Cvoice24.com


২৫০০ রোহিঙ্গার নতুন ঠিকানা ভাসানচর 

প্রকাশিত: ১২:৩৯, ৩ ডিসেম্বর ২০২০
২৫০০ রোহিঙ্গার নতুন ঠিকানা ভাসানচর 

২৫০০ রোহিঙ্গা শরণার্থী নিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথমবারের মত  ভাসানচরের উদ্দেশে যাত্রা করেছে ২০টি বাস। 

কক্সবাজারের উখিয়া ডিগ্রি কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টায় প্রথম দফায় ১০টি বাস রওনা হয় এবং দ্বিতীয় দফায় বেলা পৌঁনে ১টার দিকে আরও ১০টি বাস চট্টগ্রামের দিকে পৌঁছে। 

রোহিঙ্গাদের বহনকারী বাসগুলোর সামনে ও পেছনে র‌্যাব, পুলিশসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২ হাজার ৫০০ রোহিঙ্গা নিয়ে চট্টগ্রামে এসে পৌঁছায় বাসগুলো। আজ বৃহস্পতিবার রাত চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গার বিএফ শাহীন স্কুল ও কলেজ মাঠ ও নেভীর ১৫ নম্বর জেটিতে অবস্থান করবে রোহিঙ্গারা। আগমীকাল শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম থেকে তাদের জাহাজে করে নৌপথে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে।

সরকারের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয়ের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ সামছু দ্দৌজা গত ২৯ নভেম্বর বলেছিলেন, ‌‌‌‘আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে রোহিঙ্গাদের একটি দলটি ভাসান চরে স্থানান্তরের যাবতীয় প্রস্তুতি চলছে।’

আরও পড়ুন : ঝুপড়ি ছেড়ে অট্টালিকায় উঠছে রোহিঙ্গারা

রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির ও তার বাইরে অবস্থান নিয়ে থাকা প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে নানা সামাজিক সমস্যা সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে দুই বছর আগে তাদের একটি অংশকে হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার দ্বীপ ভাসান চরে স্থানান্তরের পরিকল্পনা নেয় সরকার।

সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোটামুটি ১৩ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ হয়ে ফিরে আসা তিন শতাধিক রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে আগেই ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়েছিল। এরপর গত ৫ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের শরণার্থী ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের একটি প্রতিনিধি দলকে দেখার জন্য ভাসান চরে পাঠানো হয়। তারা ফেরার পর তাদের কথা শুনে রোহিঙ্গাদের একাংশ ভাসান চরে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করে বলে জানা গেছে।

এদিকে নবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচও (এইচআরডব্লিউ) বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তর বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে।

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়