Cvoice24.com

চট্টগ্রামে আজ, বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪

সময় ঘন্টা মিনিট সেকেন্ড


গরুরহাটে বিক্রেতার মুখে হাসি, ক্রেতার মুখ ভার

প্রকাশিত: ১৫:৪২, ৩১ জুলাই ২০২০
গরুরহাটে বিক্রেতার মুখে হাসি, ক্রেতার মুখ ভার

ছবি : সিভয়েস

রাত পোহালে কোরবানি ঈদ। কোরবানি করতে শেষ মুহূর্তে গরুর জন্য হাহাকার নগরের হাটগুলোতে। হাটে হাতেগোণা গরু থাকলেও দাম বেশ চড়া। যে কয়টি গরু ছিল তা নিয়ে রীতিমতো ক্রেতাদের কাড়াকাড়ি।

শুক্রবার (৩১ জুলাই) সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে কর্ণফুলী পশুর হাট, সাগরিকা, এক কিলোমিটার, মইজ্জারটেকসহ প্রায় হাট গরুশূন্য। হাটের স্থানীয় বেপারীদের হাতেগোনা কয়েকটি গরু থাকালেও তা নিয়ে চলছে কাড়াকাড়ি। অন্যদিকে বেশি দামে বিক্রির আশায় বিভিন্ন জেলা থেকে আগত কিছু কিছ বেপারীদের হাতে থাকা গরুর দামও হাঁকছেন দ্বিগুণ। একপ্রকার তাদের নিকট জিম্মি ক্রেতাগণ। এমন অবস্থায় দর কষাকষিরও সুযোগ দিচ্ছে না বেপারীরা। ক্রেতাদের এমন দুরবস্থা দেখে হাসতে দেখা গেছে গরু ব্যবসায়ীদের। বলা চলে করোনার এমন পরিস্থিতে ‘কারো পৌষ মাস কারো সর্বনাশ।’

বিবিরহাট বাজারে গরু কিনতে আসা নিলয় সিভয়েসকে বলেন, প্রতি বছর কোরবানি করে আসছি। গরু রাখার জায়গা নেই বলে ঈদের আগের দিন গরু কিনে থাকি। কিন্তু গরু কিনতে এসে এবারের মত এতো কঠিন সময়ের মুখোমুখি আগে কখনো পড়িনি। পঞ্চাশ হাজার টাকা মূল্যের গরু কিনতে  হচ্ছে পচাত্তোর হাজার দিয়ে। মনে হচ্ছে বেপারীদের এবার পোয়াবারত। দামের দিক থেকে কথা বলারও সুযোগ দিচ্ছে না। আর পুরো বাজারে গরুর চাইতে মানুষ বেশি। যে যেটার রশি ধরেছে আর ছাড়ছে না।

গরু ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রথমদিকে অনেক ব্যাপারি করোনার কারণে বিক্রি নাও হতে পারে-এই আতঙ্কে কম দামে গরু ছেড়ে দিয়েছেন। আজ থেকে তিনদিন আগেও সব ব্যাপারি ও খামারির চেহারায় গরু বিক্রি না হওয়ার আতঙ্ক ছিলো। আমিও ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তাই গরু বিক্রি করে দিয়েছি। এখন শেষ মুহূর্তে দেখি গরুর প্রচুর চাহিদা।

টিকে গ্রুপের পশুর হাটে গরু কিনতে এসে হতাশ ফাহিম আলম বলেন, এক কিলোমটার ও সাগরিকায় গরু না পেয়ে এখানে আসি। কিন্তু এখানেও একই অবস্থা। যে কয়েকটা গরু আছে তাও লাখের ওপর। আমার বাজেট এক লাখের মধ্যে। জানিনা, এবার গরু কিনতে পারবো কি-না।

কর্ণফুলী পশুর হাটের ইজারাদার আব্দুর রহিম বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্তও হাটে ক্রেতা ছিলো প্রচুর, কিন্তু গরু তেমন নেই। অনেক ক্রেতা এসে গরু না পেয়ে ফেরত গেছেন। কিছু গরু ছিলো, তার দাম ছিলো বেশি।

সাগরিকা পশুর হাটের ইজারাদার সাইফুল হুদা জাহাঙ্গির বলেন, বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত গরুর সংকট ছিলো। তবে শুক্রবার দুপুরের দিকে গরু আসতে শুরু করে। এখন ক্রেতারা এলে গরু কিনতে পারবেন।

সিভয়েস/এনআর/এসসি

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়