Cvoice24.com


সাগর পাড়ে গলা কেটে যুবক খুন যে কারণে...

প্রকাশিত: ০৮:০৯, ৫ ডিসেম্বর ২০২০
সাগর পাড়ে গলা কেটে যুবক খুন যে কারণে...

সপ্তাহখানেক আগে চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানার আনন্দবাজার সাগর পাড় থেকে অজ্ঞাতনামা গলা কাটা যুবকের লাশ উদ্ধারে রহস্যভেদ করেছে পুলিশ। প্রযুক্তির সহায়তায় তার পরিচয় উদঘাটনের পর এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মূলত পরকীয়ার জেরেই পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয় ইব্রাহীম নামে ওই যুবককে। 

শনিবার (২৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সাগর পাড়ের ঝোঁপ থেকে অজ্ঞাত হিসেবে দিনমজুর ইব্রাহীমের লাশ উদ্ধার করে বন্দর থানা পুলিশ। এর আগের দিন ২৭ নভেম্বর রাতে মাছ কেনার কথা বলে সাগর পাড়ে নিয়ে পেছন থেকে ছুরি চালিয়ে গলা কেটে হত্যা করে সাগর পাড়ে ফেলে রাখা হয় ইব্রাহীমকে। পরে সেই ছুরি সাগরে ফেলে নিরাপদে সটকে পড়নে এ খুনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত সোহাগ ও রাসেল। 

যদিও শুক্রবার রাতে বন্দর থানা পুলিশের একটি টিমের প্রচেষ্টায় নোয়াখালীর সুর্বণচরের দুর্গম এলাকা থেকে অভিযুক্ত দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর এ হত্যাকাণ্ডের রহস্যভেদ করে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের অংশ নেওয়া গ্রেপ্তার রাসেল শনিবার চট্টগ্রামের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানিয়েছেন বিস্তারিত। 

আরও পড়ুন : আনন্দবাজার সাগর পাড়ে মিললো যুবকের গলাকাটা লাশ

গ্রেপ্তার রাসেলের বরাত দিয়ে বন্দর থানার ওসি নিজাম উদ্দীন সিভয়েসকে জানান, নিহত ইব্রাহিমের জন্মস্থান সন্দ্বীপে হলেও ২০ বছর আগে নোয়াখালীর সুবর্ণচরে পাড়ি জমান। সেখানে গিয়ে সংসার পাতেন। চট্টগ্রামে এসে দিনমজুরের কাজ বেছে নেন এবং বছর দুয়েক আগে এক নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। যাকে ইব্রাহিম বিয়ে করেন তিনি আবার হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া সোহাগের খালাতো ভাইয়ের প্রেমিকা। খালাতো ভাইয়ের প্রেমিকাকে ফুসলিয়ে বিয়ে করার বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি সোহাগ ও তার খালাতো ভাই। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী চট্টগ্রামে এসে নিহত ইব্রাহিমের সাথে সখ্য গড়ে তোলেন সোহাগ। তারা চট্টগ্রামের বন্দর থানা এলাকায় একসাথে বিভিন্ন স্থানে দিনমজুর হিসেবে কাজ করতেন।

প্রতিশোধ নিতে পরিকল্পনা অনুযায়ী শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) রাতে সাগর পাড় থেকে ইলিশ মাছ কেনার কথা বলে সোহাগ, ইব্রাহিম (নিহত) ও রাসেল নামে অপরজনকে নিয়ে আনন্দবাজার সাগর পাড়ে যান। সেখানে যাওয়ার পর কথা বলতে বলতে হত্যার জন্য ভাড়াটিয়া রাসেল পিছন থেকে ইব্রাহিমের গলায় ছুরি চালিয়ে দেন। এতে গলা কেটে ঘটনাস্থলেই মারা যান ইব্রাহিম। পরে তার লাশ একটি ঝোঁপে ফেলে ছুরিটি সাগরে ফেলে দেন তারা। হত্যাকাণ্ডের পর তারা দুজনই নোয়াখালীর সুবর্ণচরের নিজ বাড়িতে চলে যান।

পরে পুলিশ প্রযুক্তি সহায়তায় ইব্রাহিমের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ছদ্মবেশে সুর্বণচরের দুর্গম এলাকা থেকে রাসেল ও সোহাগকে গ্রেপ্তার করে বন্দর থানা পুলিশ। রাসেল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিলেও সোহাগ তা না করায় তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা জানিয়েছে পুলিশ।   

-সিভয়েস/এডি 

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়