Cvoice24.com


সহায়ক পরিষদ নয়, ৪১ ওয়ার্ডের দায়িত্বে চসিকের তিন কর্মকর্তা 

প্রকাশিত: ১০:৫৯, ১৩ আগস্ট ২০২০
 সহায়ক পরিষদ নয়, ৪১ ওয়ার্ডের দায়িত্বে চসিকের তিন কর্মকর্তা 

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পরিচালনায় সহায়ক পরিষদ গঠন নয় প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন একাই চালিয়ে নিবেন দায়িত্ব। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে মৌখিকভাবে এরকমই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে নগগীর ৪১ ওয়ার্ডের দায়িত্ব চসিকের সিনিয়র তিন কর্মকর্তাকে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। 

চসিকের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা মো. শামসুদ্দোহা এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করেন। এতে ওয়ার্ড সমূহের দৈনন্দিন কাজ, সড়ক আলোকায়ন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জন্ম-মৃত্যু এবং ওয়ারিশান সনদপত্র প্রদান ও ভৌত্ত অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য তিন কর্মকর্তাকে ৪১ ওয়ার্ডের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। 

১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলম, ১৫ নম্বর থেকে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বে প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া ও ২৯ থেকে ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চসিক সচিব আবু শাহেদ চৌধুরীকে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চসিক প্রশাসকের একান্ত সচিব আবুল হাশেম সিভয়েসকে বলেন, আমরা কদিন আগে সহায়ক পরিষদের বিষয়ে নির্দেশনা চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। আজকে (বৃহস্পতিবার) মন্ত্রণালয় থেকে মৌখিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সহায়ক পরিষদ নয়, চসিকের কর্মকর্তাদের মাধ্যমেই কাজ চালিয়ে নিতে। সেকারণে সিইও মহোদয় তিন কর্মকর্তাকে ৪১ ওয়ার্ডের দায়িত্বভার বণ্টনের একটি অফিস আদেশ দিয়েছেন।          

এরআগে ৫ অগাস্ট চসিকে’র পঞ্চম নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ শেষ হয়। এর একদিন আগে প্রশাসক পদে সুজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ৬ অগাস্ট তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মেয়রের সঙ্গে নির্বাচিত ৪১ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ১৪টি সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদের মেয়াদও ৫ অগাস্ট শেষ হয়।

এরপর থেকে সদ্য সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কোনোরকম দাপ্তরিক কাজ না করতে চসিক থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একারণে ওয়ার্ড কার্যালয়গুলোর দৈনন্দিন কার্যক্রম থমকে আছে।

দায়িত্ব নেওয়ার পর খোরশেদ আলম সুজন শনাক্তকরণ, জন্মনিবন্ধন সনদ দেওয়া ও ওয়ারিশান সার্টিফিকেট দেওয়া দৈনন্দিন কাজ কীভাবে করা হবে তা জানতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা চেয়ে চিঠি দেন।

এদিকে সহায়ক পরিষদের সদস্য হতে অনেকেই জোর তৎপরতা চালিয়েছেন। কোনও কোনও নেতা নিজ অনুসারীদের লিস্টও প্রস্তুত করেছিলেন। এমনকি ফেসবুকে অভিনন্দন বার্তাও দিয়েছিলেন তাদের অনুসারীরা। তবে এই আদেশের ফলে তাদের ওই প্রচেষ্টা ভেস্তে গেলো। এমনকি প্রশাসক সুজনও সহায়ক পরিষদ গঠনে আগ্রহী ছিলেন না বলে জানা গেছে।  

সেই প্রেক্ষিতে গত রোববার চসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা কালাম চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, “লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই বিষয়টি নিয়ে (সহায়ক পরিষদ গঠন) বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। এমনকি কেউ কেউ সহায়ক পরিষদে নিজের অন্তর্ভুক্তির কল্পিত তথ্য তুলে ধরছেন যা অনভিপ্রেত ও অনৈতিক। যারা এসব করছেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।”

সিভয়েস-এডি

সিভয়েস প্রতিবেদক

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়