্দরের প্রয়োজন বাড়ছে। আজ আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রকল্প শুরু করেছি। এ প্রকল্প ২০২৬ সালে শেষ হবে।‌’

সোমবার (১৬ নভেম্বর) বন্দর ভবনে মাতারবাড়ি বন্দরের কার্যক্রম শুরু করার লক্ষ্যে আয়োজিত একটি সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও নিপ্পন কোয়েই কোম্পানি লিমিটেড যৌথভাবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।

এতে তিনি আরো বলেন, ‘মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের নকশা ও পরিকল্পনা শেষ হয়েছে। এ নকশা ও পরিকল্পনায় কাজ করেছে ৩০ জন জাপানি বিশেষজ্ঞ, ১৮ জন বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞ ও ২১ জন সহকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারী। এ প্রকল্প দুইটি ধাপে শেষ হবে। প্রথম পর্যায়ে নকশা ও পরিকল্পনা এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে কন্টেইনার ও মাল্টি ট্রান্সপোর্টে শেষ হবে।’

জাপানি বিশেষজ্ঞের টিম লিডার ওতানি বলেন, আমরা এ প্রকল্পের নকশার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ও দায়বদ্ধ।‌ আমরা (এমপিসিটি) মূলত স্থাপনা প্রকৌশলে কাজ করি। এ প্রকল্পে আমরা অনেক কিছুই বিবেচনা করবো। কারণ বাংলাদেশ ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা। তাই এ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমরা পুরো প্রকল্পটি পর্যবেক্ষণ করবো।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) জাফর আলম বলেন, ‘এ কাজে আমরা ২০২৬ সালে শেষ করার কথা বলছি। তবে এটি ২০২৫ সালের মাঝামাঝি শেষ করার পরিকল্পনা নিয়েছি। অর্থাৎ আমরা হাতে সময় রেখে প্রকল্প শেষ করার কথা বলেছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘চাহিদা ও যোগানের সমন্বয় করেই এ পরিকল্পনা করা হয়েছে। ফলে ১৫ দিনে আসার মতো জাহাজ ৫ দিনে আসবে তখন ব্যবসা-বাণিজ্যের আরো প্রসার হবে।’

প্রকল্প ব্যয় প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘১৭ হাজার ৭৭৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা এ প্রকল্প নির্মাণ করা হবে। এতে শুধু বন্দরে ব্যয় হবে ৮ হাজার ৯৫৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা এবং পরিবহন কাজে ব্যয় হবে ৮ হাজার ৮২১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। সৌভাগ্যের বিষয় হলো জাইকা আমাদের ০ দশমিক ১ শতাংশে ঋণ দিয়েছে।’

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়