Cvoice24.com

চট্টগ্রামে আজ, বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪

সময় ঘন্টা মিনিট সেকেন্ড


ফাইল বন্দি বাড়ি ভাড়া আইন! বাড়িওয়ালার যাঁতাকলে ভাড়াটিয়া

প্রকাশিত: ০৬:২৩, ৭ জানুয়ারি ২০২০
ফাইল বন্দি বাড়ি ভাড়া আইন! বাড়িওয়ালার যাঁতাকলে ভাড়াটিয়া

ছবি : সিভয়েস

বাড়ি ভাড়া নিয়ে চট্টগ্রামে নৈরাজ্য বেড়েই চলছে। বছরের শুরুতে বাড়িভাড়া বৃদ্ধি যেন প্রথা হয়ে উঠেছে বাড়িওয়ালাদের কাছে। এই প্রথার যাতাকলে পৃষ্ঠ ভাড়াটিয়ারা। রয়েছে ভাড়াটিয়ার সঙ্গে উদ্ধত আচরণ। ভাড়াটিয়ার অধিকার আইনে সুরক্ষিত থাকলেও বাস্তবে বাড়ির মালিক যা বলেন তাই বর্তমানে আইন।

জানা গেছে, অধিকাংশ বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়াদের প্রদান করে না ভাড়ার রসিদ। করা হয় না কোনো চুক্তিপত্র, কোনো সমস্যা হলে যাতে ইচ্ছামত ভাড়াটিয়াকে বের করে দেয়ার হুমকি দেয়া যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে তিন মাসের অগ্রিম (দুই মাসের অগ্রিম ভাড়া আবার চলতি মাসের অগ্রিম ভাড়া, সব মিলে তিন মাসের অগ্রিম ভাড়া) নেওয়া হচ্ছে, যেখানে বাড়ি ভাড়ার আইনে উল্লেখ রয়েছে অগ্রিম হিসেবে এক মাসের ভাড়া দেওয়ার কথা। বেশি ভাড়া কিংবা অগ্রিম ভাড়া বেশি পেলে ১ মাসের নোটিশে ভাড়াটিয়াকে বলপূর্বক বের করে দেয়ার ঘটনা ঘটে ঘটছে অহরহ। আবার কোনো ধরণের সমস্যার কথা জানালে ভাড়াটিয়াদের প্রতি বাড়ির মালিকদের সবচেয়ে প্রচলিত উত্তর থাকে- ‘পোষালে থাকেন, না পোষালে চলে যান’! আবার অনেক বাড়ির মালিক ভাড়াটিয়ার আত্মীয়-স্বজন বাসায় আসলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এমন কি অনেক বাড়িওয়ালা শর্ত জুড়ে দেয় যে, বাসায় যেন মেহমান না আসে। আত্মীয় স্বজনের সামনে অনেক সময় বাড়ির মালিক কর্তৃক ভাড়াটিয়া অপমানিতও হতে হয়।

এহেন অনিয়ম ও হয়রানি প্রতিরোধে বাংলাদেশে প্রচলিত রয়েছে ১৯৯১ সালের বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইন। ভাড়াটিয়া হিসেবে প্রাপ্ত অধিকার এই আইনে আছে। এই অধিকার কোনো বাড়িওয়ালা লঙ্ঘন করলে তাকে পেতে হবে শাস্তি। বাড়িভাড়া-সংক্রান্ত সমস্যা নিষ্পত্তির জন্য আইন অনুযায়ী রয়েছেন ভাড়া নিয়ন্ত্রক। এ দায়িত্ব সাধারণত জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতগুলো পালন করে থাকেন। তবে আইনের কিছুটা হলেও যদি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হতো তাহলে ভাড়াটিয়াদের জিম্মি অবস্থা অনেকটা লাঘব হতো। আইনে বাড়িভাড়া কেমন হবে, ভাড়া বৃদ্ধি হার, বাড়ি থেকে উচ্ছেদ, অগ্রিম জামানত গ্রহণ, ভাড়ার রসিদ প্রদান, লিখিত চুক্তি, বাসযোগ্য বাসস্থান ইত্যাদি সম্পর্কে সুস্পষ্ট  নির্দেশনা দেয়া রয়েছে।

অনুসন্ধানীতে উঠে আসে, চট্টগ্রাম নগরীর বাড়িওয়ালা তাদের মধ্যে অধিকাংশই স্থানীয় পৈত্রিক সূত্রে জমির মালিক হওয়ার মাধ্যমে হয়ে উঠেছেন বাড়ির মালিক। আবার অন্যান্য জেলা থেকে এসে জমি ক্রয় করে বাড়ি করেছেন। আবার সরকারি প্লট কিনে অনেকে এখন বাড়িওয়ালা। এছাড়া পাড়া-মহল্লায় ২/৩ কড়া জায়গার উপর দাঁড়িয়ে আছে অনুমোদনহীন চারতলা ভবন। চিপা রাস্তা, পানির সুব্যবস্থাও নেই এই ভবনগুলোয়। এই সকল ভবনে বেশিরভাগ ভাড়াটিয়া পোষাক শ্রমিক ও ব্যাচলরা। তদারকি নেই সিডিএ ও কর্পোরেশনের। আবার নবনির্মিত বাড়িতে থাকে না গ্যাস সংযোগ। তবে সেই বাসাও ভাড়া দেওয়ার জন্যে টাঙ্গানো হয় টু-লেট, ভাড়াটিয়াকে বলা হয় খুব শিগগিরই দেয়া হবে গ্যাস সংযোগ। কিন্তু বাসা ভাড়া হয়ে গেলে গ্যাস সংযোগ তো দূরের কথা আশ্বাস দেয়ার জন্যেও দেখা মিলে না বাড়িওয়ালার।

অভিযোগ আছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজের কাজের লোককে নিরাপত্তার লোক হিসাবে দেখিয়ে সেবা না দিয়ে টাকা নেয়া হয়। অনেক বাড়িওয়ালা বাসায় চুরি, ডাকাতি হলে বদনাম ও ঝামেলা হবে বলে আইনের আশ্রয় নিতে দেন না। অনেক বাসায় রাত এগারটার পর ভাড়াটিয়াকে ঢুকতে দেওয়া হয় না। দেয়া হয় না গেইটের চাবি। চাকরিজীবি ভাড়াটিয়ারা কাজের কারণে বাসায় আসতে দেরি করলে গেইট খোলার বিনিময়ে দারোয়ানরা টাকা দাবি করে লাঞ্চিত করে প্রায় সময়।

পাহাড়তলী এলাকার নাছির ভবনের ভাড়াটিয়ারা মিসেস জেসমিন কাউছার সিভয়েসকে বলেন, গত ২০ বছর যাবৎ চট্টগ্রামে বাসা ভাড়া থাকছি। অনেক বাড়িওয়ালার সাথে সম্পর্ক হয়েছে সেই সুবাদে। এক বাড়িওয়ালার বাসায় ভাড়া থাকার খুব বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছে। সেই সময় তো মনে হয়েছিল আমরা ভাড়াটিয়া হয়ে বড় ভুল করে ফেলেছি। পানি ঠিক মতো পেতাম না, রাত ১০টার পর বাসার মেইন গেইট বন্ধ করে দেয়া হতো। ভাড়াটিয়ারাদের মেইন গেইটের চাবিও দেয়া হতো না। ছেলে চাকরি শেষে বাসায় ফিরে গেইটের চাবির জন্য দাড়িয়ে থাকতো। দারোয়ান না থাকায় বাড়িওয়ালার কাছে গিয়ে নানা কথা শুনে চাবি আনতে হত। ছাদে উঠতে দেয়া হতো না।
 

বাড়িভাড়া আইনে বলা হয়- আইনে বাড়ির ভাড়া মানসম্মতভাবে নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। মানসম্মত ভাড়া সম্পর্কে এই আইনের ১৫ (১) ধারায় বলা হয়েছে, ভাড়ার বার্ষিক পরিমাণ সংশ্লিষ্ট বাড়ির বাজার মূল্যের শতকরা ১৫ ভাগের বেশি হবে না। বাড়ির বাজার মূল্য নির্ধারণ করার পদ্ধতিও বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ১৯৬৪ তে স্পষ্ট করে উল্লেখ আছে। এ ভাড়া বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে আপসে নির্ধারিত হতে পারে। আবার ভাড়া নিয়ন্ত্রকও নির্ধারণ করতে পারেন। এটাকে সর্বস্তরে গ্রহণযোগ্য করতে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন ঢাকা মহানগরীকে দশটি রাজস্ব অঞ্চলে ভাগ করে ক্যাটাগরি ভিত্তিক সম্ভাব্য বাড়ি ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে।

ভাড়া বৃদ্ধি হার প্রসঙ্গে বলা হয়- দুই বছরের আগে বাড়ির ভাড়া বাড়ানো যাবে না। কোনো বিরোধ দেখা দিলে বাড়ির মালিক বা ভাড়াটিয়ার দরখাস্তের ভিত্তিতে দুই বছর পর পর নিয়ন্ত্রক মানসম্মত ভাড়া পুনর্র্নিধারণ করতে পারবেন। বাড়িওয়ালা যদি মানসম্মত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে আদায় করেন, তাহলে প্রথমবার অপরাধের জন্য মানসম্মত ভাড়ার অতিরিক্ত আদায়কৃত টাকার দ্বিগুণ পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন এবং পরবর্তীতে প্রতিবার অপরাধের জন্য ওই অতিরিক্ত টাকার তিন গুণ পর্যন্ত অর্থদন্ডে দন্ডিত হবেন।

বাড়ি থেকে উচ্ছেদ প্রসঙ্গে উল্লেখ করা হয়- এই আইনের ১৮নং ধারায় উল্লেখ রয়েছে, ১৮৮২ সনের সম্পত্তি হস্তান্তর আইন বা ১৮৭২ সালের চুক্তি আইনের বিধানে যাই থাকুক না কেন, ভাড়াটিয়া যদি নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করতে থাকেন এবং বাড়িভাড়ার শর্তগুলো মেনে চলেন তাহলে যতদিন ভাড়াটিয়া এভাবে করতে থাকবেন ততদিন পর্যন্ত ওই ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করা যাবে না। এমনকি ১৮(২) ধারা মতে বাড়ির মালিক পরিবর্তিত হলেও ভাড়াটিয়া যদি আইনসম্মত ভাড়া প্রদানে রাজি থাকেন তবে তাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা যাবে না। চুক্তিপত্র না থাকলে যদি কোনো ভাড়াটিয়া প্রতি মাসের ভাড়া পরবর্তী মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করেন, তাহলেও ভাড়াটিয়াকে উচ্ছেদ করা যাবে না।

অগ্রিম জামানত গ্রহণের বিষয়ে বলা হয়- কোনো ব্যক্তি ভাড়ার অতিরিক্ত প্রিমিয়াম, সালামি বা জামানত ভাড়াটিয়াকে দেওয়ার জন্য বলতে পারবেন না। ১৯৯১-এর ১০ ও ২৩ ধারা মোতাবেক বাড়ি ভাড়া নিয়ন্ত্রকের লিখিত আদেশ ছাড়া অন্য কোনোভাবেই বাড়ি মালিক তার ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে অগ্রিম বাবদ এক মাসের বাড়ি ভাড়ার অধিক কোনো প্রকার ভাড়া, জামানত, প্রিমিয়াম বা সেলামি গ্রহণ করতে পারবেন না। তা হলে দণ্ডবিধি ২৩ ধারা মোতাবেক তিনি দণ্ডিত হবেন।

ভাড়ার রসিদ প্রদান প্রসঙ্গে স্পষ্ট বলা হয়- এই আইনে বাড়ির মালিককে ভাড়ার রসিদ প্রদানের কথা বলা হয়েছে। রসিদ প্রদানে ব্যর্থ হলে ভাড়াটিয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে বাড়িওয়ালা আদায়কৃত টাকার দ্বিগুণ অর্থদন্ডে দণ্ডিত হবেন।

লিখিত চুক্তি সম্পর্কে কড়াকড়ি আরোপ করে উল্লেখ করা হয়- বাড়ি ভাড়ার চুক্তি ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে করা যেতে পারে এবং প্রয়োজনে তা এফিডএফিড বা নিবন্ধন করে নেওয়া যেতে পারে। এর ফলে অনাকাক্সিক্ষত ঝামেলা এড়ানো সম্ভব। চুক্তিপত্রে ভাড়া, ভাড়া বৃদ্ধি, বাড়ি ছাড়ার নোটিশসহ বিভিন্ন বিষয় স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে।বাড়ি মেরামত কোনো কারণে ভাড়াটিয়ার ভাড়া নেওয়া অংশ মেরামত করার প্রয়োজন হলে বাড়িওয়ালাকে তা মেরামতের নির্দেশ দিতে পারেন এবং মেরামতের খরচ বাড়িওয়ালাকেই বহন করতে হবে। জরুরি মেরামতের ক্ষেত্রে নোটিশ পরবর্তী ৭২ ঘন্টার মধ্যে মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে ভাড়াটিয়া তার নিজ উদ্যোগে মেরামত করতে পারবেন এবং যাবতীয় খরচ ভাড়া থেকে কেটে রাখতে পারবেন।

বাসযোগ্য বাসস্থানের নির্দশনায় বলা হয়- বাড়িভাড়া আইন অনুযায়ী বাড়ির মালিক তার বাড়িটি বসবাসের উপযোগী করে রাখতে আইনত বাধ্য এবং বাড়ির মালিক ইচ্ছা করলেই ভাড়াটিয়াকে বসবাসের অনুপযোগী বা অযোগ্য অবস্থায় রাখতে পারেন না। স্বাস্থ্যসম্মতভাবে বসবাসের উপযোগী করে বাড়িটি প্রস্তুত রাখতে বাড়ির মালিকের উপর এই বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ আইনের ২১নং ধারায় বাধ্যবাধকতা আরোপ করেছে। অর্থাৎ ভাড়াটিয়াকে পানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ সরবরাহ, পয়ঃপ্রণালী নিষ্কাশন ইত্যাদি সুবিধা প্রদান করতে হবে। এমনকি প্রয়োজনবোধে লিফটের সুবিধাও দিতে হবে। কিন্তু উক্তরোক্ত সুবিধা প্রদানে বাড়ি মালিক অনীহা প্রকাশ করলে কিংবা বাড়িটি মেরামতের প্রয়োজন হলেও ভাড়াটিয়া নিয়ন্ত্রকের কাছে দরখাস্ত করতে পারবেন।

এ বিষয়ে ২নং গেইট চাশমা হিলের হাবিব ম্যানশনের মালিক আসলাম হাবিব সিভয়েসকে বলেন, যারা বাসা ভাড়া দেয়াকে ব্যবসা মনে করে তারাই বেশি লাভের আশায় ভাড়াটিয়ারাদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। নিজেদের মালিক এবং ভাড়াটিয়ারাদের চাকর মনে করে। আমি আমার ভাড়াটিয়ারাদের নিজের পরিবারের সদস্য মনে করি এবং আমার বিল্ডিং এর ভাড়াটিয়ারাও আমাদের সাথে খুবই আন্তরিক। অত্যাচারী বাড়িওয়ালাদের সংখ্যা খুব কম নয়। ভাড়াটিয়াদের উচিত ভাড়াটিয়া হিসেবে প্রাপ্ত অধিকারগুলো সম্পর্কে অবগত হওয়া এবং অনিয়ম ও হয়রানির শিকার হলে প্রশাসনের সাহায্য নেয়া।

ভাড়াটিয়ার অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন বলছেন, বাড়ির মালিকের কাছ থেকে মূল গেটের চাবি বুঝে নেয়া, নতুন বাসা বা অফিসে উঠার আগে প্রত্যেক ভাড়াটিয়ার জন্য আলাদা আলাদা যে বৈদ্যতিক মিটার থাকে তার বর্তমান রিড়িং এর পরিমাণ বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়া উভয়কে লিখে রাখতে হবে। পরবর্তী মাসের বিদ্যুৎ বিল হিসেবের জন্য। গিজার, পানির মিটার, ইলেক্ট্রিক লাইন, গ্যাস,ময়লা ফেলা বা দারোয়ান রাখা ইত্যাদি সম্পর্কে বাড়িওয়ালার কাছ থেকে আগেই জেনে নিতে হবে। সর্বোপরি বাড়িভাড়া নেয়া ক্ষেত্রে ভাড়াটিয়াদের নিজ নিজ স্থান থেকে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।
 
বিভিন্ন জরিপে দেখা গেছে, নগরীতে বসবাসকারীদের মধ্যে ৭০ ভাগেরও বেশি মানুষ ভাড়া বাসায় থাকেন। বাড়ির মালিক ৩০ ভাগ। আর এই ৩০ ভাগ বাড়িওয়ালার কাছে নগরীর ৭০ ভাগ মানুষ জিম্মি। জরিপে আরো জানা যায়, নগরীতে বসবাসকারী নাগরিকদের উপার্জনের ৫৫ ভাগ ব্যয় হয় বাড়িভাড়ায়। বাকি ৪৫ ভাগ দিয়ে কোনো রকমে জীবিকা নির্বাহ করতে হয় তাদের। অন্য এক জরিপে দেখা যায়, ২৭ ভাগ ভাড়াটিয়া আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ, ৫৭ ভাগ ভাড়াটিয়া প্রায় অর্ধেক, ১২ ভাগ আয়ের প্রায় ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয় করেন বাড়ি ভাড়া খাতে।
 
-সিভয়েস/এসসি

জোবায়েদ ইবনে শাহাদত

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়