Cvoice24.com


করোনা প্রভাব: নগরীতে বাড়তে পারে লকডাউন পরিধি

প্রকাশিত: ০৮:০১, ২৫ মার্চ ২০২০
করোনা প্রভাব: নগরীতে বাড়তে পারে লকডাউন পরিধি

করোনা ভাইরাস (কভিড-১৯) সংক্রমণ ঠেকাতে একের পর এক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে সরকার। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সরকারি বেসরকারি অফিস, আদালত থেকে শুরু করে রেল, নৌ এবং বিমান যোগাযোগ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৬) থেকে বন্ধ হচ্ছে গণপরিবহনও। রাস্থায় নামানো হয়েছে সেনাবাহিনী। যারা জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে মাঠে কাজ করবেন। সরকার বলছে, প্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় বাড়ানো হবে লকডাউনের পরিধি।

সরকারের এসব সিদ্ধান্ত থেকে কোনোভাবেই বাহিরে নয় চট্টগ্রাম। এখানেও চলছে একের পর এক লকডাউন ঘটনা। চট্টগ্রামে প্রথম লকডাউন ঘটনা ঘটে গত ২৪ মার্চ। সেদিন এক জাপানি নাগরিক কোয়ারান্টাইন না মানায় নগরীর খুলশি এলাকার একটি বিল্ডিং লকডাউন করা হয়। এছাড়াও একই সময়ে পাশের এলাকার একটি রেস্টুরেন্টেও লকডাউন করেছে প্রশাসন। প্রশাসন বলছে, এক কোরিয়ান নাগরিকের কোয়ারান্টাইনে থাকার কথা থাকলেও তিনি কোয়ারান্টাইনে ছিলেন না। বরং ওই কোরিয়ান নাগরিক লক ডাউন করা ওই রেস্টুরেন্টে যাওয়া আসা করেন। যার কারণে রেস্টুরেন্টটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এদিকে নগরীর চাঁন্দগাও থানা ও বাকলিয়া থানা এলাকার দুটি বাড়িও গত মঙ্গলবার (২৪) লক ডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। এ দু’টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা সিভয়েসকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাড়ি দুটিতে সম্প্রতি বিদেশ থেকে আসছেন এবং করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছেন এমন মানুষের যাতায়াত ছিল। যার কারণে বাড়ি দুটি লক ডাউন করা হয়। 

চাঁন্দগাও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আতাউর রহমান বলেন, কক্সবাজারে সনাক্ত হওয়া একজন রোগী সম্প্রতি ওমরাহ শেষে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার ফিরে যান। এর মধ্যে তিনি চান্দগাঁওয়ের একটি বাড়িতে এক রাত ছিলেন। যার কারণে বাড়িটি লকডাউন করে দেওয়া হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। অন্যথায় সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব নয়। তিনি বলেন, সম্প্রতি যারা বিদেশ থেকে আসছেন তাদের অনেক বেশি সচেতন থাকতে হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী হোম কোয়ারান্টাইন এ থাকবে হবে। যারা নির্দেশনা মানবেন না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন সিভয়েসকে বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে অনেকগুলো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে যা যা করতে হবে তার সবই করবে সেনাবাহিনী। তাদের সাথে থাকবে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা। মোট কথা জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ইলিয়াস হোসেন আরও বলেন, নগরীর যেখানেই মানুষের জটলা দেখা যাবে সেখানেই ব্যবস্থা নেবে সেনাবাহিনী।

-সিভয়েস/এসএইচ/এমএম

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়