Cvoice24.com

যুবলীগের ভাবমূর্তি ফেরাতে নতুন কমিটি ঘোষণা
যুবলীগের নতুন মাঝি শেখ পরশ

প্রকাশিত: ১২:১৬, ২৩ নভেম্বর ২০১৯
যুবলীগের নতুন মাঝি শেখ পরশ

ছবি : সংগৃহীত

তিন বছরের জন্য যুবলীগের নতুন চেয়ারম্যান হয়েছেন শেখ ফজলে শামস পরশ। আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মাঈনুল হোসেন খান নিখিল।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বিকেলে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে কংগ্রেসের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

এই কংগ্রেসে ৩ হাজারের বেশি কাউন্সিলর এবং ৩০ হাজার ডেলিগেট আমন্ত্রিত ছিলেন। তবে ক্যাসিনোকাণ্ডে যুবলীগের সদ্য বাদ পড়া চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীসহ বিতর্কিতদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

শেখ ফজলে শামস পরশ যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির বড় ছেলে। পরশ ১০ বছর ধরে রাজধানীর ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতকোত্তর শেষে যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে একই বিষয়ে আবারো স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। পরশের বর্তমান বয়স ৫১ বছর।

সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়া মাইনুল হোসেন খান নিখিল ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সভাপতি হিসাবে গত কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেছেন।

যুবলীগের জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক চয়ন ইসলামের সভাপতিত্বে কংগ্রেসের প্রথম অধিবেশনে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব হারুন অর রশিদ বক্তব্য রাখেন। কংগ্রেসে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান এবং শোক প্রস্তাব পাঠ করেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেলাল হোসেন।

এরআগে বেলা ১১টায় ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী যুবলীগের ৭ম কংগ্রেস শুরু হয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে এই কংগ্রেসের উদ্বোধন করেন।

শনিবার কংগ্রেসের দ্বিতীয় পর্বে যুবলীগের চেয়ারম্যান হিসেবে শেখ পরশের নাম প্রস্তাব করেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক চয়ন ইসলাম। এ প্রস্তাবের সমর্থন করেন সদস্য সচিব হারুনুর রশিদ। পরে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সর্বসম্মতভাবে পরশের নাম ঘোষণা করেন। আগামী তিন বছর যুবলীগের নেতৃত্ব দেবেন শেখ ফজলে শামস পরশ।

পরে সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য কাউন্সিলরদের কাছ থেকে নামের প্রস্তাব চাওয়া হয়। কাউন্সিলরা অ্যাডভোকেট বেলাল হোসেন, মহিউদ্দিন মহি, বদিউল আলম বদি, মাঈনুল হোসেন খান নিখিল, সুব্রত পাল এবং ইকবাল মাহমুদ বাবলুর নাম প্রস্তাব করেন।

ওমর ফারুকের দায়িত্ব পালনের মধ্যেই বিতর্কের মধ্যে পড়তে হয় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সক্রিয় যুবলীগকে।

গত সেপ্টেম্বরে এক সভায় যুবলীগ নিয়ে শেখ হাসিনার উষ্মা প্রকাশের পর ঢাকায় ক্যাসিনো বন্ধে র‌্যাবের অভিযানে প্রকাশ পেতে থাকে সংগঠনটির নেতাদের নাম, গ্রেপ্তারের পর বহিষ্কৃতও হন কয়েকজন নেতা।

শুরুতে অভিযান নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছিলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক; পরে নিশ্চুপ হয়ে যান তিনি। ক্যাসিনো কেলেঙ্কারিতে থাকা যুবলীগ নেতাদের পৃষ্ঠপোষকতা দেওয়ার অভিযোগ আসতে থাকে তার বিরুদ্ধেও।

এক পর্যায়ে শেখ হাসিনার নির্দেশে যুবলীগ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় ওমর ফারুককে, বহিষ্কার করা হয় ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ দাগিদের।


-সিভয়েস/এসসি

 

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়