Cvoice24.com

বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ গবেষণা ও বহুমাত্রিক জ্ঞান সৃষ্টি : তথ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ১৫:০৬, ১৮ নভেম্বর ২০২২
বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ গবেষণা ও বহুমাত্রিক জ্ঞান সৃষ্টি : তথ্যমন্ত্রী

বক্তব্য রাখছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেন, ‘অবকাঠামোগত উন্নয়নই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত উন্নয়ন নয়৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদান, গবেষণা এবং বহুমাত্রিক জ্ঞান বিজ্ঞান ও সংস্কৃতির উন্নয়নই হলো প্রকৃত উন্নয়ন।’

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ৫৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্যে প্রদানকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

এর আগে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা, শ্রদ্ধাজ্ঞাপন, প্রবন্ধ উপস্থাপন, স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য ও আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু ৫৭তম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এমপি। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ড. মুনতাসির মামুন তার বক্তব্যে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হলে সেটি আর বিশ্ববিদ্যালয়ই থাকে না। এটি বঙ্গবন্ধু অনুধাবন করেছিলেন। তাই তিনি দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বায়ত্তশাসন দেন। কিন্তু আমরা বঙ্গবন্ধুর সে স্বায়ত্তশাসন রক্ষা করতে পারিনি।’ 

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, এখন সব জায়গাতেই দেখতে পাই সবাই অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিকেই বেশি ফোকাস করছে। অবকাঠামোগত উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এই অবকাঠামোগত উন্নয়নই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৃত উন্নয়ন নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠদানের উন্নয়ন, গবেষণার উন্নয়ন এবং বহুমাত্রিক জ্ঞান বিজ্ঞানের ও সংস্কৃতির উন্নয়নই হলো প্রকৃত উন্নয়ন।’

স্মৃতিচারণ করে তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র। আজ থেকে ৪১ বছর আগে ১৯৮১ সালে আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলাম। সবুজ ক্যাম্পাসের এ বিশ্ববিদ্যালয় আমার হৃদয়ের মণিকোঠায় স্থান করে আছে। আমার কাছে এ ক্যাম্পাস বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর ক্যাম্পাস। এখানে আসলে আমি পুরনো স্মৃতিতে আবেগে আপ্লুত হয়ে যাই।'

প্রসঙ্গত, ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর মাত্র দু’শ শিক্ষার্থী ও চারটি বিভাগ নিয়ে প্রায় দুই হাজার একশ একরের আয়তনে যাত্রা শুরু করে পাহাড় ও অরণ্যে ঘেরা নৈসর্গিক ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এরপর হাঁটি-হাঁটি পা-পা করে দশটি অনুষদ, আটচল্লিশটি বিভাগ, ছয়টি ইন্সটিটিউশন, পাঁচটি গবেষণা কেন্দ্রসহ প্রায় বারো হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী, এক হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রায় সাতাশ হাজার শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে আজ ৫৭ বছরে পা দিয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়