Cvoice24.com


গৌরব-ঐতিহ্যের পথচলায় ৫৫ বছরে চবি

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ১৮ নভেম্বর ২০২০
গৌরব-ঐতিহ্যের পথচলায় ৫৫ বছরে চবি

পাহাড় আর সবুজের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) পার করছে গৌরব ও ঐতিহ্যের ৫৫ বছর। এসময়ে নানা ইতিহাসের সাক্ষী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী আজ বুধবার। ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহৎ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে বৃহত্তর চট্টগ্রামে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

৫৫ বছর আগে চট্টগ্রাম শহর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে হাটহাজারী উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নে সবুজ, শ্যামল পাহাড়ের কোল ঘেঁষে চারটি বিভাগ, ২০৪ জন শিক্ষার্থী ও সাত শিক্ষক নিয়ে যাত্রা শুরু করে এ বিশ্ববিদ্যালয়।

১৯৬৬ সালে ১৮ নভেম্বর উদ্বোধনের পর ২৮ নভেম্বর থেকে শুরু হয় অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম। বুধবার (১৮ নভেম্বর) এ উপলক্ষ্যে ঘরোয়া পরিবেশে ৫৪ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের আয়োজন করেছে কর্তৃপক্ষ। র‍্যালি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও কেক কাটার মধ্যে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও ‘দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচক উন্নীতকরণে করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারেরও আয়োজন করা হয়েছে। 

প্রতিবছর এভাবেই ঘরোয়া পরিবেশে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে থাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কিন্তু স্বাভাবিক সময়ে এদিনে ক্যাম্পাসে সাজ সাজ রব থাকলেও, কোভিড-১৯ ভাইরাসের কারণে এ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও একেবারে রঙহীন পুরো ক্যাম্পাস।

পাহাড়ি ও সমতল ভূমি মিলিয়ে ১৭৫৩.৮৮ একর ভূমিতে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় আয়তনে দেশের সর্ববৃহৎ ক্যাম্পাসের মর্যাদা পেয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিষ্ঠাকালে মাত্র ৮ জন শিক্ষক, একটি অনুষদে বাংলা, ইংরেজি, ইতিহাস ও অর্থনীতি- এই চার বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল চবি। তখন শিক্ষার্থী ছিল মাত্র ২০৪ জন। যা বর্তমানে ৯টি অনুষদের অধীনে ৪৮টি বিভাগ ও ৬টি ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে বিশাল কর্মযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ২৩ হাজার ৫৫৪ জন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি ডিগ্রি অর্জনে অধ্যয়ন করছেন। যাদের পাঠদানে নিয়োজিত রয়েছেন ৯২০ জন শিক্ষক। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরিণ আখতার সিভয়েসকে বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমরা অনেক স্বপ্ন বুনে রেখেছি। বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে আমাদের অনেক আশা রয়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে যাওয়ার জন্য গবেষণা কাজ বৃদ্ধি করতে হবে। আর সে লক্ষ্যে আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়কে উন্নতির শিখরে নিয়ে যেতে চাই। যেন আমরা বলতে পারি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় সবার কল্যাণে এগিয়ে যাচ্ছে।

নবাব আব্দুর রহিম, চবি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়