Cvoice24.com


কম দরে চামড়া কিনেও শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

প্রকাশিত: ১৬:৪৭, ১ আগস্ট ২০২০
কম দরে চামড়া কিনেও শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা

ছবি : সিভয়েস

প্রতি বছরের মতো এবারও কোরবানির পশুর চামড়ার দর সরকার নির্ধারণ করে দিলেও সঠিক মূল্য পাচ্ছেননা বিক্রেতারা। অন্যদিকে চামড়ার ব্যবসায় ক্ষতির ঝুঁকিতে আছেন ব্যবসায়ীরা। ফলে চামড়া ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

এ কে খান এলাকা থেকে চামড়া বিক্রেতা শামসুল হোসেন বলেন, 'চামড়া ব্যবসায়ীদের সরকার যে মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে, তারা সে মূল্যের কমে চামড়া কিনছে। অবশ্য প্রতিবছরই চামড়া বিক্রি নিয়ে এ ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। কারণ সব এলাকায় চামড়ার মূল ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে পারে না। মৌসুমী কিছু ব্যবসায়ী কোরবানির সময় এ ব্যবসা করে থাকে। ফলে বিক্রেতারা ন্যায্যমূল্য পায় না, আবার ব্যবসায়ীরাও সঠিকভাবে ব্যবসা করতে পারে না।

' বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত এই দরে ঢাকায় লবণ ছাড়া প্রতিটি ছোট গরুর চামড়া ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, মাঝারি গরু ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা ও বড় গরু ১২০০ থেকে দেড় হাজার টাকার উপরে বিক্রি হওয়ার কথা। ঢাকার বাইরে ছোট চামড়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, মাঝারি ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা ও বড় চামড়া ১ হাজার থেকে ১২০০ টাকা।

অথচ দেখা গেছে, নির্ধারিত এই দরের চেয়ে অনেক কমে বিক্রি হচ্ছে গরুর চামড়া। আর ছাগলের চামড়া অনেকটা পানির দামে বিক্রি হচ্ছে।

লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী চামড়া সংগ্রহ করেও ঝুঁকিতে চট্টগ্রামের চামড়া ব্যবসায়ীরা। কারণ হিসেবে ট্যানারি না থাকা, সিন্ডিকেট ও মৌসুমী ব্যবসায়ীদের দায়ী করছেন ব্যবসায়ী নেতারা। তবে বন্ধ হয়ে যাওয়া ট্যানারিগুলো চালু হলে চট্টগ্রামের চামড়া শিল্পে আবারো প্রাণ ফিরবে বলেও আশা তাদের।

চট্টগ্রামে এবার গরু, মহিষ ও ছাগলের পাঁচ লাখের মতো চামড়া সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। কোরবানির পর সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণের কথাই জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ী নেতারা। তবে, সংগ্রহ প্রক্রিয়ার পেছনে ছিল অনেক রহস্য। কারণ মাঠ পর্যায়ের ক্রেতারা নিজেদের মতো করে সিন্ডিকেট গড়ে, চামড়ার দর নিয়ন্ত্রণ করেছেন। ট্যানারি মালিকরা আবার দর কমিয়ে দিয়ে, তাদের দমন করেছেন।

চট্টগ্রাম পশু চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুল কাদের বলেন, 'আমরা সরকারের নির্দিষ্ট মূল্যে চামড়া ক্রয় করছি‌। আগামী দুই-তিন দিন ওর কি পরিমাণ কোরবানি হয়েছে এবং আমরা কি পরিমাণ চামড়া কিনতে পেরেছি তা বলা সম্ভব হবে। তবে এ ব্যবসায় যে জটিলতা আছে তা যথাযথ মনিটরিংয়ের মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। অন্যথায় ঝুঁকির সম্মুখীন হওয়া চামড়া ব্যবসার আর কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না।' সিভয়েস/এসবি

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়