Cvoice24.com


সবজিতে দাম বেড়েছে আলুর, স্বাভাবিক বাকিগুলো

প্রকাশিত: ০৪:৫৪, ১০ জানুয়ারি ২০২০
সবজিতে দাম বেড়েছে আলুর, স্বাভাবিক বাকিগুলো

ফাইল ছবি।

চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে আলুর। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৮-১২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পাইকারি বাজারেও এর দাম বেড়েছে। তাছাড়া পণ্যটি সরবরাহেও রয়েছে ঘাটতি। চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির দামও কিছুটা বেড়েছে।

চকবাজার কাঁচাবাজারসহ নগরীর বেশ কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে ২০ টাকায় প্রতি কেজি বিক্রি হওয়া নতুন আলু
বিক্রি হচ্ছে ২৮-৩২ টাকায়; যা আগে ১৫-২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এ ব্যাপারে ফিরিঙ্গি বাজারের সবজি বিক্রেতা কাউছার বলেন, ‘পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে বলে একটু বেশি দামে বিক্রি করছি। আর কয়েক দিন ধরে আলুর আমদানি খুবই কম।'

দেওয়ানহাট কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি নতুন আলু ২৮-৩০ টাকা, শিম ৪০ টাকা,  ঝিঙা ৫০-বেগুন ৪০-৫০ টাকা,  ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা, ফুলকপি ৩০-৪০ টাকা, টমেটো ও শসা ৫৫-৩৬ টাকা, দেশি ও আমদানি করা পেঁয়াজ ১৬০ টাকা, দেশি রসুন ১০০-১২০ টাকা,  প্রতি লিটার সয়াবিন ৯৪-১০২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বিভিন্ন ধরনের চালের দাম স্থিতিশীল রয়েছে।

শুধু আলু নয়, খুচরা বাজারে অধিকাংশ সবজিই ৫-১০ টাকা বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ক্রেতারা। সদরঘাট বাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা স্বরুপ বড়ুয়া বলেন, এক কেজি মরিচ যদি ৬০ টাকা, ঢেঁড়স যদি ৬০ টাকায় কিনতে হয়, তাহলে সেটাকে কি কম দাম বলবেন? কোনোভাবেই এই দামটাকে কম বলার সুযোগ নেই। এ দাম অবশ্যই চড়া।’

স্থিতিশীল রয়েছে মাছের বাজার। নগরীর কাজীরদেওরীর মাছ বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ মান ভেদে ১১০-২২০ টাকা, টেংরা ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, মাঝারি রুই ১৮০-২২০ টাকা এবং বড় আকারের রুই ২৫০-২৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহের মতই রয়েছে।

পরিবর্তন আসেনি মাংসের দামেও। বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারের মাংসের দোকান ঘুরে দেখা যায়, গরুর মাংস প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা থেকে ৫২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে বেশির ভাগ বাজারেই ৪৮০ টাকা দামে এ মাংস বিক্রি করতে দেখা গেছে। খাসির মাংস ৭৫০-৮০০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি ১২০-১২৫ টাকা কেজি, পাকিস্থানি মুরগি ২২০-২৪০ কেজিতে, দেশি মুরগী ৩৭০-৪২০ টাকা।

বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা স্কুল শিক্ষিকা জেসমিন কাউছার বলেন, দাম নিয়ে আর কি বলবো? সবজি, মাছ, মাংস কিছুই তো দামের জন্যে ধরা যাচ্ছে না। যেভাবে পারে দাম হাকে। বাজার মনিটরিং এর কোনো ছিটে ফোটাও দেখলাম না। এইভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে আমরা কিভাবে চলবো!

সাধারণ মানুষ বলছে, বাজার মনিটরিং থাকলে পণ্যের দাম অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে চলে আসবে। কমবে সকলের ভোগান্তি।

সিভয়েস/টিবি/এসসি

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়