Cvoice24.com


লাল পাহাড়ের দেশ রাঙামাটিতে 'হালিশহর বাইকার্স'

প্রকাশিত: ০৯:১২, ২০ জুলাই ২০১৯
লাল পাহাড়ের দেশ রাঙামাটিতে 'হালিশহর বাইকার্স'

ঝর্ণার পানিতে আনন্দ-উল্লাস

পাহাড়ের বুক চিরে এ এক অন্য জাতির বসবাস, বলা হয় এদেরকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। পানি আর পাহাড়ি জীবনের এক অনন্য সংগ্রাম তাদের প্রতিনিয়ত তাড়া করে ফেরে। খাদ্য সংগ্রহের জন্যে বেঁচে থাকার জন্য যাদের প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করতে হয়। আর ভারী বর্ষণ কিংবা টানা বৃষ্টি  হলে ভোগান্তির  যেন শেষ নেই। জীবন ও জীবিকার টানে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন চাকমা সম্প্রদায়ের এই মানুষগুলো।

ক্ষণিকের জন্য মনে হতেই পারে চীন দেশে পাড়ি জমালাম নাতো, দেহের গড়ন অনেকটা তাদের মতই। এছাড়াও রয়েছে সৌন্দর্যমণ্ডিত ঝর্ণা আর পাহাড়ের বুক চিরে পাহাড়ি মানুষ- এযেন এক অন্যরকম শিল্পের ছোঁয়া । লেকের সৌন্দর্য ও পাহাড়ি জীবন যেকোনো মানুষকে মুগ্ধ করার পাশাপাশি কিছুটা ব্যথিতও করবে। ভাবতে বাধ্য করবে। বাড়তি পাওনা হিসেবে পেতে পারেন ঝর্ণার ঝিরিঝিরি শব্দ, ঝকঝকে নীল আকাশ,  কর্ণফুলী নদীর পানি আর সবুজ পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে নৈসর্গিক সৌন্দর্যের  অনুভূতি। বলছি লাল পাহাড়ের দেশ  রাঙামাটির কথা। 

চট্টগ্রাম শহর থেকে  প্রায় ৮৩ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। শহরের যান্ত্রিকতা আর ব্যস্ততাকে বিদায় দিয়ে গিয়েছিলাম লাল পাহাড়ের দেশে। সাথে সঙ্গী হয়েছেন এক ঝাঁক তরুণ তুুুর্কি 'হালিশহর বাইকার্স'। শহরের অলিগলিতে মোটরসাইকেল নিয়ে তাদের পদচারণা সহসাই দেখা মিলবে।  ঘড়ির কাঁটায়  তখন সকাল ৬টা। বন্ধু ইমনের ফোন পেয়ে উঠলাম, তারপর রেডি হয়ে রওনা হলাম লাল পাহাড়ের পথে। দূর পাহাড়কে আপন করতে। 

যাত্রাপথ : হালিশহর বি -ব্লক থেকে চললাম ভাটিয়ারি হয়ে হাটাহাজারী  রোড দিয়ে রাউজান রাঙ্গুনিয়ার আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে আসলাম শালবন পাহাড়ে। পথ বেয়ে চলার পথে একটু হারিয়ে যেতে ইচ্ছা করবে। কিন্তু হারিয়ে গেলে গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে না-   এই ভেবে চললাম রাঙামাটির উদ্দেশে। যাওয়ার পথে ভালো লাগার মত কিছু থাকলে তা ছিলো আঁকাবাঁকা পথে রাস্তায় দেওয়া গ্লাস গুলো যা একপাশ থেকে অন্য পাশের গাড়িগুলোর গতিবেগ বুঝতে  সাহায্য করছে । 

অবশেষে থামলাম শান্তিনগর ফিশারিঘাটে এসে। একটু শান্তির পরশ পেলাম। স্বস্তি  নিয়ে কিছুটা বিরতি নিলাম। এরপর আবার যাত্রা শুরু।   পথ যে এখনো বাকি কারণ গন্তব্য আমাদের রাঙামাটির  সুবলং ঝর্ণার দিকে যা মূল সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার। বোটে করে চললাম ঝর্ণার জলে গা ভেজাতে । 
ঘোরাফেরা শেষে ভোজন রসিকদের  খাওয়া দাওয়ায় কাটল একটি দিন। কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা ছাড়া সবই ছিল এ ভ্রমণে।

সিভয়েস/আই
 

সিভয়েস ডেস্ক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়