Cvoice24.com


সাবেক প্রেমিকের হাতেই খুন হন সুপ্তি

প্রকাশিত: ১৪:২০, ১৬ জানুয়ারি ২০২১
সাবেক প্রেমিকের হাতেই খুন হন সুপ্তি

প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কথাকাটাকাটি ও ঝগড়ার একপর্যায়ে গৃহবধূ সুপ্তি মল্লিককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন সাবেক প্রেমিক জাকের হোসেন (২৭)। গত ১৩ জানুয়ারি রাজধানীর ঢাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তারের পর এসব তথ্য উদঘাটন করেছে পিবিআই। এ ঘটনার স্বীকারোক্তি দিয়ে আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছে গ্রেপ্তার জাকের।

গ্রেপ্তার জাকের হোসাইন (২৭) লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার চর আফজাল গ্রামের বাহার উদ্দিনের ছেলে। তবে তারা থাকেন সুপ্তি মল্লিকের গ্রামের রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা এলাকায়। সেখানেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।

আদালতের জবানবন্দিতে জাকের জানায়,  ২০১৪ সাল থেকে সুপ্তির সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক। ২০১৮ সালে তারা গোপনে বিয়েও করেন। চারমাস সংসার করার পর সুপ্তি তাকে তালাক দিয়ে বাসুদেবকে বিয়ে করেন। কিন্তু তাদের মাঝে গোপন নম্বরের মাধ্যমে যোগাযোগ ছিল।

ঘটনার দিন সুপ্তির বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে সে ঢুকে পড়ে। সেসময় দুজনের কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে রাগের মাথায় সুপ্তিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

অথচ ওই গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগে আড়াই মাস ধরে জেল খাটছেন তার স্বামী বাসুদেব চৌধুরী ও ভাসুর অনুপম চৌধুরী।

গত ৪ নভেম্বর রাতে নগরীর ডবলমুরিং থানার পানওয়ালা পাড়ায় নাছিমা মঞ্জিলের একটি ফ্ল্যাট থেকে গৃহবধূ সুপ্তি মল্লিকের (২২) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তার বাবা সাধন মল্লিক বাদি হয়ে সুপ্তির স্বামী বাসুদেব চৌধুরী ও ভাসুর অনুপম চৌধুরীকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে তখন তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এছাড়া রিমান্ডে নিয়ে গিয়ে তাদের সে সময় জিজ্ঞাসাবাদও করেন থানা পুলিশ।

পিবিআই জানায়, সুপ্তি মল্লিক খুনের মামলাটি তাদের কাছে সপ্তাহ দুয়েক আগে থানা পুলিশ হস্তান্তর করেন। এরপর তারা মামলাটির আনুুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেন। যদিও ঘটনার পর থেকে তারা ছায়া তদন্ত করে আসছিলেন। তদন্ত করতে গিয়ে তারা প্রথমে জাকের হোসেনের অবস্থান শনাক্ত করেন। এ জাকের হোসেনই ঘটনার দিন সুপ্তির ফ্ল্যাট থেকে বের হয়েছিলেন। যেটি পাশের লোকজন দেখেছিলেন। মূলত এসব বিষয় আমলে নিয়ে তদন্ত করার একপর্যায়ে গত ১৩ জানুয়ারি জাকের হোসেনকে রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। যোগ করেন পিবিআই সূত্র।

পিবিআই পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা সিভয়েসকে বলেন, তদন্তভার পাওয়ার পর আমরা মামলাটি বিভিন্নভাবে তদন্ত করি। একপর্যায়ে সুপ্তির সাবেক প্রেমিক জাকের হোসেনকে আমরা সন্দেহ করি। গত ১৩ জানুয়ারী রাজধানী ঢাকা থেকে তাকে আমরা গ্রেপ্তারও করি। পরে সে আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়।

এক প্রশ্নের জবাবে সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, এ মামলায় জাকের হোসেনকে অভিযুক্ত করে আদালতে দ্রুত চার্জশীট দেয়া হবে। তখন বর্তমানে কারাগারে থাকা সুপ্তির স্বামী ও ভাসুরের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করা হবে।

সিভয়েস/এসএইচ

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়