Cvoice24.com


লক চালানের ধীর গতিতে রাজস্ব আটকা ৩ কোটি টাকা!

প্রকাশিত: ১৪:১২, ২ ডিসেম্বর ২০২০
লক চালানের ধীর গতিতে রাজস্ব আটকা ৩ কোটি টাকা!

ছবি: সিভয়েস

আমদানিতে যে কোনো প্রকার ত্রুটির সংবাদ পেলে লক করা হয় পণ্যের চালান। এ লক চালানের কায়িক পরীক্ষায় গড়মিল পেলে আমদানিকারককে গুনতে হয় অর্থদণ্ড। এতে রাষ্ট্রীয় খাতে জমা হয় রাজস্ব। কিন্তু কায়িক পরীক্ষায় ধীরগতি হলে রাজস্ব আয়ও হয় ধীর গতিতে। ফলে অর্থবছরে খরচের খাতে বেগ সৃষ্টি হয়। এমনই বেগ সৃষ্টি হতে পারে কাস্টমসের লক চালানের কায়িক পরীক্ষার ধীর গতিতে। 

পরিসংখ্যান বিবেচনায় লক করা চালানের ৯ শতাংশে অনিয়ম উদঘাটিত হয়, যাতে রাষ্ট্রের রাজস্ব আসতে পারে আনুমানিক ৩ কোটি ২৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা। গত অর্থবছরের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত অর্থবছরে (২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুন) ২ হাজার ৭০৭টি চালান লক করা হয়। লক করা এইসব চালানের কায়িক পরীক্ষায় ৪৭ দশমিক ৮৪ শতাংশে অনিয়ম উদঘাটিত হয়। যাতে রাজস্ব আদায় করা হয় ১৫৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। 

আর চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত চালান লক করা হয় ৮২৯টি। কিন্তু তারমধ্যে কায়িক পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৮০টি। এরমধ্যে অনিয়ম উদঘাটন করা হয়েছে ৩২৯টি। যা শতাংশের হিসেবে ৩৯ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এ অনিয়মের বিপরীতে রাজস্ব আদায় করা হয় ৩৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। কিন্তু বাকি ১৪৯ চালানের কায়িক পরীক্ষায় আনুমানিক ৯ শতাংশ অনিয়ম উদঘাটিত হতে পারে। যার ফলে রাজস্ব আদায়ে দ্রুততা সৃষ্টি হতে পারে। তবে এই লক করা ১৪৯টি চালানের কায়িক পরীক্ষা গত অক্টোবরেই সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু ধীর গতির কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। ফলে একদিকে যেমন পরীক্ষার স্তুপ জমছে অন্যদিকে সরকারও নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন : লক করা চালানে চাবি ঘুরছে কম
  
এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেন্টিগেশন এন্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার সহকারি কমিশনার রেজাউল করিম সিভয়েসকে বলেন, ‘আমরা গোপন সংবাদের প্রেক্ষিতে আমদানিকারকের চালান লক করি এবং লক করা চালানগুলোর ফিজিক্যাল এক্সামিন করি। রিসেন্টলি আমাদের লক করা বেশ কিছু চালানগুলোর প্রেক্ষিতে আমদানিকারকরা যোগাযোগ করেননি। তাই আমরা এ চালানগুলো চেক-আউট করিনি। এগুলো নির্দিষ্ট সময়ের বেশি পড়ে থাকলে আমরা তা নিলাম শাখায় হ্যান্ডওভার করি। ওগুলো নিলাম হওয়ার পর আমাদের এ গ্যাপগুলো ফিল-আপ হয়ে যাবে।’

কাস্টম আইন অনুযায়ী, লক করা চালানের প্রেক্ষিতে আমদানিকারকদের কাস্টমস হাউজ থেকে চিঠি প্রেরণ করা হয়। আমদানিকারকরা যোগাযোগ করলে সে চালানের কায়িক পরীক্ষা হয়। অন্যথায় লক করা চালানে আসা পণ্যগুলো বন্দরে আটকে রাখা হয়। পরবর্তীতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের নিলাম শাখা থেকে পণ্যগুলো দরপত্রের আহ্বানের মাধ্যমে নিলামে তোলা হয়। এ নিলামে অর্জিত অর্থ রাষ্ট্রের রাজস্ব খাতে জমা হয়।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার (নিলাম শাখা) ফয়সাল বিন রহমানের কাছে নিলাম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা এ মাসের ২৫ বা ২৬ তারিখে নিলাম ডাকার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে এবারের নিলামে কি কি পণ্য উঠবে বা কত লট পণ্য উঠবে, এ ব্যাপারে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। আশা করি, সপ্তাহ খানেকের মধ্যে নিলামের বিষয়ে স্পষ্টভাবে কথা বলতে পারবো।’

-সিভয়েস/এসবি

শুভ্রজিৎ বড়ুয়া

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়