Cvoice24.com


পেঁয়াজের পথে হাঁটছে তেল ও এলাচের বাজার

প্রকাশিত: ১২:৪৬, ২৫ নভেম্বর ২০১৯
পেঁয়াজের পথে হাঁটছে তেল ও এলাচের বাজার

ছবি : সংগৃহীত

সবাই যখন পেঁয়াজের বাজারের উত্তাপ নিয়ে সরগরম, সেখানে নিরবে দাম বাড়ছে ভোগ্য তেল আর এলাচের। গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতি মন তেলে ৫০-১০০ টাকা আর এলাচের কেজিতে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) খাতুনগঞ্জে তেল ও মসলার বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। সেখানে পাম, সয়াবিন ও সুপার পাম প্রতি মন (৩৮ কেজির) যথাক্রমে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৫০ টাকা, ৩ হাজার ৫০ টাকা ও ২ হাজার ৭০০ টাকায়।

সে অনুযায়ী খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন তেল কেজিতে ৮৫-৮৮ টাকায় বিক্রি হলেও লিটারে ৯৫-১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ৭৬ টাকায়।

অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় মসলার মধ্যে পাইকারিতে গুয়েতমালার এলাচের সবচেয়ে বেশি দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৭৫০ টাকায়। গত সপ্তাহের তুলনায় ৫ টাকা কমে ভারতীয় জি¦রার পাইকারিতে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮৫ টাকায়। এছাড়া চিনা দারুচিনির বাজার স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে, বিক্রি হচ্ছে ২৯৮ টাকায়।

সে অনুযায়ী খুচরা বাজারে প্রতি কেজি এলাচ ৩ হাজার ১০০ টাকা, দারুচিনি ৩৪০ টাকা ও জি¦রা ৩১০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  
 
তেলের আমদানিকারকরা বলছেন, রপ্তানিকারক দেশগুলোতে প্রতিনিয়তই বুকিং বাড়ছে। ফলে চাহিদা বাড়লেও সে অনুযায়ী ফ্যাক্টরিগুলোতে মজুদ নেই। ফলে দাম বাড়ছে।

এ বিষয়ে আমান উল্লাহ নামের এক তেল ব্যবসায়ী সিভয়েসকে বলেন, দেশে সয়াবিনের তুলনায় পাম তেলের চাহিদা বেশি। আর সেটি শুধুমাত্র মালেশিয়া থেকে আমদানি করা হয়। প্রতিনিয়তই মালেশিয়ার মুদ্রার (রিঙ্গিত) দাম উঠা-নামা করছে। কিন্তু বর্তমানে সে দামটা বেশি হওয়ায় আমাদের দেশিয় টাকা বার্তি খরচ হচ্ছে। তাই তেলের দাম বাড়ছে।

এদিকে মসলা ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাংলাদেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি ভারতীয় এলাচ আমদানি করা হতো। কিন্তু সম্প্রতি বন্যায় ভারতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ায় আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে।
 
এ বিষয়ে চাক্তাই-খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম সিভয়েসকে বলেন, সম্প্রতি গুয়েতমালা থেকে বাংলাদেশ যেসব এলাচ আমদানি করা হচ্ছে, সেখান থেকে ভারতও নিচ্ছে। ফলে মজুদ কমে যাওয়ায় কেজিপ্রতি ২০০-৩০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে।

তিনি জানান, বাংলাদেশে প্রতিদিন ১০ টন এলাচের চাহিদা রয়েছে। এর ৬ ভাগের ১ ভাগ চাহিদা চট্টগ্রামে রয়েছে। এ মাসেই চট্টগ্রামে ৪ টন এলাচের চাহিদা ছিল। এছাড়া চট্টগ্রামে প্রতিদিন ১০ টন জি¦রা ও ৫ টন দারুচিনির চাহিদা আছে বলেও জানান এ ব্যবসায়ী নেতা।

উল্লেখ্য, খাতুনগঞ্জ থেকে ঢাকার চকবাজার ও বগুড়া জেলা থেকে সবচেয়ে বেশি ব্যবসায়ীর মসলা নিয়ে যান। এছাড়া নরসিংদী ও পাবনা জেলা ছাড়াও দেশের অন্যান্য জেলা থেকেও পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীরা মসলা কিনতে আসেন।

-সিভয়েস/এএফ/এসসি

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়