Cvoice24.com


১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা আটকে দিলো কাস্টমস

প্রকাশিত: ১৩:৫০, ২৯ জুন ২০২০
১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা আটকে দিলো কাস্টমস

‌‘কাজীর গরু কিতাবে আছে, গোয়ালে নেই’- এ প্রবাদটির সঙ্গে মিল রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে জিয়াদ ইন্টারন্যাশনালের আমদানি কর্মকাণ্ড। কাস্টমসের কাগজ কলমে যা আছে তা পরিমাণের গড়মিল ও ঘোষণা ছাড়াই আমদানি করা হয় বাড়তি কিছু পণ্য। এ পণ্য আমদানির জালিয়াতি করে প্রতিষ্ঠানটি চেয়েছিলো ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শুল্ক ফাঁকি দিতে। কিন্তু তা হলো না চট্টগ্রাম কাস্টমসের এআইআর শাখার চৌকশ অভিযানে।

চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, জিয়াদ ইন্টারন্যাশনাল নামের চট্টগ্রামের একটি আমদানীকারক প্রতিষ্ঠান মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে পণ্য আমদানি করে শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করে। প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা নগরীর রিয়াজ উদ্দিন বাজারস্থ জেবুন্নেছা রোডের কর্ণফুলি টাওয়ারে। তাদের অফিস ভবনটির ৬০৪/৬০৯ কক্ষে। এ পণ্য আমদানিতে ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ) এজেন্ট হিসেবে সম্পৃক্ত ছিল মেসার্স ইস্টার্ণ এন্টারপ্রাইজ সিএন্ডএফ লিমিটেড।

কাস্টমসের এআরআই শাখার সহকারী কমিশনার নুর-ই-হাসনা সানজিদা অনসূয়া বলেন, ‘জিয়াদ ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সস, মটরশুটি ও চকলেট ঘোষণা দিয়ে পণ্যগুলো ওজনে গরমিল করে এবং অঘোষিতভাবে চুইংগাম ও এনার্জি ড্রিংকস এনে ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করে। প্রতিষ্ঠানটি মেসার্স ইস্টার্ণ এন্টারপ্রাইজ সিএন্ডএফ লিমিটেডের মাধ্যমে চলতি বছরে ১৭ ফেব্রুয়ারি বিল অব এন্ট্রি করেন। তাদের বিল অব এন্ট্রি নম্বর সি-৩২১৮০৩। উক্ত বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ঘোষিত পণ্যের বিষয়ে গোপন সংবাদ থাকায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এআইআর শাখা কর্তৃক লক করা হয়। উক্ত লককৃত বিল অব এন্ট্রির মাধ্যমে ঘোষিত পণ্য গত ২৮ জুন এআইআর কর্মকর্তাদের মাধ্যমে শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করা হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘উক্ত কায়িক পরীক্ষায় সস ৪ হাজার ৯৫৬ কেজি ঘোষণার বিপরীতে পাওয়া যায় ৫ হাজার ৭৯ কেজি, মটরশুটি ১৩ হাজার ৭৯০ দশমিক ৪০ কেজি ঘোষণার বিপরীতে পাওয়া যায় ২৪০ কেজি এবং চকেলেট ১ হাজার ২৯৬ দশমিক ৪০ কেজি ঘোষণার বিপরীতে পাওয়া যায় ৮ হাজার ৬০৪ কেজি। এছাড়া ঘোষণা বহির্ভূতভাবে অর্গানিক মিক্সড নাটস ১ হাজার ৮৬০ কেজি, চুইংগাম ১৬ হাজার ২৫২ কেজি, নুডলস ৩৯২ কেজি এবং উচ্চ শুল্কের এনার্জি ড্রিংকস ১০ হাজার ৬৪৮ লিটার। গড়মিলের পণ্যসহ বাড়তি পণ্য হিসেব করে দেখা যায় আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানটি ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা শুল্ক ফাঁকির চেষ্টা করেছিল। শুল্ক ফাঁকির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে।’

-সিভয়েস/এসবি

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়