Cvoice24.com


চসিক নির্বাচন নিয়ে কী প্রস্তুতি ইসির

প্রকাশিত: ১১:২৬, ৪ ডিসেম্বর ২০২০
চসিক নির্বাচন নিয়ে কী প্রস্তুতি ইসির

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়াদ শেষ হয়েছে গেল ৫ আগস্ট। নিয়ম অনুযায়ী এর আগেই নতুন নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়। সে অনুযায়ীই ২৯ মার্চকে ভোটের দিন রেখে তফসিল ঘোষণা করেছিল সিটি করপোরেশন (ইসি)। তবে শেষ মুহূর্তে সেই নির্বাচনে বাধ সাধে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনা ভাইরাস। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভোট স্থগিত করে মেয়াদ শেষে বসানো হয় প্রশাসক। এর মধ্যে কেটে গেল দীর্ঘ আট মাস। 

চসিক নির্বাচন নিয়ে আবারও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কার্যালয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই ভোট করার পরিকল্পনা তাদের। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর মুহূর্তে এই ভোট নিয়ে যদিও শঙ্কা রয়েছে জনমনে। তবে কমিশন বলছে, সামাজিক দূরুত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই মাঠপর্যায়ের যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। 

নির্বাচনের মাধ্যমে জয় ছিনিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাত প্রার্থী। আর ৪১ সাধারণ ওয়ার্ডের জন্য কাউন্সিলর পদে ১৬১ এবং ১৪ সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী কাউন্সিলর পদে ৫৬ প্রার্থী লড়ছেন। এই নিবার্চনে ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৫২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭২৩ পুরুষ এবং ৯ লাখ ৫২ হাজার ৩২৯ নারী ভোটার। 

আরও পড়ুন : যে শঙ্কায় ভোট স্থগিত, সেই প্রাণঝুঁকিতে ভোটাররা

চসিকে ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা মোট ৭৩৫টি। আর ভোটকক্ষ ৪ হাজার ৮৮৬টি। এবারের সিটি নির্বাচনে ৭৩৫ প্রিজাইডিং অফিসার, ৪ হাজার ৮৮৬ সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৯ হাজার ৭৭২ পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। 

আগের ঘোষিত তফসীল অনুযায়ী চসিক নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা ছিল চলতি বছরের ২৯ মার্চ। দেশে করোনার প্রেকোপ দেখা দেওয়ায় ভোটের সপ্তাহখানেক আগে অর্থাৎ ২১ মার্চ নির্বাচন স্থগিত করা হয়। পরে ৪ আগস্ট চসিকের প্রশাসক পদে নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজনকে নিয়োগ দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। 

জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে হতে যাওয়া চসিক নির্বাচনে শুধু ভোটের নতুন তারিখ ঘোষণা করবে কমিশন। প্রচার-প্রচারণার জন্য কেবল ১০ দিন সময় দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। প্রার্থী পরিবর্তনের কোনো সুযোগ থাকছে না। ফলে আগের প্রতিদ্বন্দ্বীরাই বহাল থাকছেন। এর মধ্যে অবশ্য স্থগিত হওয়া চসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে মারা গেছেন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের (১৭, ১৮ ও ১৯) সাহিদা বেগম পারভীন, সাধারণ ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী, ৩৭ নম্বরের হোসেন মুরাদ ও ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন। 

আরও পড়ুন : ‘মানুষ না থাকলে নির্বাচন করে কি হবে’

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও চসিক নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামন সিভয়েসকে বলেন, ‘চসিক নির্বাচনকে ঘিরে আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ভোটের নতুন তারিখ ঘোষণা করতে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে নির্বাচন কমিশন থেকে স্পষ্ট করে কোনো সিদ্ধান্ত এখনো আমাদের জানানো হয়নি। যতটুকু আভাস পাচ্ছি, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন হতে পারে। আগে থেকেই আমাদের সব প্রস্তুতি ছিল। তাই কোনো সমস্যা হবে না।’ 

যেসব ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী মারা গেছেন সেগুলোর বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত- জানতে চাইলে রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনো স্পষ্ট কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে সামনের ভোটগ্রহণের দিন ওই চার ওয়ার্ডে মেয়র পদে ভোট হলেও কাউন্সিলর (যে পদের প্রার্থী মারা গেছেন) ভোট হবে না। পরে কমিশনের নির্দেশনা মতে, ওইসব ওয়ার্ডে নতুন করে কাউন্সিলর পদে তফসিল ঘোষণা করে ভোট নেওয়া হবে।’

-সিভয়েস/এমএন/এস/এডি

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়