Cvoice24.com


লক করা চালানে চাবি ঘুরছে কম

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১ ডিসেম্বর ২০২০
লক করা চালানে চাবি ঘুরছে কম

চট্টগ্রাম বন্দর হয়ে আসা চালানে কোনো প্রকার ত্রুটির তথ্য পেলেই তা লক করে দেয় চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেন্টিগেশন এন্ড রিসার্চ (এআইআর)। এ লক করা চালানগুলো কায়িক পরীক্ষার মাধ্যমে আমদানিকারকদের জরিমানা ধার্য করে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করা হয়। তবে চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে লক করা চালানের এ পরীক্ষায় ধীরগতি দেখা গেছে চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখায়।

চট্টগ্রাম কাস্টমস এআইআর শাখার এক প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, গত অর্থবছরে (২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন) ২ হাজার ৭০৭টি চালান লক করা হয়। লক করা এইসব চালানের কায়িক পরীক্ষা একই অর্থবছরে করা হয়। এতে ১ হাজার ২৯৫ চালানে অনিয়ম উদঘাটিত হয়। এ অনিয়মের বিপরীতে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করা হয় ১১৩ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আবার এ অনিয়মের বিপরীতে জরিমানা আদায় করা হয় ৪০ কোটি ১৮ লাখ টাকা। লক করা চালানের অনিয়ম উদঘাটনে মোট আদায় করা হয় ১৫৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

একইভাবে চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চালান লক করা হয় ৮২৯টি। কিন্তু তারমধ্যে কায়িক পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৮০টি। তারমধ্যে অনিয়ম উদঘাটন করা হয়েছে ৩২৯টি। এ অনিয়মের বিপরীতে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করা হয় ২০ কোটি ৭২ লাখ টাকা এবং এ অনিয়মের বিপরীতে জরিমানা আদায় করা হয় ১৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। লক করা চালানের অনিয়ম উদঘাটনে মোট আদায় করা হয় ৩৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

এ তথ্য পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ১৪৯টি লক করা চালানের এখনো পর্যন্ত কোনো কায়িক পরীক্ষা করা হয়নি। তারমধ্যে চলতি অর্থবছরের জুলাইয়ে ২২২টি লক করা চালানের কায়িক পরীক্ষা হয়ছে ২০৯টি, অগাস্টে ২১৮টি লক করা চালানের কায়িক পরীক্ষা হয়ছে ১৯৫টি, সেপ্টেম্বরে ২৬১টি লক করা চালানের কায়িক পরীক্ষা হয়ছে ২২০টি এবং ১২৮টি লক করা চালানের কায়িক পরীক্ষা হয়ছে ৫৬টি। যা শতাংশের বিবেচনায় ধারাবাহিকভাবে কমেছে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেন্টিগেশন এন্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম সিভয়েসকে বলেন, ‘আমরা গোপন সংবাদের প্রেক্ষিতে আমদানিকারকের চালান লক করি এবং লক করা চালানগুলোর ফিজিক্যাল এক্সামিন করি। রিসেন্টলি (সম্প্রতি) আমাদের লক করা বেশ কিছু চালানগুলোর প্রেক্ষিতে আমদানিকারকরা যোগাযোগ করেননি। তাই আমরা এ চালানগুলো চেক-আউট করিনি। এগুলো নির্দিষ্ট সময়ের বেশি পড়ে থাকলে আমরা তা নিলাম শাখায় হ্যান্ডওভার (হস্তান্তর) করবো। ওগুলো নিলাম হওয়ার পর আমাদের এ গ্যাপগুলো ফিল-আপ হয়ে যাবে।’

-সিভয়েস/এসবি
 

শুভ্রজিৎ বড়ুয়া

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়