Cvoice24.com


একটি সেতু হলেই দু:খ ঘুছাবে দশ গ্রামের মানুষের

প্রকাশিত: ১৩:৪২, ১৬ জুলাই ২০১৯
একটি সেতু হলেই দু:খ ঘুছাবে দশ গ্রামের মানুষের

ছবি : সিভয়েস

একটি সেতুর দাবি এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের। আর এ সেতুটি  হলেই যাতায়াতের দুঃখ ঘুছাবে দশ গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষের।

ফটিকছড়ির নারায়ণহাট ইউনিয়নের নারায়নহাট বাজার সংলগ্ন হালদা নদীর উপর একশ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে এলাকার লোকজন। সেতুটি নির্মিত হলে যাতায়াত ভোগান্তি লাঘবের পাশাপাশি এলাকাবাসীর জীবনযাত্রার মান উন্নতি হবে বলেও মনে করেন সচেতন মহল।

সরেজমিনে দেখা যায়, ফটিকছড়ি উপজেলা হতে প্রায় ১৭ কি.মি. উত্তরে ৩ নম্বর নারায়ণহাট ইউনিয়নকে দ্বিখন্ডিত করেছে উত্তাল প্রমত্তা হালদা নদী। নদীর পূর্ব পাড়ে রয়েছে সুন্দরপুর, হাপানিয়া, সন্দীপ পাড়া, পিলখানা, সুন্দর শাহ ছিলাই সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম। নারায়ণহাট ফরেষ্ট রেঞ্জ অফিস, নারায়ণহাট আলিম মাদ্রাসা, অন্যতম আউলিয়া হযরত শাহ সুন্দর (রা.) এর আস্তানা শরীফ।

আর পশ্চিম পাড়ে রয়েছে- নারায়ণহাট বাজার, নারায়ণহাট ইউনিয়ন ভূমি অফিস, বাস স্টেশন, নারায়ণহাট কলেজ, নারায়ণহাট মহিলা মাদ্রাসা, নারায়ণহাট কলেজিয়েট উচ্চ বিদ্যালয়, নারায়ণহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সহ বেশ কটি কিন্ডারগার্টেন ও  প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর এই নদী পারাপারের জন্য গ্রামবাসীকে ব্যবহার করতে হয় এলাকাবাসীর চাঁদার বিনিময়ে বানানো ৩০০ ফুট  দীর্ঘ নড়বড়ে কাঠের সাঁকো।

এই ইউনিয়নের বাসিন্দা নোমান বিন খুরশিদ জানান, ব্যবসা- বাণিজ্য, চিকিৎসা, শিক্ষা সহ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে প্রতিদিন কাঠের সাঁকো ব্যবহার করে স্কুল কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রী সহ আশপাশের প্রায় ১০ হাজার মানুষ। শুধু তাই নয়, ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হয় সিএনজি অটোরিকশা, রিকশা, ভ্যান, মোটরসাইকেলের মতো যানবাহনকে।

নারায়নহাট বাজারের ব্যবসায়ী মো. সেলিম উদ্দিন জানান, কারো জরুরি চিকিৎসার জন্য স্থানীয় মেডিকেল বা চট্টগ্রাম মেডিকেলে যেতে হলে অনেক কষ্টে পার হতে হয় কাঠের সাঁকোটি। চট্টগ্রাম শহর থেকে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে গ্রামে আসা লোকজনকে গাড়িগুলো হয় বাজারেই পার্কিং করতে হয়, না হয় পাশের মির্জারহাট ব্রিজ দিয়ে গ্রামে ঢুকতে হয়। গ্রামের কোনো মানুষ কোথাও মৃত্যুবরণ করলে তাঁর মরদেহবাহী গাড়িটিও গ্রামে ঢুকতে পারেনা। বন্যা হলে সাঁকোর অবস্থা হয়ে উঠে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। সাঁকোটির কারণে ব্যাহত হচ্ছে দশ গ্রামের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন।

নারায়ণহাট জমিদার বাড়ির বাসিন্দা ব্যবসায়ী রাকিবুল আলম চৌধুরী বলেন,  হালদা নদীর নারায়ণহাট ঘাটে একটি সেতু হলে অবহেলিত গ্রামগুলো পাবে উন্নয়নের ছোঁয়া। একটি সেতুর অভাবে আমরা সুষম উন্নয়ন হতে পিছিয়ে আছি। তাই সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সরকার বিভাগে বার বার বিভিন্ন আবেদন জানিয়ে আসছি।

এ বিষয়ে নারায়ণহাট ইউপি চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ বলেন, হালদা নদীর পুরানো কাঠের সাঁকোটিকে ঘিরে জনদূর্ভোগের সীমা নেই। এখানে একটি সেতুই পারে প্রায় ১০টি গ্রামের ১০হাজার মানুষের যোগাযোগ ও জীবন ব্যবস্থা পরিবর্তন করতে। তাই বার বার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন নিবেদন করেই চলেছি।

ফটিকছড়ি উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলী মো. শাহ আলম বলেন, নারায়ণহাট বাজারের পাশে হালদা নদীতে একটি সেতু নির্মাণের জন্য এলাকাবাসীর দাবি দীর্ঘদিনের। এখানে একশ মিটার দীর্ঘ একটি সেতু নির্মাণের জন্য রিপোর্ট তৈরি করে পাঠানো হয়েছে। ফাইলটি প্রসেসিংয়ে আছে এলজিইডি'র প্রধান কার্যালয়ে। সেখান থেকে আদেশ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।

-সিভয়েস/এসএ

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, ফটিকছড়ি

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়