Cvoice24.com


ডিসি হিল মঞ্চ উন্মুক্তকরণে সংস্কৃতি কর্মীদের সাথে মেয়রের একাত্মতা 

প্রকাশিত: ১৩:১৫, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯
ডিসি হিল মঞ্চ উন্মুক্তকরণে সংস্কৃতি কর্মীদের সাথে মেয়রের একাত্মতা 

একসময় নানামুখী সাংস্কৃতিক আয়োজনে ব্যস্ত থাকত নগরীর ডিসি হিল মুক্ত মঞ্চ। কিন্তু প্রশাসনিক বিধি নিষেধের কারণে বর্তমানে এই মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন ম্রিয়মান হয়ে গেছে। মাঝে মধ্যে দুয়েকটা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হলেও বছরের বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকে ডিসি হিল মঞ্চ। এই নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সাথে সাংস্কৃতিক ব্যক্তি প্রতিষ্ঠানের কয়েকবার আলোচনা হলেও আজ পর্যন্ত তা সফলতার মুখ দেখেনি। এবার ডিসি হিলের মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পুনঃ চালুকরণে সংস্কৃতি কর্মীদের সাথে একাত্ম হয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। এই মঞ্চকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য উন্মুক্ত  করার ব্যাপারে সংস্কৃতি কর্মীরাসহ প্রশাসনের সাথে আলোচনা শুরুর উদ্যোগ নিচ্ছেন তিনি। 

শুক্রবার বিকালে 'শিশু মেলা' আয়োজিত অনুষ্ঠিত নবান্ন উৎসব- ১৪২৬'র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই উদ্যোগ গ্রহণের কথা ব্যক্ত করেন। নবান্ন উৎসব উদযাপন কমিটির কো চেয়ারম্যান দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান ডিসি হিলকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য উন্মুক্তকরণে মেয়রকে উদ্যোগ গ্রহণের আহবান জানান। আহবানে সাড়া দিয়ে মেয়র নাছির সংস্কৃতি কর্মীদের সাথে নিয়ে প্রশাসনের সাথে আলোচনা শুরুর প্রতিশ্রুতি দেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, নবান্ন উৎসব বাঙালির প্রাণের উৎসব। এটা আমাদের ঐতিহ্যের সংস্কৃতির অংশ। নতুন প্রজন্ম যারা শহুরে জীবনে বেড়ে উঠছে তারা হয়ত এর সাথে এত পরিচিত নয়। এ ধরণের আয়োজন যত বেশি হবে আমাদের নতুন প্রজন্ম বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্য কৃষ্টির সাথে তত বেশি পরিচিত হবে। একসময় এই আয়োজন ডিসি হিলে হত। অত্যন্ত দুর্ভাগ্য ডিসি হিল একসময় সংস্কৃতির কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ছিল,  কেন জানি না এক ধরণের বাধার কারণে সেটা ম্রিয়মান হয়ে গেছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য  চট্টগ্রামে তেমন উন্মুক্ত স্থানও নেই। একসময় প্রায় সব ধরণের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ডিসি হিলে  হত। বছরে এখন দু'চারটি অনুষ্ঠানের অনুমতি দেয়া হয়। অনুষ্ঠান পরিচালিত না হওয়ায় ডিসি হিল অনেকটা জঞ্জালে পরিণত হয়েছে। যেসব কারণে সেখানে অনুষ্ঠান আয়োজনে বাধা দেয়া হচ্ছে সেগুলো চিহ্নিত করে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিদের সাথে আলোচনা করে কিভাবে অনুষ্ঠান আয়োজনের ব্যবস্থা করা যায় তার ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে  অনুরোধ জানাবো।

উৎসব উদযাপন কমিটির কো চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক  মফিজুর রহমান বলেন, আমাদের ডিসি হিলে সব ধরণের সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড, বই মেলা হত। যেকোন ভাবে সেটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে পরিচ্ছন্নতার নামে। মেয়রের কাছে দাবি জানাই ডিসি হিল সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে ব্যবস্থা নিবেন।

উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান ডা. একিউ এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড যখন বিস্তৃত করা দরকার তখন কেন জানি আমরা পিছনের দিকে হাঁটছি। ডিসি হিলে কেন সাংস্কৃতিক আয়োজন বন্ধ হয়ে গেল? আজ মেয়র মহোদয় বলেছেন, প্রয়োজনে চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে মেয়রের নেতৃত্বে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব। কোন বাধায় আটকে আছে তা আমরা অপসারণ করতে চাই। সামনে মুজিববর্ষ, চট্টগ্রামে মুজিববর্ষ আয়োজনের কেন্দ্রবিন্দু যেন ডিসি হিল হয় সে উদ্যোগ নিতে হবে। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিভয়েস ২৪ ডট কম সম্পাদক এম নাসিরুল হক, চট্টগ্রাম ডেকোরেটার্স মালিক সমিতির সহসভাপতি মো সাহাবুদ্দিন,  সিনিয়র সাংবাদিক বালাগাত উল্লাহ, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ তিন কৃষিজীবী সাতকানিয়া উপজেলার হারুনুর রশীদ, মো সোহেল, রাউজান উপজেলার সোলায়মান চৌধুরী, ওয়ার্কাস পার্টি চট্টগ্রাম সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহান, নগর যুবলীগ নেতা সুমন দেবনাথ,  নবান্ন উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব প্রনব বল, সমন্বয়ক রুবেল দাশ প্রিন্সসহ সংশ্লিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তি প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

সিভয়েস/ইউডি

 

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়