Cvoice24.com


এলপিজির দাম বাড়বে-কমবে প্রতিমাসেই?

প্রকাশিত: ২০:৪৮, ১৪ জানুয়ারি ২০২১
এলপিজির দাম বাড়বে-কমবে প্রতিমাসেই?

আন্তর্জাতিক বাজারে ওঠানামার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজির দাম মাসে মাসে নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে। ঢাকার বিয়াম মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার আয়োজিত শুনানিতে এ প্রস্তাব করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কারিগরি কমিটি। এলপিজির মূল্যহার নির্ধারণ ও দামে শৃঙ্খলা আনতে প্রথমবারের মতো এ শুনানির আয়োজন করা হয়। 

ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব অবশ্য এর আইন ও নীতিগত ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আদালতের আদেশ পালন করতে গিয়ে এখনই মাসে মাসে এলপিজির দাম নির্ধারণের নিয়ম চালুর প্রয়োজন আছে কিনা, তা পুনর্বিবেচনার প্রস্তাব করেন সংগঠনটির জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম। শুনানিতে তিনি বলেন, মাসে মাসে মূল্যবৃদ্ধির এই প্রস্তাব বিইআরসি আইনের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন।

এদিকে সরকারি-বেসরকারি কোম্পানিগুলোর এলপিজির আলাদা আলাদা দাম নির্ধারণের সুপারিশ করেছে কমিটি। এ ক্ষেত্রে প্রতিকেজি এলপিজির দাম ৭২ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করে তারা। যদিও ১২ কেজি সরকারি এলপি গ্যাসের বোতল ৯০২ টাকা রাখার কথা বলা হয়েছে। তবে এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন সরকারি এলপি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলুর রহমান। তার মতে ৭০০ টাকা রাখলেই ভালো হয়।

আর বেসরকারি কোম্পানির একই সিলিন্ডারের দাম ৮৬৬ টাকা। যদিও এই সিলিন্ডারের বর্তমান দাম ১ হাজার ২৬৯ টাকা। সরকারি কোম্পানি সিলিন্ডার ৬০০ টাকা। 

শুনানিতে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ভোক্তার অধিকার বিবেচনা করে কমিশন দাম নির্ধারণ করবে বলে আশা করি। রাষ্ট্রীয় খাতের উন্নয়নের বিষয়টি আগে বিবেচনা করতে হবে। সরকারি কোম্পানির এলপিজির দাম বাড়ানোর সুপারিশ না করে উল্টো কমানো দরকার।

গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা জোনায়েদ সাকি বলেন, সবপক্ষের স্বার্থ রক্ষা করবেন বলে আশা করছি। বিভিন্ন ফান্ডের ক্ষেত্রে এর ব্যবহার পরিষ্কার করা দরকার। টেকনিক্যাল কমিটি কেন আগেই ফান্ড করবে? 

শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন বিইআরসির চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল, সদস্য মোহাম্মদ আবু ফারুক, মকবুল-ই-ইলাহি চৌধুরী, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান। এ সময় সরকারি কোম্পানির পক্ষে এলপি গ্যাস লিমিটেডের ফজলুর রহমান এবং বেসরকারি কোম্পানিগুলোর পক্ষে ছয়জনের একটি প্রতিনিধি দল দামের প্রস্তাব উপস্থাপন করে। বেসরকারি কোম্পানির মধ্যে ওমেরা, বসুন্ধরা, বেক্সিমকো, পেট্রোম্যাক্সের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। 

এদিকে শুনানি শেষে কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে লিখিত মতামত দেওয়া যাবে। এর পর আবার ছোট পরিসরে বসে দামের বিষয়ে মূল্যায়ন করে যত দ্রুত সম্ভব চূড়ান্ত দামের আদেশ দেবে কমিশন।

সিভয়েস, ঢাকা 

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়