স্ত্রী’কে খুনের পর লাপাত্তা, ৬ বছর পর র্যাবের হাতে ধরা
নগরীর পাহাড়তলীতে স্ত্রীকে খুন করে ৬ বছর লাপাত্তা থাকার পর অবশেষে গ্রেফতার হয়েছেন স্বামী আবুল হোসেন লিটন (৩৮)। শনিবার (৬ জুন) সকালে ফেনীর সোনাগাজী থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
২০১৪ সালের ৩১ মে পারিবারিক কলহের জেরে নিজ বাসায় ওড়না প্যাঁচিয়ে স্ত্রী নাসিমাকে খুন করেন লিটন। স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে দুইদিন ঘরে অবস্থানও করেন লিটন। ২ এপ্রিল মরদেহ থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে পানির ড্রামে লাশ রেখে লিটন পালিয়ে যায়। একপর্যায়ে প্রতিবেশীদের কাছে সে দুর্গন্ধ পৌঁছলে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ দরজা ভেঙে পুলিশ পানির ড্রাম থেকে নাসিমার গলিত মরদেহ উদ্ধার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামি লিটন ও স্ত্রী নাসিমা ফেনীর সোনাগাজীর রাঘবপুর এলাকার বাসিন্দা। নগরীর পাহাড়তলীর গ্রীন ভিউ আবাসিক এলাকার ৬ তলা একটি ভবনের একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতেন দুজন।
র্যাব জানায়, খুনের পর থেকেই লাপাত্তা ছিল স্ত্রী খুনের একমাত্র আসামি আবুল হোসেন লিটন। গ্রেফতার এড়াতে ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়েও ছিলেন। তবে তার শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে লোমহর্ষক খুনের একমাত্র আসামি লিটন র্যাবের পরিচালিত অভিযানে সোনাগাজী থেকে গ্রেফতার হয়।
র্যাব-৭ এর এএসপি মাহমুদুল হাসান সিভয়েসকে বলেন, নাসিমা খুনের একমাত্র আসামি গ্রেফতারকৃত আবুল হোসেন লিটন। তাকে ফেনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ফেনী থানা পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠাবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ৩১ মার্চ পাহাড়তলীর বাসায় খুন হয় নাসিমা আক্রার। ২ এপ্রিল খুনের শিকার নাসিমার বড় ভাই স্বামী লিটনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে পাহাড়তলী থানায় একটি মামলা করেন। পরবর্তীতে স্বামী লিটনকে একমাত্র আসামি করে পুলিশের সিআইডি টিম আদালতে চার্জশিট দেন।
সিভয়েস /এসএইচ
সিভয়েস প্রতিবেদক